ঢাকা, বৃহস্পতিবার, ২২ কার্তিক ১৪৩১, ০৭ নভেম্বর ২০২৪, ০৫ জমাদিউল আউয়াল ১৪৪৬

অর্থনীতি-ব্যবসা

ঈদের বাজার: পাইকারিতে জমজমাট, খুচরায় এখনও ঢিলেঢালা

স্টাফ করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ২০২০ ঘণ্টা, মার্চ ২২, ২০২৪
ঈদের বাজার: পাইকারিতে জমজমাট, খুচরায় এখনও ঢিলেঢালা

ঢাকা: রমজানের ১১ তারিখে  ঈদের কেনাকাটায় পাইকারি বাজারগুলোতে ক্রেতাদের ভিড় দেখা গেছে। তবে খুচরা বাজারে এখনও তেমন জমজমাট হয়নি।

 

পাইকারি বাজারের ব্যবসায়ীরা বলছেন, বেচাকেনা শবে বরাত সময় থেকে থেকেই জমজমাট হয়ে উঠেছে। পাইকারি বাজারে ঈদের বেচাকেনা প্রায় শেষের দিকে।  

কিন্তু সে তুলনায় খুচরা বাজারে ঈদের বেচাকেনা এখন পর্যন্ত তেমনভাবে শুরুই হয়নি। ঢিলেঢালা অবস্থা।

খুচরা বাজারের ব্যবসায়ীরা বলছেন, সাধারণ খুচরা বাজারে ঈদের বেচাকেনা একটু দেড়িতেই শুরু হয়। তবে সববারের তুলনায় এবছর বিষয়টি একটু বেশি দেড়িতেই শুরু হচ্ছে। বর্তমান ঊর্ধ্বমুখী দ্রব্যমূল্যের সঙ্গে পাল্লা দিয়ে ঈদে কাপড়ের দামও বেড়েছে। এবারের ঈদে কাপড়ের দামের ক্ষেত্রে প্রতিটা পোশাকে দুই থেকে তিনশত টাকা পর্যন্ত বেশি গুনতে হবে ক্রেতাদের৷ 

যদিও ক্রেতারা বলছেন, বাজারে কাপড়ের দাম অনেক বেশি। তাই সীমিত বাজেটে কেনাকাটা করাই কঠিন হচ্ছে। ঈদের আগে দাম কমার আশায় অনেকে এখনও কেনাকাটা করছেন না।

শুক্রবার (২২ মার্চ) সন্ধ্যায় রাজধানীর খিলগাঁও তালতলা সিটি করপোরেশন মার্কেট, নিউ মার্কেট, চন্দ্রিমা মার্কেট, মৌচাক মার্কেট ঘুরে দেখা যায়, ঈদের খুচরা বাজারে কেনাকাটা করতে আসা ক্রেতাদের সংখ্যা তুলনামূলকভাবে কম।

ঈদের পোশাক হিসেবে ছেলেদের পাঞ্জাবির দোকানগুলোতে এখনো বেচাকেনা তেমনভাবে শুরু হয়নি। নিউমার্কেট এলাকার চন্দ্রিমা মার্কেটের দোতলায় ‘ইনজো বাই সাজ্জাত’ নামক খুচরা ও পাইকারি পাঞ্জাবির দোকানে মালিক মো সাজ্জাদ বাংলানিউজকে বলেন, আমরা এখন কারখানাগুলো থেকে মাল দোকানে ওঠানোতে ব্যস্ত সময় পার করছি। আমাদের খুচরা বেচাকেনা এখনো ভালোভাবে শুরু হয়নি। তবে আশা করছি সামনের সপ্তাহের মধ্যে কাস্টমার বাড়বে। এবার বিক্রি ভাল হতে পারে। কারণ গেল দুই ঈদে কারোই ব্যবসা ভালো হয়নি।  

এখনো জমে ওঠেনি ঈদের খুচরা বাজার

অন্যবারের ঈদের তুলনায় এবার পাঞ্জাবির গ্রাহকদের কাপড় কেনাকাটায় বাড়তি কেমন খরচ হতে পারে জানতে চাইলে চন্দ্রিমা মার্কেটের ‘খাকি’ নামক পাঞ্জাবির দোকানের মালিক মো. ওয়াহিদ বাংলানিউজকে বলেন, গত বছর যে ধরনের পাঞ্জাবি এক হাজার টাকায় বিক্রি করেছি। এই বছর সেই একই ধরনের পাঞ্জাবি ১ হাজার ৩০০ টাকার নিচে বিক্রি করলে আমাদের এই লস হয়ে যাবে। কারণ প্রতিটা প্রোডাক্ট তৈরির পেছনে কাপড় কেনা থেকে শুরু করে বানানো পরিবহণ খরচ, মজুরিসহ সব কিছুতেই খরচ বেড়েছে। সব কিছুর খরচ বাড়ায় বাধ্য হয়েই দাম বাড়াতে হচ্ছে।  

এদিকে শবে বরাতের আগে থেকেই পাইকারি বাজারে ঈদের পোশাক হিসেবে মেয়েদের সেলোয়ার কামিজের বেচাবিক্রি জমজমাট হয়ে উঠেছে। রমজান শুরুর পর থেকেই মেয়েদের পোশাক সেলাই ছাড়া কাপড় বিক্রি এক প্রকার ভালোই জমে উঠেছে বলে দাবি ব্যবসায়ীদের৷ 

এখন মেয়েদের ঈদের এই পোশাকগুলো সেলাইয়ের জন্য ব্যস্ততা বেড়েছে বিভিন্ন মার্কেট ও এলাকার দোকানগুলোতে।  

খিলগাঁও তালতলা মার্কেটের দোতলায় মেয়েদের পোশাক সেলাই করেন মো জহির মিয়া। তিনি বাংলানিউজকে বলেন, ঈদে মেয়েদের সেলোয়ার কামিজ, শাড়ির পাইড়, ব্লাউজ, জামায় লেইস লাগানো ইত্যাদি কাজের অর্ডার রোজার শুরু থেকেই আসছে। অনেক অর্ডার পেয়েছি। এখন যারা ওর্ডার দিচ্ছেন, তাদের কাজ ঈদের আগে শেষ করতে পারব কিনা; এনিয়ে সন্দেহ আছে।  

বাংলাদেশ সময়: ২০০৭ ঘণ্টা, মার্চ ২২, ২০২৪
ইএসএস/এসএএইচ

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।