ঢাকা: আগামী কিছু দিনের মধ্যে পাটজাত পণ্যের অভ্যন্তরীণ ব্যবহার ৫০ শতাংশ বৃদ্ধি পাবে বলে আশা প্রকাশ করেছেন বস্ত্র ও পাট প্রতিমন্ত্রী মির্জা আজম।
তিনি বলেন, পাটজাত মোড়কের বাধ্যতামূলক ব্যবহার আইন বাস্তবায়নে অধিকহারে প্লাস্টিক বা পলিথিন ব্যবহারকারী ১৫-২০টি জেলায় দ্রুতই অভিযান চালানো হবে।
বৃহস্পতিবার (০৬ আগস্ট) রাজধানীর তেজগাঁও থানা সংলগ্ন জুট ডাইভারসিফিকেশন প্রমোশন সেন্টার মিলনায়তনে পাট অধিদফতরের আয়োজনে বার্ষিক কর্মসম্পাদন চুক্তি বিষয়ক একটি কর্মশালায় প্রতিমন্ত্রী এ কথা বলেন।
প্রতিমন্ত্রী মির্জা আজম বলেন, পাটজাত পণ্যের অভ্যন্তরীণ ব্যবহার যদি ৫০ ভাগও বৃদ্ধি পায় তাহলে বিদেশে পাট রফতানির প্রয়োজন হবে না। তাই পাটের মোড়ক আইন বাস্তবায়নে সর্বাধিক গুরুত্ব দিতে হবে।
প্রতিমন্ত্রী আরও বলেন, পাটের মোড়ক আইন বাস্তবায়নে পাট অধিদফতরের সব পর্যায়ের কর্মকর্তাদের আন্তরিকভাবে কাজ করতে হবে। কারণ এ আইন বাস্তবায়নের ওপরই দেশের পাটশিল্পের ভবিষ্যৎ নির্ভর করছে।
তিনি বলেন, বর্তমানে এমনিতে বিশ্ব অর্থনৈতিক মন্দা, রাজনৈতিক অস্থিরতা, ব্যবসায়িক প্রতিযোগিতা ইত্যাদি কারণে পাটের রফতানি কমে যাচ্ছে। ফলে দেশিয় পাটশিল্প কারখানাগুলো একের পর এক বন্ধ হচ্ছে। কৃষক তাদের পাটের প্রত্যাশিত মূল্য পাওনা থেকে বঞ্চিত হচ্ছেন। এ অবস্থা থেকে উঠে আসার জন্য পাটের অভ্যন্তরীণ ব্যবহার বৃদ্ধির বিকল্প নেই। সেজন্য পাটের মোড়ক আইন পুরোপুরিভাবে বাস্তবায়ন করতে হবে। আইনটি পুরোপুরিভাবে বাস্তবায়ন করা গেলে বন্ধ পাটকলগুলো আবার চালু করা সম্ভব হবে, কৃষক তার পাটের উচ্চমূল্য পাবেন এবং দেশের পাটশিল্প হারানো ঐতিহ্য ফিরে পাবে।
তিনি বলেন, আমাদের রাষ্ট্রীয় মালিকানার পাটকলগুলো প্রধানমন্ত্রীর একান্ত ইচ্ছায় টিকে আছে। ২০০৯ সালে শেখ হাসিনা প্রধানমন্ত্রীর দায়িত্ব গ্রহণের পর বাংলাদেশ পাটকল করপোরেশনের প্রায় সাড়ে পাঁচ হাজার কোটি টাকার দায়দেনা পরিশোধ করেছেন এবং পাঁচটি বন্ধ পাটকল পুনরায় চালু করেছেন।
এ সময় বস্ত্র ও পাট মন্ত্রণালয়ের সচিব ফরিদ উদ্দিন আহম্মদ চৌধুরীসহ মন্ত্রণালয়ের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তারা এবং মহাপরিচালক মো. মোয়জ্জেম হোসাইনসহ পাট অধিদফতরের বিভিন্ন পর্যায়ের কর্মীরা উপস্থিত ছিলেন।
বাংলাদেশ সময়: ২০৫৩ ঘণ্টা, আগস্ট ০৬, ২০১৫
এমএন/আইএ