চাঁপাইনবাবগঞ্জ: চাঁপাইনবাবগঞ্জে এবছর আম ক্যালেন্ডার না থাকায় চাষিরা আম পাকলেই বাজারজাত করার সুযোগ পাবেন। এরই পরিপ্রেক্ষিতে জেলার ভোলাহাট উপজেলায় প্রথম দিন উপজেলার প্রধান বাজার আম ফাউন্ডেশন চত্বরে ২০ মণ আম বাজারে তোলেন চাষিরা।
শনিবার (১ জুন) সকালে আম ফাউন্ডেশন চত্বরে আম বিক্রির উদ্বোধন করেন উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) তাহমিদা আক্তার। বাজারে প্রথম দিন বিভিন্ন জাতের গুটি ও গোপালভোগ আম দেখা গেলেও দাম ছিল বেশ চড়া।
ভোলাহাটের আমচাষি শরিফুল ইসলাম বলেন, এবছর তারা বিভিন্ন জাতের গুটি আম রকম ভেদে মণ প্রতি ১৫শ থেকে ১৮শ টাকায় এবং গোপালভোগ জাতের আম মণ প্রতি আকার ভেদে ২৫শ থেকে ২৮শ টাকা দরে বিক্রি করছেন। তবে বাজারে ক্রেতা খুবই কম।
অপর চাষি রবিউল ইসলাম জানান, তিনি প্রথম দিন ২ মণ আম বাজারে এনেছেন। তবে সাড়া একটু কম। এবছর আম কম হওয়ায় বাজারে নামছেও কম। তাছাড়া এবার মুকুল দেরিতে আসায় এবং আবহাওয়াজনিত কারণে আম দেরিকে পাকতে আরম্ভ করেছে।
আম ফাউন্ডেশনের সাধারণ সম্পাদক মো. মুনসুর আলী বলেন, এবছর গত বছরের মতো আম ক্যালেন্ডার না থাকায় চাষিদের ওপর কোনো বাড়তি চাপ নাই। তাই এবছরও যারা প্রকৃত আমের স্বাদ পেতে চান, তাদের এ জেলার আম খেতে হবে। তবে এবছর আমের ফলন কম হওয়ায় দাম কিছুটা বাড়তি থাকবে বলেও স্বীকার করেন তিনি।
তিনি আরও বলেন, এ বছর ভোলাহাটে গত বছরের তুলনায় গোপালভোগ মণে ১ হাজার ও বিভিন্ন জাতের গুটি মনে ৫০০ টাকা বেশি দরে বিক্রি হচ্ছে।
আম বাজারজাতকরণের সময় উপস্থিত ছিলেন- উপজেলা পরিষদ চেয়ারম্যান মো. রাব্বুল হোসেন, ভোলাহাট থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) সুমন কুমার, আম ফাউন্ডেশনসহ সভাপতি মো. মৌদুদুর রহমান শাহ, সাধারণ সম্পাদক মো. মুনসুর আলী, যুগ্ম সম্পাদক মো. নাসির উদ্দিন, উপজেলা পরিষদের নবনির্বাচিত ভাইস চেয়ারম্যান ও আম ফাউন্ডেশনের সিনিয়র সহ-সভাপতি মো. কামাল উদ্দিন, নবনির্বাচিত মহিলা ভাইস চেয়ারম্যান মোসা. শাহাজাদী বিশ্বাস, উপজেলা যুবলীগের সভাপতি মো. রেজাউল করিম বাবলুসহ অন্যরা।
এ সময় সুষ্ঠু পরিবেশে বৈধ উপায়ে পরিপক্ব আম বাজারজাত করার জন্য পরামর্শ দেন অতিথিরা।
বাংলাদেশ সময়: ২০৪৮ ঘণ্টা, জুন ০১, ২০২৪
এসআরএস