ঢাকা, বৃহস্পতিবার, ১৩ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ২৮ নভেম্বর ২০২৪, ২৬ জমাদিউল আউয়াল ১৪৪৬

অর্থনীতি-ব্যবসা

ভুরুঙ্গামারীর সোনাহাটে স্থলবন্দর হবে

মফিজুল সাদিক, সিনিয়র করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ১৩০৬ ঘণ্টা, জুলাই ১৩, ২০১৫
ভুরুঙ্গামারীর সোনাহাটে স্থলবন্দর হবে

ঢাকা:  বাংলাদেশ ও ভারতের মধ্যে আমদানি-রফতানি ও রাজস্ব আয় বৃদ্ধির লক্ষ্যে কুড়িগ্রামের ভুরুঙ্গামারী উপজেলায় নতুন স্থলবন্দর নির্মাণ করতে যাচ্ছে সরকার।

এতে করে স্থানীয় জনসাধারণের আর্থ-সামাজিক উন্নয়নসহ দেশের প্রবৃদ্ধি অর্জনে বন্দরটি গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখবে বলে জানায় নৌপরিবহন মন্ত্রণালয়ের বাংলাদেশ স্থলবন্দর কর্তৃপক্ষ (বাস্থবক)।



মন্ত্রণালয়ের অতিরিক্ত সচিব (বাণিজ্যিক) নাসির আরিফ মাহমুদ বাংলানিউজকে বলেন, ভারত ও বাংলাদেশের মধ্যে বাণিজ্যিক প্রসারে ভুরুঙ্গামারীতে স্থলবন্দর নির্মাণ করা হবে। এর ফলে স্থানীয়দের কর্মসংস্থান বৃদ্ধি পাবে। এছাড়া তাদের ক্রয় ক্ষমতা বৃদ্ধির পাশাপাশি আর্থ-সামাজিক উন্নয়নও হবে।

তিনি বলেন, বাংলাদেশ ও ভারতের মধ্যে আমদানি-রফতানিকৃত দ্রব্যসামগ্রীর গুদামজাতকরণ ও আনা-নেওয়ার সুবিধাদি বৃদ্ধির লক্ষ্যে সোনাহাট স্থলবন্দরের প্রয়োজনীয় অবকাঠামোও উন্নয়ন করা হবে।

বাস্থবক সূত্র জানায়, কুড়িগ্রাম জেলা থেকে ৫০ কিলোমিটার এবং ভুরুঙ্গামারী উপজেলা সদর থেকে ১০ কিলোমিটার দূরে সোনাহাটের অবস্থান। তবে বাংলাদেশের অংশের নাম বঙ্গসোনাহাট।  

সোনাহাটে শুল্ক ও ইমিগ্রেশন বিভাগের অংশে স্থলবন্দরটি নির্মাণ করা হবে। সোনাহাট জিরো পয়েন্ট থেকে ১ দশমিক ৫ কিলোমিটার অভ্যন্তরে অবস্থিত বিজিবি ক্যাম্প ছাড়া এখানে সরকারি কোনো অফিস নেই।

নির্মিতব্য স্থলবন্দরের ভারতের অংশের নাম সোনাহাট। ভারতীয় অংশে সোনাহাটে এলাকাটি আসাম রাজ্যের ধুবরী জেলার গোপালগঞ্জ থানায় অবস্থিত। তবে এই স্থানের খুব কাছে ভারতের মেঘালয় ও পশ্চিমবঙ্গের অংশবিশেষ রয়েছে।

সূত্রটি জানায়, সোনাহাট সংলগ্ন ভারতীয় অংশে ওয়্যারহাউজ, পার্কিং ইয়ার্ড, বাউন্ডারিসহ অন্যান্য অবকাঠামো নির্মাণ করা হয়েছে।

‘সোনাইহাট স্থলবন্দর উন্নয়ন’ প্রকল্পের আওতায় সোনাহাট স্থলবন্দরটি নির্মাণ করা হবে। এতে মোট ব্যয় ধরা হয়েছে, ৩৬ কোটি ৫০ লাখ টাকা। প্রকল্পটি এ বছরের জুলাই থেকে ২০১৮ সালের জুন মেয়াদে শেষ হবে। প্রকল্পের সমস্ত অর্থ সরকারি তহবিল থেকে যোগান দেওয়া হবে।

বাস্থবক সূত্র আরো জানায়, প্রকল্পের আওতায় ১৪ দশমিক ৮৮ একর ভূমি অধিগ্রহণ, ১ লাখ ৬৫ হাজার ঘন মিটার বাউন্ডারি ওয়াল নির্মাণ করা হবে। ৭ হাজার ৭শ বর্গ মিটার রাস্তা, ১৩ হাজার বর্গ মিটার ওপেন ইয়ার্ড, ১ হাজার ২০৮ বর্গ মিটার ওয়্যারহাউজ ও ১ হাজার ৭৮ মিটার এলাকা জুড়ে ভবন নির্মাণ করা হবে।

প্রকল্প এলাকায় নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে ৩টি ওয়াচ টাওয়ার নির্মাণ করাসহ ১ হাজার ১২৮ রানিং মিটার ড্রেন, দুটি প্রক্ষালন কমপ্লেক্স, ফার্নিচার ও কম্পিউটার ক্রয় করা হবে। দুটি একশ মেট্রিক টন ধারণক্ষমতার ওয়েব্রিজ সংগ্রহ করা হবে।

বাংলাদেশের সঙ্গে ভারতের আন্তর্জাতিক সীমারেখা ৪ হাজার ৯৫ কিলোমিটার। মায়ানমারের সঙ্গে ২৫৬ কিলোমিটার এবং উপকূলীয় সীমারেখা ৫৮০ কিলোমিটার। এসব সীমারেখায় স্থাপিত শুল্কস্টেশন দিয়ে প্রতিদিন ‍উল্লেখযোগ্য পরিমাণ মালামাল এবং পণ্যসামগ্রী আমদানি-রফতানি হয়। এসব স্থান দিয়ে উল্লেখযোগ্য পরিমাণে পর্যটকও আসা-যাওয়া করেন। সোনাহাটে আমদানি-রফতানির পরিমাণ ও পর্যটক আসা-যাওয়ার সংখ্যা বৃদ্ধির লক্ষ্যে প্রকল্পটি হাতে নেওয়া হচ্ছে।

বাংলাদেশ সময়: ১৩০৬ ঘণ্টা, জুলাই ১৩, ২০১৫
এমআইএস/এবি

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।