চট্টগ্রাম থেকে: ২০২০ সালের মধ্যে ইউরোপিয়ান ইউনিয়ন (ইইউ) বাংলাদেশে জিএসপি প্লাস সুবিধা দিতে চায় বলে জানিয়েছেন ইউরোপিয়ান পার্লামেন্ট মেম্বার ও ট্রেড মনিটরিং গ্রুপ ফর সাউথ এশিয়ার চেয়ারম্যান সাজ্জাদ করীম।
বৃহস্পতিবার (০৬ আগস্ট) বাংলাদেশ অ্যাপারেল অ্যান্ড সেফটি এক্সপো-২০১৫’র উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথির বক্তব্যে তিনি এ কথা জানান।
সাজ্জাদ করীম বলেন, বাংলাদেশে ইইউ ২০২০ সালের মধ্যে জিএসপি প্লাস সুবিধা দিতে চায়। কিন্তু সেজন্য বাংলাদেশকে কিছু বিষয়ে উন্নয়ন করতে হবে। এর মধ্যে রয়েছে শ্রমিক নিরাপত্তা, পরিবেশগত উন্নয়ন, সামাজিক নিরাপত্তাসহ সংশ্লিষ্ট বিষয়।
বিশেষ করে শ্রমিকের শারীরিক-মানসিক নিরাপত্তা প্রয়োজন। বর্তমানে বাংলাদেশের গার্মেন্ট মালিকরা শ্রমিকের নিরাপত্তার বিষয়ে জোর দিয়েছে। এটি সত্যি প্রশংসনীয়। এর পাশাপাশি কারখানার পরিবেশের বিষয়ে নজর দিতে হবে। আর এসব বিষয়ে নজরে রেখে যদি বাংলাদেশ সামনের দিকে এগিয়ে যেতে পারে তাহলে আগামী ২০২০ সালের মধ্যে বাংলাদেশ জিএসপি প্লাস সুবিধা পাবে বলে আশা করছি।
অন্যদিকে ইইউ রাষ্ট্রদূত পিয়েরে মায়াদন বলেন, বাংলাদেশের পোশাক শিল্পকে সামনের দিকে এগিয়ে নিয়ে যেতে হলে কয়েকটি বিষয়ের উপর জোর দিতে হবে। কারখানা মানে শুধু পণ্য উৎপাদন নয়। এর সঙ্গে শ্রমিকের জীবন জড়িত। এজন্য উদ্যোক্তাদের উচিত কারখানাকে আরও শ্রমিকবান্ধব করা। শ্রমিকের অধিকারের বিষয়ে আরও সচেতন হতে হবে।
একইভাবে মার্কিন রাষ্ট্রদূত মার্সিয়া বার্নিকাটও শ্রমিক ইস্যুতে জোর দিয়েছেন।
তিনি বলেন, একর্ড, অ্যালায়ান্স, বিজিএমইএ ও সরকার সমন্বিতভাবে বাংলাদেশের পোশাক কারখানাগুলোর উন্নয়নের বিষয়ে কাজ করছে। এতে আমরা সন্তুষ্ট। কিন্তু এখনও মালিকদের শ্রমিকের নিরাপত্তা ও অধিকারের বিষয়ে আরও যত্নশীল হতে হবে।
উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন বাণিজ্যমন্ত্রী তোফায়েল আহমেদ। এছাড়াও উপস্থিত ছিলেন চট্টগ্রামের মেয়র আ জ ম নাসির উদ্দিন বিজিএমইএ এর সহ-সভাপতি মো. শহীদুল্লাহ আজীম, বিজিএমইএ’র সহ-সভাপতি (অর্থ) রিয়াজ-বিন-মাহমুদসহ অন্যরা।
অনুষ্ঠানটির সভাপতিত্ব করছেন বিজিএমইএ’র সভাপতি মো. আতিকুল ইসলাম।
বাংলাদেশ সময়: ১২৫৫ ঘণ্টা, আগস্ট ০৬, ২০১৫
ইউএম/এসএস
** পোশাক কারখানা আরও শ্রমিকবান্ধব করতে হবে
** এবার চট্টগ্রামে পোশাকশিল্প পার্ক