ঢাকা, শুক্রবার, ১১ শ্রাবণ ১৪৩১, ২৬ জুলাই ২০২৪, ১৯ মহররম ১৪৪৬

অর্থনীতি-ব্যবসা

রাষ্ট্রীয় সম্পদ ধ্বংস ও প্রাণহানি: জড়িতদের শাস্তি দাবি অর্থনীতি সমিতির

সিনিয়র কসেপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ১৫৫৫ ঘণ্টা, জুলাই ২৬, ২০২৪
রাষ্ট্রীয় সম্পদ ধ্বংস ও প্রাণহানি: জড়িতদের শাস্তি দাবি অর্থনীতি সমিতির

ঢাকা: সরকারি চাকরিতে শিক্ষার্থীদের কোটা সংস্কার আন্দোলনকে ঘিরে রাজধানীসহ সারা দেশে সহিংসতায় প্রাণহানি ও রাষ্ট্রীয় সম্পদ ধ্বংসের ঘটনার সুষ্ঠু তদন্তের মাধ্যমে দোষীদের বিচারের আওতায় আনার দাবি জানিয়েছে বাংলাদেশ অর্থনীতি সমিতি।

শুক্রবার (২৬ জুলাই) অর্থনীতি সমিতির সভাপতি ড. কাজী খলীকুজ্জমান আহমদ ও সাধারণ সম্পাদক ড. মো. আইনুল ইসলাম এক বিবৃতিতে এ দাবি জানান।

 

বিবৃতিতে বলা হয়, দেশজুড়ে রাষ্ট্রীয় সম্পদ ও প্রাণহানিতে দেশের মানুষ ভীতসন্ত্রস্ত হয়ে পড়ে। এরই প্রেক্ষিতে অনির্দিষ্টকালের জন্য কারফিউ জারি করা হয়। যদিও প্রতিদিনই কারফিউ শিথিল করা হচ্ছে, মানুষের জীবনে স্বস্তি ফিরতে শুরু করছে এবং অফিস-আদালত, ব্যাংক-বাণিজ্যিক প্রতিষ্ঠান, কলকারখানা ও ব্যবসা প্রতিষ্ঠানে ইতোমধ্যেই কার্যক্রম শুরু হয়েছে। আশা করা যায় দ্রুতই সার্বিক পরিস্থিতি স্বাভাবিক হয়ে আসবে এবং কারফিউ উঠে যাবে।

কোটা আন্দোলনকারীদের দাবি পূরণ হয়েছে উল্লেখ করে সমিতির নেতারা বলেন, এখন শিক্ষাঙ্গনগুলোর পরিস্থিতি স্বাভাবিক করতে সবাইকে সচেষ্ট হতে হবে।

তারা বলেন, আন্দোলন চলাকালে ১৭ থেকে ২২ জুলাই পর্যন্ত রাষ্ট্রীয় সম্পদের ব্যাপক ক্ষয়ক্ষতি হয়েছে। দুর্বৃত্তরা মেট্রোরেল, বিটিভি ভবন, স্বাস্থ্য অধিদপ্তর, সেতু ভবন, সম্প্রসারিত টিকাদান কর্মসূচির কার্যালয়, বিভিন্ন স্থানের টোলপ্লাজা, দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা অফিস, মহাখালীর ডাটা সেন্টার, মহাখালী করোনা হাসপাতাল, পুষ্টি ইনস্টিটিউট, স্বাস্থ্য অধিদপ্তর, বিদ্যুৎ অফিস, বিআরটিএ ভবনসহ দেশের বিভিন্ন স্থানে পুলিশ বক্সে অগ্নিসংযোগ ও লুটপাট করেছে। এছাড়া বহু ব্যাংক, দোকানপাট, অফিস, সরকারি-বেসরকারি স্থাপনায় ভাঙচুর চালানো হয়েছে। দুর্বৃত্তরা নরসিংদীতে কারাগারে হামলা করে লুটপাট, অগ্নিসংযোগ ও সব কয়েদীকে বের করে দিয়েছে।  

বিবৃতিতে উল্লেখ করা হয়, এসব ধ্বংসাত্মক কর্মকাণ্ড যারা সংগঠিত করেছে, তাদের চিহ্নিত করে আইনের আওতায় আনার প্রক্রিয়া শুরু হয়েছে। আমরা আশা করি প্রকৃত দোষীদের চিহ্নিত করা হবে এবং তাদের যথাযথ বিচারের আওতায় আনা হবে। তবে এই বিচার প্রক্রিয়ায় নির্দোষ-নিরপরাধ কেউ যেন কোনোভাবেই ক্ষতিগ্রস্ত না হয়, সেদিকে দৃষ্টি রাখতে হবে।

অর্থনীতি সমিতির নেতারা বলেন, মুক্তিযুদ্ধের সব পক্ষকে একত্রিত হয়ে সব ধরনের ষড়যন্ত্র, সন্ত্রাস ও দুর্বৃত্তদের দমন এবং মুক্তিযুদ্ধের চেতনা সমুন্নত রেখে সুস্থ টেকসই গঠনতান্ত্রিক দেশ গঠনে নিজ নিজ অবস্থান থেকে সম্ভাব্য সর্বাত্মক প্রচেষ্টা গ্রহণে দেশবাসীর প্রতি আমরা আহ্বান জানাই। সব ধরনের গুজব ও সম্ভাব্য সন্ত্রাস সম্পর্কে সবাইকে সতর্ক থাকতে হবে।

বাংলাদেশ সময়: ১৫৩৯ ঘণ্টা, জুলাই ২৬, ২০২৪
জেডএ/এইচএ/

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।