ঢাকা: দেশের ব্যবসায়ী শিল্পপতিদের শীর্ষ সংগঠন এফবিসিসিআইর সাবেক সভাপতি মীর নাসির হোসেন। বেসরকারি খাতের ইস্টার্ন ব্যাংকের পরিচালকও ছিলেন এ ব্যবসায়ী নেতা।
তিনি মনে করেন, ব্যবসাবাণিজ্যে যে সংকট চলছে তা দূর করতে ব্যবসায়ীদের নিরাপত্তা ও সুষ্ঠুভাবে ব্যবসা পরিচালনার পরিবেশ সৃষ্টি করতে হবে। তা না হলে বিনিয়োগ টেকসই হবে না। পরিবর্তিত পরিস্থিতিতে সার্বিক অর্থনীতির একটা উন্নয়ন দরকার।
প্রশ্ন : বড় ধরনের রাজনৈতিক পরিবর্তনের মধ্য দিয়ে যাচ্ছে দেশ। এ মুহূর্তে ব্যবসাবাণিজ্যের অবস্থা কেমন?
মীর নাসির হোসেন : গত ১৫ বছরের অব্যবস্থাপনা শেষের দিকে এসে আর সুখকর ছিল না। বিদ্যুতের এত এত সক্ষমতা তৈরি হলেও মানসম্পন্ন বিদ্যুৎ নেই। গ্যাসের অবস্থাও একই রকম। বিশেষ করে শেষ এক-দুই বছর আমরা ভীষণভাবে সাফার করেছি। কারণ চাহিদার অর্ধেক গ্যাসও আমরা পাইনি। ফলে উৎপাদন ব্যাহত হয়েছে, উৎপাদন খরচ বেড়েছে। বিকল্প জ্বালানিতে আমরা কারখানা চালানোর চেষ্টা করেছি, কিন্তু সেটাতে খরচ অনেক বেশি। তারপর ডলারের বিপরীতে টাকার অবমূল্যায়ন হলো। শুধু তাই নয়, ডলার সংকটও তৈরি হলো। এতে এলসি খোলা দুরূহ হয়েছিল। কাঁচামাল আমদানি করতে পারছিলাম না। যেটা আমাদের উৎপাদনের ওপর বিরূপ প্রভাব পড়েছে। তারপর মূলধনি যন্ত্রপাতি তো আমরা আনতেই পারিনি। এসব কিছুর বাইরে কাস্টমস, অগ্রিম আয়কর, এইচএস কোড নিয়ে জটিলতা ছিল। হয়রানি হতে হতে খালাসের অপেক্ষায় পণ্য বন্দরে পড়েছিল দিনের পর দিন। রাজস্ব বিভাগে দুর্বৃত্তায়নের চক্র আমাদের সাফার করিয়েছে। পণ্য আমদানি করার পর দেখা যাচ্ছে খরচ অনেক বেড়ে যাচ্ছে। আন্দোলন, কারফিউসহ নানা প্রতিবন্ধকতার কারণে এক মাস আমাদের উৎপাদন বন্ধ ছিল। ৫ আগস্টের পর বেশ কিছু শিল্প ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। এখন আরেকটা বিষয় দেখা যাচ্ছে সেটা হলো চাঁদাবাজির হাতবদল হয়েছে। আগে এক গ্রুপ নিত, এখন অন্য গ্রুপ চাঁদা নিচ্ছে। এ পরিস্থিতির মধ্য দিয়ে আমাদের যেতে হচ্ছে। আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণ করতে সরকারকে হিমশিম খেতে হয়েছে। কারণ আইনশৃঙ্খলা রক্ষার প্রথম বাহিনী পুলিশকে আন্দোলনের পর আর খুঁজে পাওয়া যায়নি। আবার অনেক জায়গায় পুলিশ সদস্যদের বসার মতো জায়গা ছিল না। এজন্য আমাদের অনেক বেগ পেতে হয়েছে। অনেক শিল্পপ্রতিষ্ঠান ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। সশস্ত্র বাহিনীকে বিচারিক ক্ষমতা দেওয়ার পাশাপাশি পুলিশ বাহিনী কিছুটা সক্রিয় হওয়ার পর পরিস্থিতি এখন কিছুটা স্বাভাবিক হয়েছে।
প্রশ্ন : বিগত সরকারের শেষ দিকে নানা কারণে ব্যবসাবাণিজ্য স্থবির ছিল, নতুন সরকার আসার পর প্রত্যাশা ছিল ব্যবসায় গতি আসবে, তার আগেই শিল্পকারখানায় হামলা-ভাঙচুর, ব্যবসায়ীদের নামে হত্যা মামলা হওয়ায় ব্যবসায়ীরা আশাহত হয়েছেন। নতুন বিনিয়োগ থেকে পিছু হটতে বাধ্য হয়েছেন। অনেকের মধ্যে ভীতি কাজ করছে, সেটা দূর করতে করণীয় কী?
মীর নাসির হোসেন : ব্যাংক ঋণের ৯ শতাংশ সুদ বেড়ে এখন ১৪-১৫ শতাংশ হয়েছে। এ পরিস্থিতিতে এত সুদ দিয়ে ব্যবসা টেকসই করা কষ্টসাধ্য। তারপর ঋণখেলাপির বিধি পরিবর্তন করা হয়েছে। এখন কিস্তি না দিলে ৯০ দিন পর খেলাপি ঘোষণা করা হবে। এতে আমরা শঙ্কিত। সুদহার বৃদ্ধির পাশাপাশি চাহিদামতো জ্বালানি সরবরাহ করা হচ্ছে না। ব্যবসাবাণিজ্যে যে সংকট চলছে তা দূর করতে ব্যবসায়ীদের নিরাপত্তা ও সুষ্ঠুভাবে ব্যবসা পরিচালনার পরিবেশ সৃষ্টি করতে হবে। এসবের অভাবে বিনিয়োগ টেকসই হবে না। পরিবর্তিত পরিস্থিতিতে সামগ্রিক অর্থনীতির একটা উন্নয়ন দরকার। তা না হলে বর্তমান বিনিয়োগ টেকসই হবে না। সামষ্টিক অর্থনীতির সূচকগুলোর উন্নয়ন করতে হবে। শুধু জিডিপির কথা চিন্তা করলে হবে না। ব্যবসা পরিচালনার খরচ কমাতে হবে। ইউটিলিটি সেবা পেতে যদি ঘুষ দিতে হয়, তাহলে খরচ কমবে না। যত দিন যাচ্ছে আমাদের খরচ বাড়ছে। এ জায়গাগুলোতে কাজ না করলে কোনো ফলাফল আসবে না। এ সরকারের কাছে আমাদের প্রত্যাশাটা বেশি। কারণ তারা চেষ্টা করছে সব জায়গায় একটা শৃঙ্খলা আনার। বিশেষ করে আর্থিক খাতে। কাস্টমস সমস্যার সমাধান, কর-জিডিপি অনুপাত বাড়ানোর উদ্যোগ নিতে হবে। ডাইরেক্ট ট্যাক্সে ফোকাস করতে হবে। অর্থনীতির প্যারামিটারগুলো স্বস্তিদায়ক অবস্থায় যদি না আনতে পারি তাহলে তো বিনিয়োগের পরিবেশ হবে না। বিগত সরকারের সময় সরকারের ব্যাংক ঋণ অনেক বেড়ে গিয়েছিল। তখন টাকা ছাপিয়ে পুনঃঅর্থায়ন করা হয়েছে। বেসরকারি খাতে টাকার সরবরাহ কমে যাওয়াও এর মূলে রয়েছে। কারণ বিদেশি ঋণ বেড়ে ১০০ বিলিয়ন ডলারে দাঁড়িয়েছে। যেটা ২০ থেকে ২৫ বিলিয়ন ডলার ছিল। আছে ডলার সংকট। এসব থেকে উত্তরণ করতে হবে। আমাদের চাহিদার সঙ্গে সরবরাহ ঠিকমতো হচ্ছে না। সরবরাহ ব্যবস্থা অনেক দুর্বল। বিভিন্ন জায়গায় চাঁদাবাজি। সেটা প্রাতিষ্ঠানিক হোক আর অপ্রাতিষ্ঠানিক হোক। উৎপাদন পর্যায়ে একটি লাউয়ের দাম কত আর ঢাকায় দাম কত। যদিও সিলেট-জামালপুর অঞ্চলে অতিবৃষ্টির কারণে বন্যায় অনেক সবজি ও ফসল নষ্ট হয়েছে। আমরা শুনি প্রতি রাতে কারওয়ান বাজারে কোটি টাকা চাঁদাবাজি হচ্ছে। গাবতলী ও সায়েদাবাদ বাসস্ট্যান্ডে চাঁদা দিতে হচ্ছে। এগুলো বন্ধ করতে হবে।
প্রশ্ন : ব্যাংক খাত শক্তিশালী করতে কী কী পদক্ষেপ নেওয়া উচিত?
মীর নাসির হোসেন : আমাদের দেশের অর্থনীতির যে আকার তাতে ৬০-৬৫টা ব্যাংক থাকার কোনো যৌক্তিকতা নেই। আপনি ভারতের মতো এত বড় দেশে দেখুন কয়টা ব্যাংক, ৫ থেকে ৬টা সরকারি ব্যাংক। আরও কয়েকটি বেসরকারি ব্যাংক রয়েছে। এতগুলো বিমা কোম্পানির দরকার ছিল কি? রাজনৈতিক কারণে দেওয়া হয়েছে। দুর্নীতির একটি চক্র গড়ে উঠেছিল। যার মাধ্যমে এ ব্যাংকগুলো সৃষ্টি হয়েছে। এগুলো দেখার কেউ ছিল না। যাদের দেখার কথা তারা হয়তো একচোখ বন্ধ করে আদেশ পালন করে গেছেন। এখন শৃঙ্খলা আনতে হলে আইনের শাসন প্রতিষ্ঠা করতে হবে।
এমন কিছু করা যাবে না যাতে আগের মতো আইন প্রয়োগের ক্ষেত্রে বৈষম্য তৈরি হয়। যারা ভালো ব্যবসায়ী, তাদের সংখ্যা কিন্তু বেশি। এ ব্যবসায়ীদের কিন্তু আস্থায় নিতে হবে সরকারকে। ৮৫ শতাংশ কর্মসংস্থান করেছে বেসরকারি খাত ও ব্যবসায়ীরা। শিল্প গড়ে না উঠলে তো কর্মসংস্থান হবে না। বেসরকারি খাত দেশের অর্থনীতির প্রধান চালিকাশক্তি। তাদের নীতিসহায়তা দিয়ে একটা অবস্থানে নিয়ে আসতে হবে। যাতে তারা আস্থা ও নিশ্চয়তা পায়। পুনর্বিনিয়োগ এবং নতুন বিনিয়োগ করতে পারে। একই সঙ্গে বিদেশি বিনিয়োগটা যাতে আকৃষ্ট করা যায় সেটারও উদ্যোগ নিতে হবে।
প্রশ্ন : দ্রব্যমূল্য নিয়ন্ত্রণের উপায় কী?
মীর নাসির হোসেন : আমাদের অনেক তদবির করার পর বাণিজ্য মন্ত্রণালয় একটা ট্যারিফ কমিশন করেছিল। তাদের দায়িত্ব মূল্য যাচাই করা। ঢাকা চেম্বারের একটা গবেষণায় বলা হয়েছে, উৎপাদন পর্যায়ে চালের কেজি ১৬-১৭ টাকা। সেই চাল ৬০-৬৫ টাকা কেজি বিক্রি হচ্ছে। এ কারণগুলো খুঁজে বের করতে হবে। কৃষক যেন ন্যায্যমূল্য পায় সেটা নিশ্চিত করতে হবে। যারা মধ্যস্বত্বভোগী তারাই লাভবান হচ্ছে। ভোক্তার কাছে পণ্য আসছে অনেক বেশি দামে। এটা শুধু পুলিশ দিয়ে বাস্তবায়ন করতে পারবেন না। সিস্টেমের মধ্যে আনতে হবে। যাতে উৎপাদক এবং ভোক্তার মধ্যে মূল্যের দূরত্বটা কমে যায়। তাহলে বিভিন্ন জায়গায় যে খরচ যুক্ত হচ্ছে সেগুলো হবে না। তারপরও বাজারের পূর্বাভাসটা করতে হবে। কারণ আমাদের অনেক পণ্যই উৎপাদননির্ভর। চাল, গম, ভুট্টা, সরিষার তেল, পিঁয়াজ, আলুসহ আরও অনেক কিছু দেশেই আবাদ হয়। সরকারের সবকিছু করতে হবে একটা গবেষণার মাধ্যমে। কারণ আমাদের চাহিদা কত, উৎপাদন কত হচ্ছে। বাকিটা আগে থেকেই আমদানির ব্যবস্থা করা হলে আর এ সংকটগুলো তৈরি হবে না। দামও নিয়ন্ত্রণের মধ্যে থাকবে। সামগ্রিক বাজার ব্যবস্থাপনাকে ঢেলে সাজাতে হবে। সামাজিক নিরাপত্তা কর্মসূচির আওতা আরও বাড়ানোর পাশাপাশি কার্যকর করতে হবে। বিগত আমলে ১ কোটি উপকারভোগীর ৪০ থেকে ৪৫ শতাংশ রাজনৈতিক দলের কর্মীদের দেওয়া হয়েছে। এই জায়গাগুলো সংস্কার করতে হবে। কারণ ১ কোটি প্রকৃত উপকারভোগীকে সহায়তার আওতায় আনলে গড়ে ৪ কোটি মানুষ সহায়তা পায়। তাই এ জায়গাগুলো বাড়াতে হবে।
প্রশ্ন : গত ১৫ বছর ব্যবসায়ী সংগঠনগুলোর প্রতিনিধিত্ব করেছেন সরকারের পছন্দের ব্যক্তিরা। গণতান্ত্রিক প্রক্রিয়া ফিরিয়ে আনার মাধ্যমে এসব সংগঠন কীভাবে ব্যবসায়ী-জনতার স্বার্থে ভূমিকা রাখতে পারে?
মীর নাসির হোসেন : শুধু ব্যবসায়ী নয়, শিক্ষক, চিকিৎসকসহ সব পেশার ক্ষেত্রে দলীয়করণ করা হয়েছিল। যে দেশে সুষ্ঠুভাবে জাতীয় নির্বাচন হয় না, সে দেশে অন্য নির্বাচন কীভাবে হবে? সেই পরিবেশ তো ছিল না। ফলে যার যে ভূমিকা পালন করার কথা সে সেটা পালন করতে পারেনি। ব্যবসায়ী সংগঠনগুলোর কাজ ক্ষুদ্র থেকে শুরু করে বড় বড় শিল্পের সমস্যা চিহ্নিত করে সরকারের সঙ্গে দেনদরবার করে নীতিসহায়তা আদায় করা। কিন্তু সে সময় ব্যবসায়ী সংগঠনগুলো দখল করে সরকারের অ্যাজেন্ডা বাস্তবায়ন করতে দেখা গেছে। এখানে বড় ধরনের সংস্কার দরকার। আমার লজ্জা হয়, বাংলাদেশের মতো জায়গায় ৪০০ থেকে সাড়ে ৪০০ অ্যাসোসিয়েশন গঠন করা হয়েছে, কীভাবে হয় এত সংগঠন। এগুলো সব পকেট কমিটি।
ভোট বাড়ানোর জন্য এগুলো করা হয়েছে। সত্যিকারের ব্যবসায়ীরা যেন বাণিজ্য সংগঠনের প্রতিনিধিত্ব করতে পারেন সংস্কারের মাধ্যমে সেটা নিশ্চিত করতে হবে। সদস্য পদ দেওয়ার নীতিমালা সংস্কার করতে হবে। যাতে এগুলো ব্যবসায়ীভিত্তিক হয়। তারপর নেতৃত্ব অটোমেটিক্যালি চলে আসবে। আমার সময় এফবিসিসিআই সরকারের তল্পিবাহক ছিল না। বিগত সময়ে বাজেট প্রস্তাব করার আগেই প্রতিক্রিয়া তৈরি হয়ে যায়, বাজেট ভালো হয়েছে।
প্রশ্ন : রপ্তানি বাজার বাড়াতে সরকারের কী ধরনের পদক্ষেপ নেওয়া উচিত?
মীর নাসির হোসেন : আমাদের মধ্যস্থতা করার দক্ষতা কম। বাণিজ্য মন্ত্রণালয়ের ডব্লিউটিও শাখার কাজ রপ্তানি বাড়াতে কাজ করা। সেখানে অভিজ্ঞ কর্মকর্তারা থাকছেন না। কারণ জেনেভা থেকে প্রশিক্ষণ নিয়ে আসার পর সেই কর্মকর্তাকে অন্য জায়গা বদলি করা হচ্ছে। জেনেভাতে আমি দেখেছিলাম ডব্লিটিওর প্রশিক্ষণ নিতে গেছেন বাণিজ্য সচিবের ব্যক্তিগত কর্মকর্তা। রপ্তানি বাড়াতে সে কী কাজ করবে। ব্রাজিল, ভারতসহ অন্যান্য দেশের প্রতিনিধিরা বছরের পর বছর একই সেলে দায়িত্ব পালন করেন। আমি দেখেছি তাদের যে জ্ঞান, সেই দক্ষতা আমাদের দেশে গড়ে ওঠেনি। বাণিজ্য সমঝোতায় দক্ষ কর্মকর্তা গড়ে তুলতে হবে। আমাদের রপ্তানিযোগ্য অনেক পণ্য রয়েছে। কিন্তু কমপ্লায়েন্সের অভাবে রপ্তানি করতে পারছি না। রপ্তানির অনুমতি নিতে কত জায়গায় ঘুরতে হয়। তাহলে কীভাবে সম্ভব হবে রপ্তানি বাড়ানো?
প্রশ্ন: সবকিছুর পরও আশার কোনো জায়গা দেখেন কি-না?
মীর নাসির হোসেন : আমি সব সময় আশাবাদী মানুষ। অপার সম্ভাবনার দেশ আমাদের বাংলাদেশ। কিন্তু আমরা এ সম্ভাবনার দেশটাকে সব সম্ভবের দেশে পরিণত করেছি। এখন আমাদের সম্ভাবনাগুলোকে চিহ্নিত করে সেই অনুযায়ী ব্যবস্থা নিতে হবে। যার ব্যবসা করার সক্ষমতা রয়েছে তাকেই ফ্যাসিলেটেড করতে হবে। যে ব্যবসায়ী নয়, তাকে (রাজনৈতিক কারণে হোক) সুবিধা দেওয়ার ফলে প্রকৃত ও দক্ষ ব্যবসায়ীরা সুবিধা থেকে বঞ্চিত হয়েছেন। দুর্বৃত্তায়নের মাধ্যমে মধ্যস্বত্বভোগীরা সুবিধা পেয়েছেন। এ জায়গাটাতে শৃঙ্খলা ফিরিয়ে আনতে হবে। দুর্নীতির বিরুদ্ধে প্রকৃত অর্থেই জিরো টলারেন্স গ্রহণ করতে হবে। আইনের শাসন নিশ্চিত করতে হবে। সাধারণ মানুষকে স্বস্তি দিতে হবে। সবাই যেন আস্থা ফিরে পায় যে, আমি আমার দেশে থাকতে পারব, এখানে বিচারব্যবস্থা রয়েছে, সিস্টেমগুলো পুনঃপ্রতিষ্ঠিত হয়েছে। আমি মনে করি, বাংলাদেশের ভবিষ্যৎ উজ্জ্বল। ভারত, পাকিস্তান, ইন্দোনেশিয়া, চীন বাদ দিলে সারা পৃথিবীতে আমাদের মতো এত জনসংখ্যা আর কোন দেশে আছে। আমাদের যতদূর যাওয়ার কথা ছিল যেতে পারিনি একমাত্র অব্যবস্থাপনা, দুর্নীতি এবং অপশাসনের কারণে। এ বিষয়গুলো আমাদের পিছিয়ে রেখেছে। এ বিষয়গুলো অ্যাড্রেস করা হলে বাংলাদেশকে আর পেছনে ফিরে তাকানোর দরকার হবে না।
সময় দেওয়ার জন্য আপনাকে অসংখ্য ধন্যবাদ।
মীর নাসির হোসেন: আপনাকেও ধন্যবাদ।
সৌজন্যে: বাংলাদেশ প্রতিদিন
বাংলাদেশ সময়: ১০৫২ ঘণ্টা, অক্টোবর ২৯, ২০২৪
এসআইএস