ঢাকা: দেশের বাণিজ্যিক ব্যাংকও তাদের গ্রাহকদের মাঝে বিমা পণ্য ‘ব্যাংকাস্যুরেন্স’ বিক্রি করতে পারবে। তারা বিমা কোম্পানিগুলোর এজেন্ট হিসাবে কাজ করবে।
মঙ্গলবার (১২ ডিসেম্বর) বাংলাদেশ ব্যাংকের ব্যাংকিং প্রবিধি ও নীতি বিভাগ এ সংক্রান্ত নির্দেশনা জারি করেছে। বাংলাদেশ ব্যাংক থেকে এ সম্পর্কে একটি প্রজ্ঞাপনও জারি হয়েছে।
নির্দেশনায় বলা হয়েছে, দেশে কার্যরত তফসিলি ব্যাংকের মাধ্যমে ব্যাংকাস্যুরেন্স (Bancassurance) প্রবর্তন করা হয়েছে। ব্যাংক কোম্পানি আইন, ১৯৯১ এর ৭(১)(ল) ধারায় প্রদত্ত ক্ষমতাবলে বাংলাদেশ সরকারের অনুমোদনক্রমে সব তফসিলি ব্যাংক বিমা কোম্পানির ‘কর্পোরেট এজেন্ট’ হিসেবে বিমা পণ্য বিপণন ও বিক্রয় ব্যবসা করতে পারবে। নির্দেশনা জারির দিন থেকে তফসিলি ব্যাংকগুলো এ ব্যবসা শুরু করতে পারবে।
নির্দেশনা অনুযায়ী পেনশন, স্বাস্থ্য, দুর্ঘটনা, দেনমোহর, শিক্ষা, ওমরাহ, হজ ইত্যাদি ক্ষেত্রে ধারে কাছের ব্যাংকেই বিমা করা যাবে।
‘ব্যাংকাস্যুরেন্স নীতিমালা যা আছে
অনুমোদিত নীতিমালা ও নির্দেশিকা অনুযায়ী, ব্যাংকাস্যুরেন্স বাস্তবায়িত হবে মূলত দেশের ব্যাংকগুলোর শাখার মাধ্যমে। এক্ষেত্রে বিমা কোম্পানির কর্পোরেট এজেন্ট বা প্রতিনিধি হিসেবে ব্যাংক কাজ করবে। এর ফলে বিমা কোম্পানির কাছে না গিয়ে ব্যাংকের মোট ১১ হাজার ২৩৯টি শাখার মধ্যে ধারে-কাছের যে কোনো একটিতেই বিমা করতে পারবে গ্রাহক।
নির্দেশনায় বলা হয়েছে, বাংলাদেশ ব্যাংকের নিয়ন্ত্রণে থাকা ব্যাংকগুলো ব্যাংকাস্যুরেন্সের এজেন্ট হতে পারবে। এজন্য বিমা কোম্পানিগুলোর সঙ্গে চুক্তি করতে হবে। তবে কোনো ব্যাংকাস্যুরেন্স এজেন্ট তিনটির বেশি বিমা কোম্পানির সঙ্গে যুক্ত হতে পারবে না। এজন্য বিমা কোম্পানিকে বিমা নিয়ন্ত্রক সংস্থা-আইডিআরএ এবং ব্যাংকাস্যুরেন্স এজেন্টকে বাংলাদেশ ব্যাংকের অনুমোদন নিতে হবে।
বাংলাদেশ সময়: ১৯২১ ঘণ্টা, ডিসেম্বর ১২, ২০২৩
জেডএ/এইচএ/