ঢাকা: কন্ট্রোলার জেনারেল অব একাউন্টস (সিজিএ) নিজেরাই নিজেদের আইন মোতাবেক চলছে বলে মন্তব্য করেছেন অর্থমন্ত্রী আবুল মাল আব্দুল মুহিত।
তিনি বলেন, অর্থ মন্ত্রণালয়ের নিয়ন্ত্রণাধীন প্রতিষ্ঠান হলেও তাদের (সিজিএ) নিয়ন্ত্রণ করা সম্ভব হচ্ছে না।
বুধবার (৫ আগস্ট) বিকেলে অর্থ-মন্ত্রণালয়ের সম্মেলন কক্ষে বাংলাদেশ অডিট অ্যান্ড একাউন্টস কর্মকতা পরিষদের নেতাদের সঙ্গে বৈঠকে এ কথা বলেন অথর্মন্ত্রী।
মুহিত আরও বলেন, সিজিএ অফিসে এখন স্থবিরতাও বিরাজ করছে। আমার স্মৃতিশক্তি, কর্মশক্তি কমে যাওয়ায় এগুলো পারসু করতে পারছি না।
মুহিত বলেন, সরকারি অফিসের কাজকর্ম রুটিনের বাইরে চালানোর সুযোগ নেই। যাদের প্রমোশন হয়েছে স্বীকার করলেই হতো। কিন্ত না করায় কেস জমতে জমতে বেশি হয়ে গেছে। তাই এখন সমস্যা সমাধানে দেরি হচ্ছে।
কর্মকর্তাদের পদোন্নতি নিয়ে সৃষ্ট জটিলতা নিরসনে স্মারকলিপি দিতে বুধবার সচিবালয়ে আসেন বাংলাদেশ অডিট অ্যান্ড একাউন্টস কর্মকতা পরিষদ।
এ সময় সংগঠনের সভাপতি শফিউল আজম বলেন, সিজিএ অফিসের ৪৪৮ কর্মকর্তা প্রথম শ্রেণির পদে চলতি দায়িত্ব পালন করলেও তাদের পদোন্নতি বা প্রথম শ্রেণি লাভের সুযোগ থেকে বঞ্চিত করা হচ্ছে।
রাষ্ট্রপতির ক্ষমতাবলে জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয়র ১৯৯২ সালের ৫ ফেব্রুয়ারির নির্দেশনা অনুযায়ী, বিনা কারণে এবং সংশ্লিষ্ট কমিটি/বোর্ডের অনুমতি ছাড়া দুই মাসের বেশি চলতি দায়িত্বে না রেখে পদোন্নতির দিতে হবে।
অথচ ২০০৭ সালের ১৪ মার্চ থেকে এসব কর্মকর্তা চলতি দায়িত্ব পালন করে আসছেন। চলতি বছরের ২২ জুলাই অর্থমন্ত্রী তাদের পদোন্নতির বিষয়ে প্রয়োজনীঁ ব্যবস্থা নেওয়ার নির্দেশ দিলেও তা কার্যকর হয়নি। তাই অবিলম্বে এ নির্দেশনা কার্যকরের দাবি জানায় বাংলাদেশ অডিট অ্যান্ড একাউন্টস কর্মকতা পরিষদ, বলেন তিনি।
অর্থমন্ত্রী তাদের আশ্বস্ত করে বলেন, আপনারা আজ থেকেই পদোন্নতি সুবিধা পাবেন। তবে সবাই একসঙ্গে নয়। যখন পদ খালি হবে তখন পর্যায়ক্রমে পদায়ন করা হবে।
বাংলাদেশ সময়: ১৯২৮ ঘণ্টা, আগস্ট ৫, ২০১৫
এসই/আরএম