দিনাজপুর: পবিত্র ঈদে মিলাদুন্নবী উপলক্ষে একদিন বন্ধ থাকার পর দিনাজপুরের হিলি স্থলবন্দর দিয়ে ভারত থেকে পণ্য আমদানি-রপ্তানি শুরু হয়েছে। একই সঙ্গে চারদিন বন্ধ থাকার পর কম শুল্কের পেঁয়াজ আমদানি হয়েছে এদিন।
মঙ্গলবার (১৭ সেপ্টেম্বর) বিকেল সাড়ে ৫টার দিকে নতুন ধার্যকৃত নতুন শুল্ক মূল্যে পেঁয়াজ বাংলাদেশে প্রবেশ করে।
এর আগে এদিন বিকেল পৌনে ৫টার দিকে ভারতীয় কাস্টমসে পেঁয়াজ রপ্তানিতে শুল্ক হার ৪০ থেকে কমিয়ে ২০ ভাগ বিষয়টি আপডেট করা হয়। পরে ভারতীয় কাস্টমসে পেঁয়াজ রপ্তানির টেন্ডার প্রক্রিয়া শুরু হয়।
আমদানিকৃত এসব পেঁয়াজ বাজারে ৮০-৮৫ টাকায় বিক্রি হবে বলে জানিয়েছেন আমদানিকারকরা।
হিলি স্থলবন্দরের পেঁয়াজ আমদানিকারক মামুনুর রশিদ বলেন, গত ১৩ সেপ্টেম্বর পেঁয়াজ রপ্তানিতে শুল্ক ৪০ থেকে কমিয়ে ২০ ভাগ নির্ধারণ করে ভারত। একই সঙ্গে পেঁয়াজের রপ্তানি মূল্য ৫৫০ ডলার থেকে কমিয়ে ৪০৫ ডলার করে। এর পরে আমরা ভারত থেকে পেঁয়াজ আমদানি করতে আগের বাড়তি মূল্যে করা এলসিগুলো সংশোধন করাসহ সব প্রস্তুতি নেই। কিন্তু শুল্ক কমানোর বিষয়টি ভারতীয় কাস্টমসের সার্ভারে আপডেট করা হয়নি। যার কারণে কম শুল্কের পেঁয়াজ আমদানি শুরু করতে পারিনি।
তিনি আরও বলেন, মঙ্গলবার বিকেলে ভারতীয় কাস্টমসে শুল্কহার কমার বিষয়টি আপডেট করা হয়। যার কারণে বিকেল থেকে বন্দর দিয়ে কম শুল্কের পেঁয়াজ আমদানি শুরু হয়েছে। তবে শুল্ক কমালেও ভারতে দাম বাড়ানোয় দেশের বাজারে দামের ওপর তেমন প্রভাব পড়বে না। তবে দু-চারদিন গেলে ভারতে দাম কমে আসবে, সেক্ষেত্রে আমদানি বাড়ার সঙ্গে দামও কমবে। বর্তমানে আমদানি করা পেঁয়াজ ৮০-৮৫ টাকার মধ্যে থাকবে।
উল্লেখ্য, পেঁয়াজের আমদানির ক্ষেত্রে ভারতে ন্যূনতম কোনও রপ্তানি মূল্য ছিল না। ২০২৩ সালের ২৮ অক্টোবর ৮০০ মার্কিন ডলার নির্ধারণ করে ভারত। পেঁয়াজ রপ্তানিতে নিরুৎসাহিত করতে এই উদ্যোগ নেওয়া হয়। পরে বন্যার কারণে পেঁয়াজের উৎপাদন ব্যাহতের অজুহাত দেখিয়ে ওই বছরের ৭ ডিসেম্বর ২০২৪ সালের ৩১ মার্চ পর্যন্ত পেঁয়াজ রপ্তানি বন্ধের সিদ্ধান্ত নেয় ভারত সরকার। কিন্তু ২৩ মার্চ এই মেয়াদ বাড়িয়ে অনির্দিষ্টকালের জন্য ঘোষণা করা হয়। পরে চলতি বছরের ৪ মে সেই নিষেধাজ্ঞা তুলে নিলেও পেঁয়াজ আমদানিতে ৪০ ভাগ শুল্ক হার নির্ধারণ করা হয়।
বাংলাদেশ সময়: ১৯৫০ ঘণ্টা, সেপ্টেম্বর ১৭, ২০২৪
এসআরএস