ঢাকা: নতুন আয়কর আইন অনুযায়ী মোবাইল রিচার্জ ও ইন্টারনেটের খরচ জাতীয় রাজস্ব বোর্ডকে (এনবিআর) জানাতে হবে। এ জন্য বছরজুড়ে মোবাইল রিচার্জ বাবদ যে টাকা খরচ হয়, তা লিখে রাখতে হবে।
যাদের বার্ষিক পাঁচ লাখ টাকার বেশি আয় এবং ৪০ লাখ টাকার বেশি সম্পদ তাদেরই কেবল সম্পদের বিবরণীসহ জীবনযাত্রার হিসাব–নিকাশ জমার সাথে মোবাইল ও ইন্টানেট বাবদ খরচের তথ্য দিতে হবে।
নতুন আয়কর আইন অনুযায়ী, রিটার্ন জমার সময় আইটি ১১গ (২০২৩) ফরমে খরচের বিবরণী দাখিলের সময় এসব তথ্য দিতে হবে। নতুন বিধিমালার আইটি-১০ বিবি ধারা মোতাবেক এ বিবরণী দিতে হবে।
পুরাতন আয়কর আইনে বাড়ির ল্যান্ড ফোনের খরচ উল্লেখ ছিল। বছর শেষে ফোনের মোট বিল আয়কর রিটার্নে উল্লেখ করা হোত। নতুন আইনে বাড়ির ল্যান্ড ফোনের পাশাপাশি মোবাইল ফোন ও ইন্টারনেটের খরচ যুক্ত করা হয়েছে। এর ফলে প্রতিবার যে মোবাইল ও ইন্টারনেট বাবদ খরচ হবে, তা লিখে রাখতে হবে এবং বছর শেষে আয়কর রিটার্নে উল্লেখ করতে হবে।
এ ছাড়া গ্যাস, পানি, বিদ্যুৎ বিলের তথ্যও দিতে হবে আয়কর রিটার্নে।
নতুন ব্যবস্থার ফলে আয়কর রিটার্নে নতুন করে ভীতি বাড়লো বলে মনে করেন আয়কর আইনজীবী মাহমুদ হোসেন খান। বাংলানিউজকে তিনি বলেন, নতুন আয়কর আইন সহজ করতে গিয়ে আরও জটিল করা হয়েছে। একজন আয়কর দাতা এখন আরও বেশি ভয় পাবেন। আয়কর রিটার্ন দেওয়ার সময় রাজস্ব অফিসগুলোকে আয়কর দাতাকে এক ধরনের ফাঁদে ফেলার সুযোগ হলো। পকেট থেকে টাকা খসাতে হবে।
একজন করদাতার পক্ষে সারা বছরের মোবাইল ফোনে কত টাকা রিচার্জ করেন, তার হিসাব রাখা কঠিন। সাধারণত একসঙ্গে বেশি অর্থ রিচার্জ করেন না মোবাইল ফোন ব্যবহারকারীরা। নতুন আইন অনুযায়ী আয় রিটার্ন জমা দিতে গিয়ে সমস্যায় পড়তে হবে; বলেন এই আয়কর আইনজীবী।
নতুন আইন অনুযায়ী, জীবনযাত্রার বিবরণীতে ৯ ধরনের তথ্য দিতে হবে। এগুলো হলো—ব্যক্তিগত ও পরিবারের ভরণপোষণ খরচ, আবাসন–সংক্রান্ত খরচ, গাড়ির ব্যয়, পরিষেবা খরচ, শিক্ষা ব্যয়, নিজ খরচে দেশ-বিদেশ ভ্রমণ ও অবকাশ–সংক্রান্ত তথ্য, উৎসবের খরচ, সঞ্চয়পত্রসহ অন্যান্য উৎসে করের হিসাব, প্রাতিষ্ঠানিক ও অন্যান্য উৎস থেকে নেওয়া ঋণের সুদ পরিশোধের তথ্য। আগে ১১ ধরনের তথ্য দিতে হতো।
বাংলাদেশ সময়: ১৮০১ ঘণ্টা, সেপ্টেম্বর ২৬, ২০২৩
জেডএ/এমজেএফ