ঢাকা, শনিবার, ৭ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ২৩ নভেম্বর ২০২৪, ২১ জমাদিউল আউয়াল ১৪৪৬

অর্থনীতি-ব্যবসা

দুই বছরে পদ্মা সেতুর আয় ১৬০০ কোটি টাকা 

স্টাফ করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ১৫১৮ ঘণ্টা, জুন ২৫, ২০২৪
দুই বছরে পদ্মা সেতুর আয় ১৬০০ কোটি টাকা 

ঢাকা: পদ্মা সেতুর আজ দুই বছর পূর্তি। ২০২২ সালের ২৫ জুন এই সেতু যানবাহন চলাচলের জন্য খুলে দেওয়া হয়।

গত দুই বছরে এই সেতু থেকে এক হাজার ৬৪৮ কোটি টাকা টোল আদায় করা হয়েছে। এই সময়ের মধ্যে এক কোটি ২৭ লাখ গাড়ি চলাচল করেছে।  

মঙ্গলবার (২৫ জুন) রাজধানীর বনানীতে বাংলাদেশ সেতু কর্তৃপক্ষের ১১৪তম বোর্ড সভা শেষে এই তথ্য জানান সড়ক পরিবহন ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের।  

ওবায়দুল কাদের বলেন, ইতোমধ্যে পদ্মা সেতুর জন্য সুফল ভোগ করছে দেশের দক্ষিণ ও দক্ষিণ- পশ্চিমাঞ্চলের ২১ জেলার প্রায় তিন কোটি মানুষ। যান চলাচল শুরু হওয়ার পর থেকে এ পর্যন্ত প্রায় এক কোটি ২৭ লাখ যানবাহন পারাপার হয়েছে। মোট টোল আদায় হয়েছে প্রায় এক হাজার ৬৪৮ কোটি টাকারও বেশি। অর্থ বিভাগের সঙ্গে বাংলাদেশ সেতু কর্তৃপক্ষের ঋণ চুক্তি অনুযায়ী ছয় কিস্তিতে অর্থ বিভাগকে ৯৪৮ কোটি টাকা পরিশোধ করা হয়েছে।  
আগামী ২৭ জুন সপ্তম ও অষ্টম কিস্তি বাবদ ৩১৪ কোটি টাকার চেক প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার মাধ্যমে অর্থ বিভাগকে হস্তান্তর করা হবে বলেও জানান তিনি।  

সেতুমন্ত্রী বলেন, ঢাকা এলিভেটেড এক্সপ্রেসওয়ে নিয়ে জানানো হয়, এটি পাবলিক-প্রাইভেট পার্টনারশিপ (পিপিপি) ভিত্তিক দেশের বৃহত্তম প্রকল্প। প্রকল্পটি হযরত শাহজালাল বিমানবন্দরের দক্ষিণে কাওলা হতে শুরু হয়ে ঢাকা-চট্টগ্রাম মহাসড়কের কুতুবখালী পর্যন্ত যাবে। প্রকল্পের মোট ব্যয় আট হাজার ৯৪০ কোটি টাকা। প্রকল্পের মূল দৈর্ঘ্য ১৯ দশমিক ৭৩ কিলোমিটার। র‌্যাম্পসহ এলিভেটেড এক্সপ্রেসওয়ের মোট দৈর্ঘ্য ৪৬ দশমিক ৭৩ কি. মি.।  
গত বছর ৩ সেপ্টেম্বর প্রকল্পের হযরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমান বন্দরের দক্ষিণে কাওলা থেকে ফার্মগেট পর্যন্ত যান চলাচলে জন্য উন্মুক্ত করা হয়। ইতোমধ্যে ওঠা-নামার জন্য মোট ১৬টি র‌্যাম্প (এয়ারপোর্ট দুটি, কুড়িলে তিনটি, বনানীতে চারটি, মহাখালীতে তিনটি, বিজয় সরণিতে দুটি, ফার্মগেটে একটি ও এফডিসি গেট সংলগ্ন একটি) যান চলাচলের জন্য উন্মুক্ত করা হয়েছে। এক্সপ্রেসওয়েতে গাড়ির সর্বোচ্চ গতিসীমা আপাতত প্রতি ঘণ্টায় ৬০ কিলোমিটার। প্রকল্পের সার্বিক অগ্রগতি শতকরা ৭৪ দশমিক ৮১ ভাগ।  

এছাড়া ঢাকা-আশুলিয়া এলিভেটেড এক্সপ্রেসওয়ে প্রকল্পটি বাস্তবায়ন করছে চায়না ন্যাশনাল মেশিনারি এক্সপোর্ট ইমপোর্ট কর্পোরেশন (সিএমসি)। প্রকল্পটি হযরত শাহজালাল বিমান বন্দর হতে শুরু হয়ে ঢাকা-ইপিজেড পর্যন্ত যাবে। প্রকল্পের মোট ব্যয় ১৭ হাজার ৫শত ৫৩ কোটি টাকা। ২৪ কিলোমিটার দৈর্ঘ্যের এলিভেটেড এক্সপ্রেস ওয়েটির অ্যালাইনমেন্টের মধ্যে ২১ কিলোমিটারে নির্মাণ কাজ চলমান রয়েছে। প্রকল্পটির সার্বিক অগ্রগতি শতকরা ৪৪ ভাগ।   

এ সময় পদ্মা বহুমুখী সেতু প্রকল্পের প্রকল্প পরিচালক প্রকৌশলী মো. শফিকুল ইসলাম উপস্থিত ছিলেন।

বাংলাদেশ সময়: ১৫১৬ ঘণ্টা, জুন ২৫, ২০২৪
এনবি/এসআইএস 

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।