ঢাকা: অর্থনীতির বিভিন্ন খাতের প্রতিভাবানদের তৃতীয়বারের মত বিজনেস এক্সিলেন্স অ্যাওয়ার্ডস দেবে দি হংকং অ্যান্ড সাংহাই ব্যাংকিং কর্পোরেশন লিমিটেড বাংলাদেশ (এইচএসবিসি)। অর্থনৈতিক অগ্রগতিতে ভূমিকা স্মারক হিসেবে এ অ্যাওয়ার্ড দেওয়া হবে।
রোববার (৩ সেপ্টেম্বর) রাজধানীর হোটেল সোনারগাঁওয়ে এক সংবাদ সম্মেলনে ব্যাংকটির বাংলাদেশের মুখ্য নির্বাহী পরিচালক মো. মাহাবুবুর রহমান এ তথ্য জানান। অভ্যন্তরীণ চাহিদা পূরণ, অবকাঠামো উন্নয়ন এবং সাপ্লাইচেইনে যারা অসামান্য অবদান রেখেছেন তাদের এ সম্মাননা দেওয়া হবে।
মো. মাহবুব উর রহমান বলেন, বাংলাদেশ যখন স্বল্পোন্নত দেশের মর্যাদা থেকে উন্নয়নের পথে এগিয়ে চলেছে, তখন আমাদের অর্থনৈতিক প্রবৃদ্ধি, অভ্যন্তরীণ চাহিদা পূরণ কিংবা অবকাঠামোগত উন্নয়ন প্রকল্পে অসাধারণ অবদান রেখেছে এমন সব উদ্যোক্তা ও প্রতিষ্ঠানসমূহকে স্বীকৃতি দিতে এ উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে।
তিনি আরও বলেন, ২০৩০ সালে বাংলাদেশের অর্থনীতি ২৬তম অর্থনীতি হিসাবে মাথা উঁচু করে দাঁড়াবে। একই সময়ে বাংলাদেশ বিশ্বের বৃহত্তম ভোক্তার বাজার হবে। ডেমোগ্রাফিক ডিভিডেন্টের যে সুবিধায় বাংলাদেশ অবস্থান করছে তা ২০৩০ সাল নাগাদ কর্মে নিয়োজিত হয়ে যাবে। সবাই মিলে এখনকার কাজগুলো সময় মত করতে পারলে আমরা অভিষ্টে পৌঁছতে পারবো। সে জন্যই আমাদের এই উদ্যোগ।
কান্ট্রি হেড অফ হোলসেল ব্যাংকিং জেরার্ড হপি বলেন, বিজনেস এক্সিলেন্স অ্যাওয়ার্ডস-এর মাধ্যমে আমরা শ্রেষ্ঠ উদ্যোক্তা ও প্রতিষ্ঠানসমূহের অর্জনকে তুলে ধরতে চাই যারা বাংলাদেশকে বিশ্বের কাছে আলোকিত হচ্ছে। আমাদের অর্থনীতিতে এই সব প্রগতিশীল উদ্যোক্তা ও প্রতিষ্ঠানসমূহ যারা আমাদের অর্থনীতিকে আরো শক্তিশালী করছে, তাদের অবদানকে আমরা স্বীকৃতি দিতে পেরে গর্বিত।
কান্ট্রি হেড অফ কমিউনিকেশনস ভালুকদার নোমান আনোয়ার তৃতীয় এইচএসবিসি বিজনেস এক্সিলেন্স অ্যাওয়ার্ডস-এ অংশগ্রহণের নিয়ম-নীতিমালাগুলো তুলে ধরেন। তিনি বলেন, এবার এইচএসবিসি বিজনেস এক্সিলেন্স অ্যাওয়ার্ডসের নমিনেশন ফর্ম পূরণের মাধ্যমে আটটি ক্যাটাগরিতে অংশগ্রহণের সুযোগ রয়েছে। ক্যাটাগরিগুলো হলো -
১) রপ্তানিতে এক্সিলেন্স তৈরি পোশাক শিল্প (আরএমজি): যাদের বার্ষিক রপ্তানি আয় ৫০ মিলিয়ন মার্কিন ডলার ও তার বেশি।
২) রপ্তানিতে এক্সিলেন্স– সাপ্লাই চেইন এবং ব্যাকওয়ার্ড লিংকেজ: যাদের বার্ষিক রপ্তানি আয় ১০ মিলিয়ন মার্কিন ডলার ও তার বেশি।
৩) রপ্তানিতে এক্সিলেন্স- অসনাতন ও উদীয়মান ক্ষেত্র: যাদের বার্ষিক রপ্তানি আয় ৩ মিলিয়ন মার্কিন ডলার ও তার বেশি (তৈরি পোশাক শিল্প ও টেক্সটাইলস ব্যতীত)।
৪) আমদানী-বিকল্প শিল্পে অসামান্য অবদান: যাদের আমদানী-বিকল্প পণ্যের পরিমাণ ১০ মিলিয়ন মার্কিন ডলার বা তার বেশি।
৫) অভ্যন্তরীণ বিনিয়োগ ও অবকাঠামো উন্নয়নে অসামান্য অবদান: যাদের বৈদেশিক বিনিয়োগ যা হতে পারে মূলধন, প্রযুক্তিগত উৎকর্ষ সংক্রান্ত ইত্যাদি যা অভ্যন্তরীণ বিনিয়োগে সহায়ক এবং নির্দিষ্ট অবকাঠামো বা ইনফ্রাস্ট্রাকচার উন্নয়ন প্রকল্পের মাধ্যমে জীবনযাত্রার মান ও জিডিপি উন্নয়নে কার্যকর অবদান রেখেছে এমন প্রতিষ্ঠান।
৬) সাসটেইনেবিলিটিতে এক্সিলেন্স: এমন প্রতিষ্ঠান যারা সাসটেইনেবিলিটি উদ্যোগ বা প্রজেক্টের মাধ্যমে সমাজে কার্যকরী ও যুগান্তকারী অবদান রেখেছে।
৭ ) নতুন প্রযুক্তি প্রণয়নে শ্রেষ্ঠ: এমন প্রতিষ্ঠান যারা উদ্ভাবনী প্রযুক্তিকে কাজে লাগিয়ে জনজীবনে ইতিবাচক প্রভাব ফেলেছে এবং পাশাপাশি দেশের অর্থনীতিতেও অবদান রাখছে। এবং
৮ ) স্পেশাল অ্যাচিভমেন্ট অ্যাওয়ার্ড: এমন ব্যক্তি/ব্যক্তিবর্গ এবং/অথবা প্রতিষ্ঠান যারা দেশের অর্থনীতিতে ইতিবাচক প্রভাব ফেলেছে, ইনোভেশনে এনেছে এক্সিলেন্স এবং কর্মসংস্থান সৃষ্টির মাধ্যমে সামাজিক অবদান।
বাণিজ্য মন্ত্রণালয় ও ব্রিটিশ হাই কমিশন-ঢাকার পৃষ্টপোষকতায় ‘এইচএসবিসি বিজনেস এক্সিলেন্স অ্যাওয়ার্ডস’ দেওয়া হবে।
বাংলাদেশে কার্যরত সকল ব্যবসায়িক প্রতিষ্ঠান ও উদ্যোক্তারা ‘এইচএসবিসি বিজনেস এক্সিলেন্স্ অ্যাওয়ার্ডস্’-এ অংশগ্রহণ করতে পারবেন। অংশগ্রহণের জন্যে কোনো এন্ট্রি ফি বা আর্থিক স্বীকৃতি নেই।
বাংলাদেশ সময়: ০০২৪ ঘণ্টা, সেপ্টেম্বর ০৪, ২০২৩
জেডএ/ এসএম