ঢাকা: বাংলাদেশকে ট্রানজিট দেশ ঘোষণা দিয়ে অর্থমন্ত্রী আবুল মাল আবদুল মুহিত বলেছেন, বাংলাদেশ এখন ট্রানজিট দেশ। বাংলাদেশের এই ট্রানজিট দেশ হওয়ার সিদ্ধান্ত দেশের প্রথম সর্বদলীয় সিদ্ধান্ত।
শনিবার(৮ আগস্ট’২০১৫) বঙ্গবন্ধু আন্তর্জাতিক সম্মেলন কেন্দ্রে অনুষ্ঠিত এক অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এ কথা বলেন।
‘ইন্ডিয়া-বাংলাদেশ বিজনেস কনক্লেভ: দ্য ওয়ে ফরোয়ার্ড’ শীর্ষক এ অনুষ্ঠানটি যৌথভাবে আয়োজন করে বাংলাদেশের ব্যবসায়ীদের শীর্ষ সংগঠন এফবিসিসিআই ও ইন্ডিয়ান চেম্বার অব কমার্স(আইসিসি)।
অর্থমন্ত্রী বলেন, মনমহন সিং বাংলাদেশ সফরের সময় ড. মসিউর রহমান ও গওহর রিজভী নেপাল-ভূটানকে নিয়ে ভারত ও বাংলাদেশের মধ্যে ট্রেড লিংক স্থাপনের বিষয়ে আলোচনা করে। এরপর তারা দুই জন নেপাল ও ভূটানকে এই ট্রেড লিংক স্থাপনে যুক্ত করে। এটি ট্রেড লিংক, অবকাঠামো উন্নয়নসহ সকল ধরনের সংযোগ হিসেবে কাজ করবে।
মুহিত বলেন, বাংলাদেশ এখন ট্রানজিট দেশ। এর সুবিধার কোন সীমাবদ্ধতা নেই। চুক্তির ফলে বাংলাদেশ, ভারত, নেপাল ও ভূটানের পরিবহন যোগাযোগ খুব সহজেই হবে। আঞ্চলিক যোগাযোগ উন্নয়নের অন্যতম গুরুত্বপূর্ণ বিষয়। নেপাল, ভূটান ও ভারতের সঙ্গে বাংলাদেশের এই সংযোগ স্থাপনের এখন উত্তম সময়।
তিনি আরও বলেন, ভারত ও বাংলাদেশের বেসরকারি ব্যবসায়ীদের বিনিয়োগ ও লেনদেনের দুই দেশের সরকার সহায়তা করবে।
মুহিত বলেন, দক্ষিণ এশিয়ার দেশগুলোর মধ্যে একটি কমন মার্কেট থাকতে পারে। পাকিস্তানকেও এতে রাখা উচিত। এটি বিনিয়োগ, লেনদেন, অবকাঠামোর উন্নয়নসহ সকল ধরনের উন্নয়নে সহায়তা করবে।
আইসিসি’র মহাসচিব রাজীব সিং’র সঞ্চলনায় এতে আরও বক্তব্য রাখেন ভারতীয় হাই কমিশনার পঙ্কজ শরণ, প্রধানমন্ত্রীর অর্থনৈতিক উপদেষ্টা ড. মসিউর রহমান, এফবিসিসিআই সভাপতি আব্দুল মাতলুব আহমদ।
পঙ্কজ শরণ বলেন, প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি বাংলাদেশ সফরের সময় দুই সরকারের মধ্যে নেওয়া সিদ্ধান্তগুলো রিভিউ করার এখন উত্তম সময়। দুই দেশের (ভারত-বাংলাদেশ) সম্পর্ক এখন মানুষের উন্নয়নের সম্পর্ক।
তিনি বলেন, আগামী দিনে দুই দেশের বিনিয়োগ ও লেনদেন বাড়ানো গুরুত্বপূর্ণ বিষয়। আমি আশা করি ভারতের যে ধরনের ব্যবসায়ী প্রতিনিধি দল বাংলাদেশে এসেছে, বাংলাদেশ থেকেও একই ধরনের ব্যবসায়ী প্রতিনিধি দল ভারত ভ্রমণ করবে।
বাংলাদেশে ভারতীয় অর্থনৈতিক অঞ্চল স্থাপন করতে দেওয়ার সিদ্ধান্ত খুবই ভালো সিদ্ধান্ত উল্লেখ করে ভারতীয় হাই কমিশনার বলেন, ভবিষ্যতেও ভারত বাংলাদেশকে সঙ্গে নিয়ে চলতে চায়।
ড. মসিউর রহমান বলেন, ভারতকে মংলা বন্দরে ও ভেড়ামারায় দুটি অর্থনৈতিক অঞ্চল দেওয়া হয়েছে। এরমধ্যে মংলা ইন্ডিয়া-বাংলাদেশ ফ্রেন্ডশিপ পাওয়ার প্লান্ট স্থাপন করবে ভারত।
আইসিসি মহাসচিব বলেন, আজকের এই সম্মেলন ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির বাংলাদেশ সফরে এসে করা চুক্তিরই অংশ। বাংলাদেশ-ভারতের মধ্যে ইলেকট্রনিক পণ্যসহ সকল ধরনের ব্যবসায় আইসিসি সহায়তা করবে।
বাংলাদেশ সময়: ১২৫৮ ঘণ্টা, আগস্ট ০৮, ২০১৫
এএসএস/এনএস/