ঢাকা, সোমবার, ১০ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ২৫ নভেম্বর ২০২৪, ২৩ জমাদিউল আউয়াল ১৪৪৬

অর্থনীতি-ব্যবসা

দেশে সবুজ তৈরি পোশাক কারখানা এখন ২১৪

সিনিয়র করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ০০৫৭ ঘণ্টা, মার্চ ২৫, ২০২৪
দেশে সবুজ তৈরি পোশাক কারখানা এখন ২১৪ ফাইল ফটো

ঢাকা: দেশে আরও একটি পরিবেশ সম্মত সবুজ কারখানার সংখ্যা বেড়েছে। কারখানাটির নাম এপিএস নিটওয়্যার কম্পোজিট লিমিটেড।

কারখানার প্রাপ্ত সনদ গোল্ড পর্যায়ের। প্রাপ্ত পয়েন্ট ৭১। এ নিয়ে দেশে মোট সবুজ কারখানার সংখ্যা দাঁড়িয়েছে ২১৪টিতে। এর মধ্যে প্লাটিনাম সনদ প্রাপ্ত কারখানা ৮০টি, গোল্ড সনদ প্রাপ্ত কারখানা ১২০টি, সিলভার ১০টি আর সার্টিফাইড ৪টি। এপিএস নিটওয়্যার কম্পোজিট লিমিটেড কারখানাটি গাজীপুরের সদরের পূবাইলের কামারগাঁওয়ে অবস্থিত।

সব শেষে সবুজ সনদ পাওয়া কারখানা এপিএস নিটওয়্যার কম্পোজিট কারখানার অভ্যন্তরীণ মানে নির্ধারিত মানদণ্ডের চেয়ে ভালো করেছে। স্থান ও ট্রান্সপোর্টেশনেও ভালো করে কারখানাটি। কারখানাটি ভালো করেছে নির্মাণে ব্যবহৃত ম্যাটেরিয়াল ও রিসোর্সেও।

২০১৪ সালে রানা প্লাজা ধসে বিপুল সংখ্যক শ্রমিক নিহতের ঘটনা বাংলাদেশের তৈরি পোশাক শিল্পের কর্ম পরিবেশ নির্মাণ ও পরিবেশ নিয়ে অবহেলার বিষয়টি দুনিয়াজুড়ে মানুষের নজরে আসে। এরপর থেকে তৈরি পোশাক কারখানার ভঙ্গুর অবস্থা থেকে উত্তরণে সর্বাত্মক উদ্যোগ শুরু হয়। এ কাজে অংশগ্রহণ করে দেশের উদ্যোক্তা-সরকারের পাশাপাশি বিদেশি ক্রেতাও এগিয়ে আসে।

এসব উদ্যোগের ফলে গত কয়েক বছরের মধ্যে দেশের তৈরি পোশাক শিল্পের কর্ম পরিবেশ, উৎপাদন প্রক্রিয়া ও রানা প্লাজা ধসের মধ্যে দিয়ে তৈরি পোশাক শিল্পের ভেতরের যে ভঙ্গুর অবস্থা মানুষের সামনে আসে তা উন্নত হতে থাকে।

এটা আমাদের তৈরি পোশাক শিল্পের উদ্যোক্তার উদ্যোগের ফল বলে মনে করেন তৈরি পোশাক প্রস্তুত ও রপ্তানিকারক সমিতির পরিচালক মো. মহিউদ্দিন রুবেল। তিনি বাংলানিউজকে বলেন, কয়েক বছর ধরে আমরা বলে আসছি আমাদের ৫০০ সবুজ কারখানা লাইনে আছে। সেগুলোরই পর্যায়ক্রমে সনদ আসছে।

বাংলাদেশের তৈরি পোশাক কারখানা উন্নত পরিবেশ নিয়ে কাজ করছে তার প্রকাশ হলো এ সনদ। বাংলাদেশ শুধু সবুজ কারখানা বা উৎপাদন ব্যবস্থার উন্নত করেছে তাই  নয়, বাংলাদেশ পরিবেশের দিক থেকে, সব দিক থেকে অগ্রগতির ফসল এ সবুজ সনদ। আস্তে আস্তে আমরা পণ্য বহুমুখীকরণ বলি বা বাজার বহুমুখীকরণ বলি তৈরি পোশাক শিল্প সেই ভিত্তি তৈরি করছে। আর ক্রেতারাও তার প্রতিফলন দেখানো শুরু করেছে। আগামীতে এর ইমপ্যাক্ট আরও বেশি পড়বে মনে করেন বিজিএমইএ’র পরিচালক।

তিনি বলেন, এ সবুজ কারখানা আমাদের অবকাঠামোতেও ভূমিকা রাখছে।  

২০১৩ সালের আগে থেকেই সবুজ কারখানার তাগিদ অনুভব করে দেশের উদ্যোক্তারা। বাসাবাড়ির ছাদে, মার্কেটের ফ্লোরে বা ঘন জনবসতির ভবনে যে তৈরি পোশাক কারখানার যাত্রা শুরু করেছিল দেশের উদ্যোক্তারা, রানা প্লাজা ধসে হতাহতে সবুজ কারখানার তাগিদ আরও বাড়ে।

তথ্য বলছে, ২০১১ সালে সবুজ কারখানার সনদ পায় দুটি, ২০১২ সালের দুটি,  ২০১৩ সালে বেড়ে দ্বিগুণ হয়। ২০১৪ সালে সবুজ সনদ পায় তিনটি, ২০১৫ সালে ১১টি, ২০১৬ সালে ১৫টি, ২০১৭ সালে ১৬টি, ২০১৮ সালে ২৪টি, ২০১৯ সালে ২৮টি, ২০২০ সালে ২৩টি, ২০২১ সালে ২৪টি, ২০২২ সালে ৩০টি, ২০২৩ সালে ২৪টি ও ২০২৪ সালের মার্চ পর্যন্ত আটটি কারখানা সবুজ সনদ পায়।

সবুজ সনদ পাওয়ার পর রানা প্লাজা ধসে তৈরি পোশাক কারখানা নিয়ে নেতিবাচক যে ইমেজ তৈরি হয়েছিল তা বদলাতে থাকে। সেই সঙ্গে বাড়তে থাকে ক্রেতাদের আগ্রহ। তৈরি পোশাকের দামেও এর ইতিবাচক প্রভাব পড়তে থাকে।

বাংলাদেশ সময়: ০০৫৬ ঘণ্টা, মার্চ ২৫, ২০২৪
জেডএ/আরবি

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।