ঢাকা, শনিবার, ১৩ পৌষ ১৪৩১, ২৮ ডিসেম্বর ২০২৪, ২৫ জমাদিউস সানি ১৪৪৬

অর্থনীতি-ব্যবসা

পোশাক খাতে চ্যালেঞ্জ মোকাবিলায় সরকারের নীতি সহায়তা চায় বিজিএমইএ

স্টাফ করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ২০৩৬ ঘণ্টা, অক্টোবর ৩, ২০২৩
পোশাক খাতে চ্যালেঞ্জ মোকাবিলায় সরকারের নীতি সহায়তা চায় বিজিএমইএ

ঢাকা: পোশাক খাতে চ্যালেঞ্জ মোকাবিলায় সরকারের নীতি সহায়তা চেয়ে অনুরোধ জানিয়েছে বাংলাদেশ পোশাক প্রস্তুতকারক ও রপ্তানিকারক সমিতি (বিজিএমইএ)।

বিজিএমইএ সভাপতি ফারুক হাসানের নেতৃত্বে বিজিএমইএর একটি প্রতিনিধিদল মঙ্গলবার (৩ অক্টোবর) অর্থসচিব মো. খায়েরুজ্জামান মজুমদারের সঙ্গে সচিবালয়ে বৈঠক করেন।

বৈঠকে সরকারের প্রতি এই দাবি জানায় সংগঠনটি।

প্রতিনিধিদলে ছিলেন বিজিএমইএর সিনিয়র সহ-সভাপতি এস এম মান্নান (কচি) ও সহ-সভাপতি রাকিবুল আলম চৌধুরী।

বৈঠকে দেশের তৈরি পোশাক শিল্প, এর সম্ভাবনা এবং টেকসই প্রবৃদ্ধি ও উন্নয়নের রূপকল্প সম্পর্কিত বিষয়গুলো নিয়ে আলোচনা হয়।

বৈঠকে বিজিএমইএ সভাপতি ফারুক হাসান বৈশ্বিক অর্থনীতিতে রাশিয়া-ইউক্রেন যুদ্ধের গভীর প্রভাব এবং এই প্রভাবের কারণে বাংলাদেশের তৈরি পোশাক শিল্প যেসব চ্যালেঞ্জের সম্মুখীন, সেগুলো তুলে ধরেন।

তিনি বলেন, রাশিয়া-ইউক্রেন যুদ্ধের প্রভাবে যুক্তরাষ্ট্র এবং ইইউ সদস্য দেশগুলোতে ব্যাপক মূল্যস্ফীতি সৃষ্টি হয়েছে। ইউরোপ ও আমেরিকার মতো প্রধান রপ্তানি বাজারগুলোতে পোশাকের চাহিদা কমেছে। কারণ, ভোক্তারা পোশাকের চেয়ে খাদ্য এবং জ্বালানির মতো নিত্যপ্রয়োজনীয় দ্রব্যগুলোকে অগ্রাধিকার দিচ্ছে। এর ফলে ইউরোপ ও যুক্তরাষ্ট্রে পোশাক রপ্তানি কমেছে।

বাংলাদেশের মোট রপ্তানি আয়ের ৮৪ শতাংশের বেশি আসে তৈরি পোশাক খাত থেকে। পোশাক খাতে রপ্তানি কমে যাওয়া দেশের বৈদেশিক রিজার্ভের ওপর সরাসরি প্রভাব রাখছে।

বৈঠকে বিজিএমইএ সভাপতি ফারুক হাসান শিল্পের এই সংকটময় ও চ্যালেঞ্জময় পরিস্থিতিতে চ্যালেঞ্জ মোকাবিলা করে বৈশ্বিক বাজারে শিল্পের প্রতিযোগী সক্ষমতা ধরে রাখতে সরকারের নীতি সহায়তার প্রয়োজনীয়তার ওপর জোর দেন।

বিশ্বব্যাপী উচ্চ চাহিদার পরিপ্রেক্ষিতে ম্যান-মেড ফাইবার-ভিত্তিক পোশাকসহ নন-কটন পণ্যগুলোতে যাওয়ার মাধ্যমে পণ্য বৈচিত্র্যকরণের ওপর শিল্প ক্রমবর্ধমানভাবে যে গুরুত্ব দিচ্ছে, তিনি তা তুলে ধরেন এবং নীতি সহায়তার মাধ্যমে পণ্য বৈচিত্র্যকরণকে উৎসাহিত করা এবং সহজতর করার জন্য সরকারের প্রতি অনুরোধ জানান।

এ ছাড়া ফারুক হাসান পরিবেশগত টেকসই উন্নয়নের জন্য শিল্পের প্রতিশ্রুতি, বিশেষ রিসাইক্লিংয়ে সক্ষমতা তৈরি এবং সার্কুলার অর্থনীতির ক্ষেত্রে শিল্পের প্রচেষ্টাগুলো তুলে ধরেন। তিনি বাংলাদেশের পোশাক শিল্পের মধ্যে রিসাইক্লিং ও সার্কুলারিটির প্রসারের জন্য সরকারি নীতি সহায়তার প্রয়োজনীয়তার ওপর জোর দেন।

বিজিএমইএ প্রতিনিধিদল পোশাক শিল্পের জন্য ব্যাংকিং খাত থেকে সহজতর এবং দ্রুততর সেবা দেওয়ার জন্যও অনুরোধ জানিয়েছে।

বাংলাদেশ সময়: ২০৩৩ ঘণ্টা, অক্টোবর ৩, ২০২৩
এমকে/আরএইচ

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।