ঢাকা: দেশের তৈরি পোশাকশিল্পে আরও একটি পরিবেশবান্ধব (গ্রিন) কারখানা যোগ হলো। নতুন ‘গ্রিন’ সনদ পাওয়া কারখানাটির নাম ফ্যাশন মার্কেট।
ফ্যাশন মার্কেটের সনদ পাওয়ার মধ্য দিয়ে দেশে মোট গ্রিন বা পরিবেশবান্ধব কারখানার সংখ্যা দাঁড়ালো ২১৫টি। এর মধ্যে প্লাটিনাম ৮১টি, গোল্ড ১২০টি, সিলভার ১০টি এবং সার্টিফায়েড চারটি।
তৈরি পোশাকশিল্পের উদ্যোক্তারা বলছেন, বাংলাদেশের পোশাক শিল্প এখন স্থায়িত্ব, জলবায়ু পরিবর্তন, ভূগর্ভস্থ পানি হ্রাস এবং দক্ষতার ক্রমবর্ধমান সমস্যাগুলি মোকাবিলা করে বিশ্বব্যাপী তৈরি পোশাকের বাজারের ভিত্তি শক্ত করছে। তারই ধারাবাহিকতায় নতুন এ কারখানা পেয়েছে ‘গ্রিন’ সনদ।
রানা প্লাজা ট্র্যাজেডির পর সবুজ কারখানা ভবনের দিকে অগ্রসর হওয়া বাংলাদেশের ভাবমূর্তি পুনরুদ্ধার করতে সাহায্য করেছে। সাভারে ২০১৩ সালের ওই ভবন ধসের ঘটনায় এক হাজার ১৩৪ জনের মৃত্যু ও দুই হাজার জনের বেশি আহত হন। এর মাধ্যমে বাংলাদেশের তৈরি পোশাকশিল্পের অভ্যন্তরীণ নাজুক অবস্থা সামনে চলে আসে। এ সময় সবুজ কারখানা প্রয়োজনীয়তার বিষয়টি সামনে আসে এ খাতের উদ্যোক্তা ও নীতি-নির্ধারকদের।
বাংলাদেশ ২০১১ সাল থেকে পরিবেশবান্ধব তৈরি পোশাক কারখানার সনদ পাওয়া শুরু করে। কিন্তু রানা প্লাজার ধসের পর থেকে কারখানার জন্য পরিবেশবান্ধব হওয়ার বিষয়টি গুরুত্বপূর্ণ হয়ে উঠে। উদ্যোক্তারা কারখানাকে পরিবেশবান্ধব করার তাগিদ দেন। ২০১৩ সাল পর্যন্ত যেখানে দুটি থেকে তিনটি তৈরি পোশাক কারখানা পরিবেশ বান্ধব বা গ্রিন সনদ পায়, পরের বছর থেকে ১১ থেকে ৩০টা পর্যন্ত সনদ আসে। চলতি বছরের এপ্রিলের মাঝামাঝি পর্যন্ত নয়টি কারখানা গ্রিন সনদ অর্জন করলো।
দেশে পরিবেশবান্ধব কারখানার সনদ পাওয়ার সঙ্গে সঙ্গে বিশ্ববাজারে বাংলাদেশের তৈরি পোশাক অবস্থাও টেকসই হচ্ছে বলে জানাচ্ছেন এ খাতের ব্যবসায়ীরা।
বাংলাদেশ সময়: ১৬১৫ ঘণ্টা, এপ্রিল ১৭, ২০২৪
জেডএ/এইচএ/