ঢাকা: দেশি ডেবিট কার্ড সার্ভিস চালু করতে যাচ্ছে বাংলাদেশ ব্যাংক। সব ঠিকঠাক থাকলে আগামী ১ নভেম্বর বাংলা কার্ড নামে এই কার্ড সেবা যাত্রা করবে।
সোমবার (১৮ আগস্ট) বাংলাদেশ ব্যাংকের নির্বাহী পরিচালক ও মুখপাত্র মো. মেজবাউল উল বিষয়টি বাংলানিউজকে নিশ্চিত করেছেন।
মুখপাত্র বলেন, নভেম্বর মাসের ১ তারিখ বাংলা কার্ডের উদ্বোধনের প্রাথমিক তারিখ ঠিক করা হয়েছে। তবে এখনও নিশ্চিত নয়। উদ্বোধনের তারিখ নির্ধারণ করা হলে জানানো হবে। ইতোমধ্যে এই কার্ড চালুর বিষয়ে ৭/৮টি ব্যাংক পরীক্ষা করছে। একটি একটি করে আরও ব্যাংক তৈরি হচ্ছে। উদ্বোধনের দিন ঠিক হতে হতে আরও কয়েকটি ব্যাংক যুক্ত হতে পারে।
তিনি বলেন, একটি কার্ড যদি পুরো নেটওয়ার্কে কাজ করে সকল কার্ড কাজ করবে। ট্রানজেকশনের ধরনই এমন হয়। বড় বড় ব্যাংকগুলো শুরুতে থাকবে। তার মধ্যে সোনালী ব্যাংক, ইসলামী ব্যাংক, ডাচ-বাংলা ব্যাংক, ব্র্যাক ব্যাংকসহ আটটি ব্যাংক টেস্টিংয়ে আছে।
দেশে বিদেশি বিভিন্ন কার্ড সেবা দিচ্ছে। দেশে বিদেশি কার্ড সেবাদানকারী প্রতিষ্ঠান যেমন কাজ করছে, তেমনি বিদেশি প্ল্যাটফর্ম ব্যবহার করা হচ্ছে। আবার বিদেশি কার্ডের সেবার বিপরীতে কিছু অর্থও দেশের বাইরে চরে যাচ্ছে। বাংলা কার্ড চালু হলে এর মধ্য দিয়ে বিদেশি কার্ডের নির্ভরতা কমবে। ক্যাশলেস স্মার্ট সোসাইটি প্রতিষ্ঠায় যে কার্যক্রম চালু আছে, তা আরও একধাপ এগিয়ে যাবে।
প্রথমে জাতীয় ডেবিট কার্ড চালু করা হবে। পরে এই কার্ডে বিভিন্ন ফিচার যুক্ত করে এর মাধ্যমেই টাকা-রুপিতে লেনদেনের সুবিধা দেওয়া হবে। পর্যায়ক্রমে ক্রেডিট কার্ডের কার্যক্রম যুক্ত হবে।
বাংলাদেশ ব্যাংকের সংশ্লিষ্ট বিভাগ মনে করছে, দেশে মোবাইল ব্যাংকিংয়ের যেভাবে বিকাশ ঘটেছে। বাংলা কার্ড চালুর মধ্য দিয়ে লেনদেনে নতুন যুগের সূচনা করবে। এক্ষেত্রে বাংলাদেশ ব্যাংক প্রয়োজনে কার্ড ব্যবহারের চার্জ কমিয়ে সর্বনিম্নে নামিয়ে আনবে। যাতে বাণিজ্যিক ব্যাংকগুলো তাদের গ্রাহকদের ব্যবহার উদ্বুদ্ধ করে।
গত ২ জুন বাজেটোত্তর সংবাদ সম্মেলনে ন্যাশনাল ডেবিট এবং ক্রেডিট কার্ড চালুর ব্যাপারে কাজ চলছে বলে জানিয়েছিলেন বাংলাদেশ ব্যাংকের গভর্নর আব্দুর রউফ তালুকদার। আনুষ্ঠানিকভাবে যাত্রা শুরু করতে যাচ্ছে দেশের নিজস্ব কার্ড ‘বাংলা কার্ড’।
বাংলাদেশ সময়: ২১১৮ ঘণ্টা, সেপ্টেম্বর ১৮, ২০২৩
জেডএ/এমজেএফ