ঢাকা, শনিবার, ১৩ পৌষ ১৪৩১, ২৮ ডিসেম্বর ২০২৪, ২৫ জমাদিউস সানি ১৪৪৬

অর্থনীতি-ব্যবসা

নতুন এলসি না পাওয়ায় বাংলাবান্ধা বন্দরে কমেছে পাথর আমদানি!

সোহাগ হায়দার, ডিস্ট্রিক্ট করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ০২২২ ঘণ্টা, জানুয়ারি ১১, ২০২৪
নতুন এলসি  না পাওয়ায় বাংলাবান্ধা বন্দরে কমেছে পাথর আমদানি!

পঞ্চগড়: দেশের একমাত্র সড়ক পথের চারদেশীয় (বাংলাদেশ, ভারত, নেপাল ও ভুটান) স্থলবন্দর পঞ্চগড়ের বাংলাবান্ধা নানা প্রতিবন্ধকতা কাটিয়ে স্বাভাবিক অবস্থায় ফিরলেও নতুন করে দেখা দিয়েছে স্থবিরতা।  

এ বন্দরটিতে নতুন বছরে ডলার সংকটে নতুন এলসি (ঋণপত্র) না পাওয়ায় কমেছে পাথর আমদানি।

জানা গেছে, চলমান ডলার সংকটে নতুন এলসি না পাওয়ায় চাহিদা মতো পাথর আমদানি করতে পারছেন না আমদানিকারকরা। এতে পণ্যবাহী ট্রাকের সংখ্যা কমায় কর্মহীন হয়ে পড়েছেন বন্দরের অনেক শ্রমিক। তবে গুরুত্বপূর্ণ এ বন্দরে আগের দেওয়া এলসিতে পাথর আমদানি হচ্ছে।

বুধবার (১০ জানুয়ারি) বন্দর ঘুরে দেখা গেছে, পাথর আমদানি কম হওয়ায় অবসর সময় কাটাচ্ছেন শ্রমিকরা।

সিঅ্যান্ডএফ এজেন্ট আব্দুল্লাহ আল মামুন ও শাকিল আহম্মেদ বাংলানিউজকে বলেন, গত মাসে আমাদের আমদানি স্বাভাবিক থাকলেও বর্তমানে জাতীয় নির্বাচনসহ ডলার সংকটে নতুন এলসি না হওয়ায় তা কিছুটা কমে এসেছে। ডলারের সংকট কেটে নতুন করে এলসি দেওয়া শুরু হলে আবার পূর্বের অবস্থায় আমদানি শুরু হবে। ডলার সংকটের কারণে এলসি খোলা এখন নতুন চ্যালেঞ্জ।

পাথর ব্যবসায়ী ইউসুফ আলী বাংলানিউজকে বলেন, ডলার সংকটের কারণে বিশ্ব যেখানে থমকে গেছে, বাংলাদেশও সেখানে গেছে। যার কিছুটা প্রভাব বাংলাবান্ধায় পড়েছে। বর্তমানে আমদানি-রপ্তানির দিক দিয়ে ঝিমিয়ে পড়েছে বাংলাবান্ধা।

তবে দেশের একমাত্র চতুর্দেশীয় এ স্থলবন্দরে আশানুরূপ পাথর আমদানি না হওয়ায় ১০ হাজার শ্রমিক কর্মহীন হওয়ার শঙ্কা দেখা দিয়েছে। তাই সরকারের দৃষ্টি কামনা করেছেন তারা।

বন্দরের শ্রমিক নেতা ইদ্রিস আলী বাংলানিউজকে বলেন, এ বন্দরে শ্রমিকের কাজ করে ১০ হাজার মানুষ সংসার চালান। তবে গাড়ি ঠিকমতো না আসায় সবাই খুব দুর্ভোগে পড়ছেন। একদিন বন্দরে কাজ হলে পর্যাপ্ত পরিমাণ গাড়ি না আসায় দুদিনই কাজ পান না তারা। তাই সরকারের সুদৃষ্টি কামনা করে সমস্যা নিরসন করে বন্দরটিকে পূর্বের অবস্থায় ফিরিয়ে আনার জন্য জোর দাবি জানাচ্ছি।

এ বিষয়ে ব্যাংক কর্তৃপক্ষ ও বন্দর কর্তৃপক্ষের সঙ্গে এবং বিভাগীয়ভাবে আলোচনা চলছে। নতুন করে এলসি দেওয়া শুরু হলে প্রাণ ফিরে পাবে বন্দরটি, বাংলানিউজকে এ কথা বলেন বাংলাবান্ধা স্থলবন্দরের আমদানি-রপ্তানি গ্রুপের সাধারণ সম্পাদক কুদরত-ই-খুদা মিলন।

জানা গেছে, গত ২০২৩-২৪ অর্থবছরের জুলাই থেকে ডিসেম্বর পর্যন্ত ছয় মাস এ বন্দরটি দিয়ে ছয় লাখ ৫৭ হাজার ৬০৯ মেট্রিক টন পাথরসহ বিভিন্ন পণ্য আমদানি হয়েছে। আর বাংলাদেশে প্রবেশ করেছে ২৫ হাজার ৯৯০টি ভিনদেশি ট্রাক।

এদিকে ল্যান্ড পোর্ট লিমিটেডের ম্যানেজার আবুল কালাম আজাদ বাংলানিউজকে বলেন, এ বন্দরটি দিয়ে মাঝে মধ্যে অন্যান্য মালামাল বা পণ্য আমদানি-রপ্তানি হলেও মূলত পাথরের জন্য বাংলাবান্ধা বিখ্যাত। সব থেকে বেশি বন্দরটি দিয়ে পাথর আমদানি হয়ে থাকে। তবে ডলার সংকটে কিছুটা কম গাড়ি আসছে।

বাংলাদেশ সময়: ০২২০ ঘণ্টা, জানুয়ারি ১১, ২০২৪
এসআই
 

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।