ঢাকা: বাংলাদেশ পল্লী বিদ্যুৎ বোর্ডের (বাপবিবো) বৈদ্যুতিক বিতরণ ব্যবস্থার আধুনিকায়ন ও ক্ষমতাবর্ধন (খুলনা বিভাগ) জন্য ৭২ হাজার ৮৯৭টি এসপিসি বৈদ্যুতিক পোল কেনার সিদ্ধান্ত নিয়েছে সরকার। এতে মোট ব্যয় হবে ২২৭ কোটি ৯৪ লাখ ৭০ হাজার ১৯৩ টাকা।
বুধবার (৩১ জুলাই) সচিবালয়ে অর্থমন্ত্রী আবুল হাসান মাহমুদ আলীর সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত সরকারি ক্রয় সংক্রান্ত মন্ত্রিসভা কমিটির বৈঠকে তিনটি পৃথক প্রস্তাবের প্রেক্ষিতে এই পোল কেনার অনুমোদন দেওয়া হয়েছে।
সূত্রে জানা গেছে, বৈঠকে বিদ্যুৎ বিভাগ থেকে বাপবিবো বৈদ্যুতিক বিতরণ ব্যবস্থার আধুনিকায়ন ও ক্ষমতাবর্ধনের লক্ষ্যে এসপিসি পোল কেনার প্রস্তাব উপস্থান করা হয়। তিনটি প্রস্তাবই আলোচনার মাধ্যমে অনুমোদন দিয়েছে মন্ত্রিসভা কমিটি।
এর মধ্যে লট-১-এর আওতায় ২৪ হাজার ৩০০টি এসপিসি পোল কেনার অনুমোদন দেওয়া হয়েছে। বাংলাদেশ মেশিন টুলস ফ্যাক্টরি লিমিটেডের কাছ থেকে এই পোল কেনা হবে। এতে মোট ব্যয় হবে ৭৬ কোটি ৬৮ লাখ ১১ হাজার ৮৭৭ টাকা।
দ্বিতীয় প্রস্তাবে লট-২-এর আওতায় ২৪ হাজার ৩০০টি পোল কেনার প্রস্তাব উপস্থান করা হলে তাও অনুমোদন দিয়েছে মন্ত্রিসভা কমিটি। এই পোল কিনতে মোট ব্যয় হবে ৭৬ কোটি ৬৫ লাখ ১ হাজার ৩৭২ টাকা। চরকা এসপিসি পোলস লিমিটেড জেভি, দাদা ইঞ্জিনিয়ারিং লিমিটেড, টিএসসিও পাওয়ার লিমিটেড এবং পাশা পোলস লিমিটেড থেকে এই পোল কেনা হবে।
বিদ্যুৎ বিভাগের অপর প্রস্তাবে লট-৩-এর আওতায় ২৪ হাজার ২৯৭টি এসপিসি পোল কেনার অনুমোদন চাওয়া হয়। মন্ত্রিসভা কমিটি ৭৬ কোটি ৬১ লাখ ৫৬ হাজার ৯৪৩ টাকায় এই পোল কেনার অনুমোদন দিয়েছে। পোলস অ্যান্ড কনক্রিট লিমিটেড, কনটেক কন্সট্রাকশন লিমিটেড, রয়্যাল গ্রিন প্রোডাক্টস লিমিটেড এবং শেলটেক টেকনোলজির কাছ থেকে এই পোল কেনা হবে।
বাংলাদেশ সরকার, এশিয়ান ডেভেলপমেন্ট ব্যাংক (এডিবি) ও সংস্থার নিজস্ব অর্থায়নে মোট তিন হাজার ৭৬ কোটি ২২ লাখ ৫০ হাজার টাকা প্রাক্কলিত ব্যয়ের প্রকল্পটি ২০২১ সালের ৪ মে তারিখে একনেক সভায় অনুমোদিত হয়। প্রকল্পটির নির্ধারিত মেয়াদ ২০২১ সালের ৩০ জুন থেকে ২০২৫ সালের ৩০ জুন পর্যন্ত।
বাপবিবোর আওতায় নয়টি পল্লী বিদ্যুৎ সমিতির (বাগেরহাট, যশোর-১, যশোর-২, ঝিনাইদহ, খুলনা, কুষ্টিয়া, মাগুরা, মেহেরপুর ও সাতক্ষীরা) এলাকায় পল্লী বিদ্যুতায়ন নেটওয়ার্কের আধুনিকায়ন ও ক্ষমতাবর্ধন, ক্রমবর্ধমান বিদ্যুতের চাহিদা মেটানো, নিরবচ্ছিন্ন ও গুণগত মানসম্পন্ন বিদ্যুৎ সরবরাহ নিশ্চিত করার জন্য প্রকল্পটি গ্রহণ করা হয়েছে।
বাংলাদেশ সময়: ১৬১৬ ঘণ্টা, জুলাই ৩১, ২০২৪
জিসিজি/এসআইএস