ঢাকা, শুক্রবার, ৭ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ২২ নভেম্বর ২০২৪, ২০ জমাদিউল আউয়াল ১৪৪৬

অর্থনীতি-ব্যবসা

ভোজনরসিকদের মিলনমেলা আইসিসিবির ইফতার বাজারে

স্টাফ করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ১৮১৪ ঘণ্টা, এপ্রিল ৫, ২০২৪
ভোজনরসিকদের মিলনমেলা আইসিসিবির ইফতার বাজারে

ঢাকা: রমজানের দিনগুলোতে ইফতারের জন্য বিভিন্ন সুস্বাদু খাবারের সন্ধানে ইফতার বাজারগুলোতে ছুটে বেড়ান ভোজনরসিকরা। এর মধ্যে রাজধানীর ইন্টারন্যাশনাল কনভেনশন সিটি বসুন্ধরার (আইসিসিবি) ‘পুরান ঢাকার ইফতার বাজারও’ বেশ প্রিয় তাদের কাছে।

 

ঐতিহ্যবাহী পুরান ঢাকার খাবারের স্বাদ পেতে প্রতিনিয়ত ক্রেতার ভিড় জমছে এই বাজারে। এক সঙ্গে সব খাবার এক ছাদের নিচে পাওয়ায় ভোজনরসিকদের কাছে এটি একটি মিলনমেলা হয়ে উঠেছে।  

প্রথম রোজা থেকেই আইসিসিবির পুরান ঢাকা ইফতার বাজারে দেখা যাচ্ছে ভিড়। রমজানের শেষ দিকে এসে ক্রেতাদের এই ভিড় বেড়েছে আরও।

বৃহস্পতিবার (৪ এপ্রিল) বিকেলে আইসিসিবির পুষ্পাঞ্জলি হল সরেজমিনে ঘুরে দেখা যায়, বিকেল ৪টার পর থেকেই আইসিসিবির ইফতার বাজারে ক্রেতাদের আনাগোনা শুরু হয়। সন্ধ্যার ঘনিয়ে আসতেই বাজারে ক্রেতাদের সমাগম আরও বেড়ে যায়। ক্রেতারা ঘুরে ঘুরে কিনে নিচ্ছেন ঐতিহ্যবাহী অনেক ইফতার সামগ্রী।

বাজার ঘুরে দেখা যায়, পুরান ঢাকার বিখ্যাত বিভিন্ন খাবারের স্টল সাজানো হয়েছে। খাবার পরিবেশন করা হচ্ছে পরিষ্কার-পরিচ্ছন্ন ও স্বাস্থ্যকর পরিবেশে। বাজারের সব স্টলে খাবার তৈরির জন্য ব্যবহৃত হচ্ছে উন্নত মানের উপাদান।  

ঐতিহ্যবাহী পুরান ঢাকার চিকেন হাড়িয়ালি কাবাব, চিকেন রেশমি কাবাব, চিকেন সাসলিক, জালি কাবাব, খাসির কাচ্চি, গরুর তেহারি, বিরিয়ানি, পোলাওয়ের পাশাপাশি বিভিন্ন ধরনের ঐতিহ্যবাহী পানীয়ও পাওয়া যাচ্ছে এ বাজারের প্রতিটি স্টলে।  

আইসিসিবির পুরান ঢাকার ইফতার বাজারে এসে ভোজনরসিকরা একই জায়গায় ঢাকার সব বিখ্যাত খাবারের স্বাদ পাওয়া খুবই খুশি।

স্বামীকে নিয়ে আইসিসিবির ইফতার বাজারে এসেছেন কাশফিয়া ইসলাম হৈমন্তী। কথা হলে এই নারী বাংলানিউজকে বলেন, আমি ঢাকার বিভিন্ন ইফতার বাজারে গিয়েছি, কিন্তু আইসিসিবির ইফতার বাজারের মতো সুন্দর পরিবেশ আর কোথাও পাইনি।

আইসিসিবির ইফতার বাজারে কেনাকাটা করতে আসা নিকুঞ্জ এলাকার বাসিন্দা আসিফ খান বাংলানিউজকে বলেন, আমি পুরান ঢাকার খাবারের ভক্ত। তাই প্রতি রমজান মাসে এ বাজারে আসি। এখানে পুরান ঢাকার সব ধরনের খাবার একসঙ্গে পাওয়া যায়। এ বাজারের পরিবেশ খুবই মনোরম। এখানে এসে ইফতার করার এক আলাদা আনন্দ আছে।

এদিকে ২৫ রোজা (৫ এপ্রিল) পর্যন্ত আইসিসিবির ইফতার বাজারের এই আয়োজন করার কথা থাকলেও, পর্যাপ্ত ক্রেতা উপস্থিত থাকায় এর সময় আরও দুইদিন বাড়িয়ে ২৭ রোজা (৭ এপ্রিল) পর্যন্ত বাড়ানো হয়েছে বলে জানিয়েছেন আইসিসিবির পরিচালক মো. জসীম উদ্দীন।  

আইসিসিবি কর্তৃপক্ষ জানায়, নতুন ঢাকার বাসিন্দাদের পুরান ঢাকার ঐতিহ্যবাহী ইফতারির স্বাদ দিতে প্রতি বছর এ আয়োজন করা হচ্ছে। নিরাপদ ও স্বাস্থ্যসম্মত খাবারের নিশ্চয়তা দিতে সার্বক্ষণিক তদারকি করা হচ্ছে। মান যাচাই ছাড়া এখানে কোনো খাবার বিক্রি করতে দেওয়া হয় না। ৩০০ ফুট সড়কের পাশে হওয়ায় যানজট এড়িয়ে সহজেই ক্রেতারা এসে ইফতার কিনে নিয়ে যাচ্ছেন। পর্যাপ্ত গাড়ি পার্কিং সুবিধা থাকায় অনেকে গাড়ি রেখে ইফতার করছেন এখানে।

বাংলাদেশ সময়: ১৮১২ ঘণ্টা, এপ্রিল ০৫, ২০২৪
ইএসএস/এইচএ/

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।