নিরাপত্তা সঞ্চিতি বা প্রভিশন ঘাটতি থেকে বের হয়ে আসল তিন বাণিজ্যিক ব্যাংক। ব্যাংক তিনটি হলো বেসরকারি খাতের মধুমতি ব্যাংক, ঢাকা ব্যাংক ও এনসিসি ব্যাংক।
সোমবার (১২ ফেব্রুয়ারি) ২০২৩ সালের ৩১ ডিসেম্বর পর্যন্ত ব্যাংক গুলোর প্রভিশন ঘাটতি বিষয়ক এক প্রতিবেদনে বাংলাদেশ ব্যাংক এই তথ্য প্রকাশ করে।
তথ্য বলছে,সর্বশেষ ডিসেম্বর প্রান্তিকে আট ব্যাংকের খেলাপি ঋণের পরিমাণ দাঁড়িয়েছে ২৪ হাজার ১৮৮ কোটি টাকা। ব্যাংকগুলো হলো প্রবাসী কল্যাণ ব্যাংক, স্ট্যান্ডার্ড ব্যাংক, ন্যাশনাল ব্যাংক, বাংলাদেশ কমার্স ব্যাংক, রুপালী ব্যাংক, বেসিক ব্যাংক ও অগ্রণী ব্যাংক।
একই সময়ে নতুন করে প্রভিশন ঘাটতিতে পড়েছে প্রবাসী কল্যাণ ব্যাংক।
আগের প্রান্তিক সেপ্টেম্বরে ৯ ব্যাংকের খেলাপি ঋণের পরিমাণ ছিল ২৪ হাজার ৮৫৪ কোটি ৪০ লাখ টাকা। তিন মাসে প্রভিশন ঘাটতি কমলো চার হাজার ৬৬৬ কোটি টাকা।
প্রভিশন হলো খেলাপি ঋণের বিপরীতে আমানতের নিরাপত্তা সঞ্চিতি। খেলাপি ঋণ তিন ধরনের সাবস্ট্যান্ডার্ড, ডাউটফুল ও ব্যাড অ্যান্ড লস। খেলাপি ঋণের এই শ্রেণি ভেদে ১ থেকে ১০০ ভাগ পর্যন্ত প্রভিশন সংরক্ষণ করতে হয়। ব্যাংকগুলোর মুনাফা থেকে শেয়ার হোল্ডারদের বিতরণ না করে আন্তর্জাতিক ব্যাংকিংরীতি মেনে প্রভিশন সংরক্ষণ করতে হয়।
ঋণ খেলাপি হলেও ব্যাংকটি যেন আর্থিকভাবে চরম ঝুঁকিতে না পড়ে; আমানতকারীদের অর্থ প্রাপ্তিতে সমস্যা না হয় এবং ব্যাংক ব্যবস্থাপনার সঙ্গে জড়িতদের জবাবদিহিতার আওতায় আনার লক্ষ্য প্রভিশন সংরক্ষণ করা হয় । ব্যাংকের ক্রেডিট রেটিং মূল্যায়নের বাধ্যবাধকতার কারণেও প্রভিশন সংরক্ষণ করা হয়।
প্রভিশন ঘাটতির হালনাগাদ তথ্য বলছে, অগ্রণী ব্যাংকের ঘাটতি চার হাজার ৩৪৯ কোটি ৫০ লাখ টাকা; বেসিক ব্যাংকের ঘাটতি হলো পাঁচ হাজার ১৯৫ কোটি টাকা এবং আরেক রাষ্ট্রায়ত্ত রুপালীর প্রভিশন ঘাটতি দুই হাজার ২৭৩ কোটি টাকা।
অন্যদিকে বেসরকারি ব্যাংকগুলোর মধ্যে বাংলাদেশ কমার্স ব্যাংকের ঘাটতি ৩৮৪ কোটি ৬৯লাখ টাকা; ন্যাশনাল ব্যাংকের ঘাটতি ১১ হাজার ৬৯৭ কোটি ৬০ লাখ টাকা; স্ট্যান্ডার্ড ব্যাংকের ২৩০ কোটি ৬৭ লাখ টাকা এবং বিশেষায়িত প্রবাসী কল্যাণ ব্যাংকের ঘাটতির পরিমাণ ৬৬ কোটি ৮২ লাখ টাকা।
বাংলাদেশ সময় ২০৩০ ঘণ্টা : ১৩ ফেব্রুয়ারি, ২০২৪
জেডএ/এমএম