ঢাকা, মঙ্গলবার, ১১ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ২৬ নভেম্বর ২০২৪, ২৪ জমাদিউল আউয়াল ১৪৪৬

অর্থনীতি-ব্যবসা

মধ্যরাতে সাগরে গেলেন জেলেরা 

ডিস্ট্রিক্ট করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ১১০৪ ঘণ্টা, জুলাই ২৪, ২০২৩
মধ্যরাতে সাগরে গেলেন জেলেরা 

পটুয়াখালী: আজ মধ্যে রাতেই শেষ হচ্ছে সমুদ্রে সব ধরনের মাছ ধরার ওপর ৬৫ দিনের নিষেধাজ্ঞা। রোববার রাত ১২টার পর থেকেই গভীর সাগরে ইলিশ শিকারের উদ্দেশ্যে যাত্রা শুরু করেছেন কয়েক হাজার মাছধরার ট্রলার।

 

তবে অবরোধ কালীন সময়ে সরকারি সহযোগিতা অপ্রতুল হওয়ায়, অনেকেই দীর্ঘদিন মানবেতর জীবনযাপন করেছেন, হয়েছেন দেনাও। আবহাওয়া অনুকূলে থাকলে ও জলের জালে কাঙ্ক্ষিত মাছের দেখা মিললে সকল ধকল কাটিয়ে ওঠার প্রত্যাশা করেন জেলে ও মৎস্য ব্যবসায়ীরা।

দুই মাসের বেশি সময় ধরে জাল-নাও ছেড়ে পরিবার পরিজনের সঙ্গে বেকার সময় কাটিয়েছেন দরিয়ার স্বপ্ন বুনতে যাওয়া দুঃসাহসিক জেলেরা।

জেলেরা জানান, অবরোধকালীন সময়ে সরকারি সহযোগিতা অপ্রতুল হওয়ায়, অনেকেই দীর্ঘদিন মানবেতর জীবনযাপন করেছেন। এ সময় আরও সহযোগিতা বাড়ানো, নিত্যপ্রয়োজনীয় খাদ্য ও নগদ টাকা অনুদানের দাবি করেন তারা।  

জেলেরা আরও জানান, আগামী বছর হতে পার্শ্ববর্তী দেশের সঙ্গে মিলিয়ে নিষেধাজ্ঞার সময় নির্ধারণ না করলে, ভারতীয় ও দেশীয় জেলেরা মাছ ধরে নিয়ে যায়। প্রতিবেশী দেশগুলোর সঙ্গে মিল রেখে একযোগে অবরোধ দিলে ফলপ্রসূ হবে বলেও জানান জেলে ও মৎস্য বন্দর সংশ্লিষ্টরা।

এদিকে পটুয়াখালীর সমুদ্রগামী নিবন্ধিত ৪৯ হাজার জেলে নিষেধাজ্ঞার সময়ে জেলেদের জন্য বরাদ্দ করা ভিজিএফ চালের দ্বিতীয় দফা বুঝে পাননি। এতে সংকটময় সময় কেটেছে জেলেদের। তবে মৎস্য বিভাগ বলছে দ্রুত বাকি চাল বিতরণ করা হবে। চাল পেলে পরিবারগুলো কিছুটা ভালো চলতে পারবে। চালের সঙ্গে আনুষঙ্গিক নগদ অর্থ সহায়তার দাবি জানান জেলেরা।

জেলা মৎস্য কর্মকর্তা মো. কামরুল ইসলাম বলেন, টানা দুই মাসের নিষেধাজ্ঞা বাস্তবায়নে মোবাইল কোর্টে ছয় লাখ ৬০ হাজার টাকা রাজস্ব আদায় করা হয়েছে। নিরাপদ প্রজননের পরিবেশ সৃষ্টি হওয়ায় ইলিশসহ সামুদ্রিক সব ধরনের মাছের উৎপাদন বৃদ্ধি হয়ে লক্ষ্যমাত্রা ছাড়িয়ে যাবে।

সামুদ্রিক ৪৬০ প্রজাতির মাছের নিরাপদ প্রজনন ও উৎপাদন বৃদ্ধির লক্ষ্যে গত ২০ মে থেকে ২৩ জুলাই পর্যন্ত সাগরে সব ধরনের মাছ ধারার ওপর ৬৫ দিনের নিষেধাজ্ঞা জারি করে সরকার।  

বাংলাদেশ সময়: ১১০৩ ঘণ্টা, জুলাই ২৪, ২০২৩
এসআইএস

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।