ঢাকা, মঙ্গলবার, ১০ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ২৬ নভেম্বর ২০২৪, ২৪ জমাদিউল আউয়াল ১৪৪৬

অর্থনীতি-ব্যবসা

১৪টি মন্ত্রণালয়-বিভাগের গড় অগ্রগতি ২০ ভাগেরও কম

সিনিয়র করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ০৪৫১ ঘণ্টা, জানুয়ারি ৯, ২০১৫
১৪টি মন্ত্রণালয়-বিভাগের গড় অগ্রগতি ২০ ভাগেরও কম

ঢাকা: ২০১৪-১৫ অর্থ বছরের (জুলাই-ডিসেম্বর) ছয় মাস অতিবাহিত হয়েছে। কিন্তু এর মধ্যে ১৪টি মন্ত্রণালয় ও বিভাগের বার্ষিক উন্নয়ন কর্মসূচি (এডিপি)বাস্তবায়ন হয়েছে ২০ ভাগেরও কম।

এর মধ্যে আবার ছয় মন্ত্রণালয়ের গড় অগ্রগতি ১০ ভাগেরও কম।
 
বৃহস্পতিবার (০৮ জানুয়ারি) দুপুরে রাজধানীর শেরেবাংলা নগরে পরিকল্পনা কমিশনের এনইসি সম্মেলন কক্ষে মাসিক সংবাদ সম্মেলনে পরিকল্পনা মন্ত্রণালয় এই তথ্য উপস্থাপন করে।

চলতি অর্থবছরে ৫৫টি মন্ত্রণালয় ও বিভাগের জন্য এডিপিতে ৮৬ হাজার কোটি টাকা বরাদ্দ রয়েছে। বর্তমানে ১ হাজার ২৮৭টি প্রকল্প চলমান রয়েছে। চলতি অর্থ বছরের ডিসেম্বর পর্যন্ত দেশের সকল মন্ত্রণালয় ও বিভাগের গড় অগ্রগতি ২৩ হাজার ৭৪৪ কোটি ৫৭ লাখ টাকা বা ২৮ ভাগ। যা ২০১৩-১৪ অর্থ বছরে একই সময়ে ছিল ২৫ শতাংশ।
 
বাস্তবায়ন, পরিবীক্ষণ ও মূল্যায়ন বিভাগ (আইএমইডি) সূত্র জানায়, ছয় মাসে ছয়টি মন্ত্রণালয় ও বিভাগের অগ্রগতি ১০ ভাগেরও কম। যেমন ভূমি মন্ত্রণালয় ৯ ভাগ, জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয়ের ৮ ভাগ, পানি সম্পদ মন্ত্রণালয়ের ৭ ভাগ, পরিসংখ্যান ও তথ্য ব্যবস্থাপনা বিভাগের ৬ ভাগ, শ্রম ও কর্মসংস্থান মন্ত্রণালয়ের ৫ ভাগ ও অভ্যন্তরীণ সম্পদ বিভাগের গড় অগ্রগতি মাত্র ৪ ভাগ।
 
এছাড়া ৮টি মন্ত্রণালয়ের গড় অগ্রগতি ২০ ভাগেরও কম। এর মধ্যে পার্বত্য চট্রগ্রাম বিষয়ক মন্ত্রণালয় ১৮ ভাগ, পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় ১৭ ভাগ, নির্বাচন কমিশন সচিবালয় ১৫ ভাগ, শিল্প মন্ত্রণালয় ১৫ ভাগ, রেলপথ মন্ত্রণালয় ১৪ ভাগ, ব্যাংক ও আর্থিক প্রতিষ্ঠান বিভাগ ১৩ ভাগ, নৌ-পরিবহন মন্ত্রণালয় ১৩ ভাগ ও সমাজকল্যাণ মন্ত্রণালয়ের গড় অগ্রগতি মাত্র্র ১১ ভাগ।
 
আইএমইডি সূত্র্র জানায়, বৃহৎ বরাদ্দপ্রাপ্ত ১০টি মন্ত্রণালয় ও বিভাগের অনুকূলে এ বছর এডিপিতে ৬০ হাজার ৮৮৬ কোটি ৭৪ লাখ টাকা বরাদ্দ রয়েছে। যা মোট এডিপি’র ৭১ ভাগ।   এই ১০টি মন্ত্রণালয়ের আওতায় ৬৯১টি প্রকল্প চলমান রয়েছে।
 
তবে এই ১০টি মন্ত্রণালয়ের অগ্রগতি মোটামোটি ভালো। বিদ্যুৎ বিভাগের চলতি অর্থ বছরে এডিপি’তে মোট বরাদ্দ ছিল ৯ হাজার ২কোটি টাকা। এর মধ্যে খরচ হয়েছে ২ হাজার ৫৭৮ কোটি টাকা। যা, গড় অগ্রগতির হার ২৮ ভাগ।  
 
স্থানীয় সরকার বিভাগের গড় অগ্রগতি হয়েছে ৩৭ ভাগ। এই বিভাগ ছয় মাসে ১৩ হাজার ৩৮০ কোটি টাকার মধ্যে ৪হাজার ৯৭৬ কোটি টাকা খরচ করেছে।
 
অপরদিকে সেতু বিভাগে এডিপি বরাদ্দ ৮ হাজার ৮৫৭ কোটি ৬৫ লাখ টাকা। এই সময়ের মধ্যে খরচ হয়েছে ২ হাজার ৪৭৬ কোটি ৬৭ লাখ টাকা বা ২৮ ভাগ।
 
অপরদিকে প্রাথমিক ও গণশিক্ষা মন্ত্রণালয় ৩১ ভাগ, রেলপথ মন্ত্রণালয় ১৪ ভাগ, সড়ক পরিবহন ও মহাসড়ক বিভাগ ২৯ ভাগ, স্বাস্থ্য ও পরিবার কল্যাণ মন্ত্রণালয় ২২ ভাগ, শিক্ষা মন্ত্রণালয় ৩২ ভাগ, গৃহায়ন ও গণপূর্ত মন্ত্রণালয় ২৩ ভাগ ও জ্বালানী-খনিজ সম্পদ বিভাগের গড় অগ্রগতি ২৪ ভাগ।
 
এডিপি প্রসঙ্গে বলতে গিয়ে পরিকল্পনা মন্ত্রী আহম মুস্তফা কামাল বলেন, এখন যে সব প্রকল্প একনেকে অনুমোদিত হয় তার মোট ব্যয়ের মধ্যে প্রকল্প সাহায্যের পরিমাণ বেশি। অর্থাৎ ১০০০ কোটি টাকার একটা প্রকল্প হাতে নিলে আগে যেখানে ৮০০ কোটি টাকাই সরকার দিত এখন আর এমনটি হয় না। এখন উল্টো ৮০০ কোটি টাকা প্রকল্প সাহায্য হিসেবে পাওয়া যাচ্ছে। ‘
 
‘আমি আশা করছি এ বছর প্রকল্প বাস্তবায়ন হার ১০০ ভাগ হবে। এজন্য ইতোমধ্যে ৫৫টি মন্ত্রণালয় ও বিভাগের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তাদের সাথে মিটিং করে নির্দেশনা দেয়া হয়েছে। কিছুদিনের মধ্যে প্রকল্প পরিচালকদের সঙ্গে বসা হবে বলেও তিনি উল্লেখ করেন। ’
 
সাংবাদিক সম্মেলনে পরিকল্পনা বিভাগের সচিব ভূঁইয়া সফিকুল ইসলাম, আইএমই বিভাগের ভারপ্রাপ্ত সচিব শহীদ উল্লা খন্দকার, পরিকল্পনা কমিশনের সদস্যগণসহ ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তাগণ উপস্থিত ছিলেন।
 
বাংলাদেশ সময়: ০৪৫০ ঘণ্টা, জানুয়ারি ০৯, ২০১৫

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।