ঢাকা: পোশাক তৈরিতে মানদণ্ড নিশ্চিত করলেই রপ্তানি করা পোশাকের দাম বাড়ানো হবে বলে জানিয়েছেন ইউরোপীয় ইউনিয়নের পার্লামেন্ট সদস্য ড. সাজ্জাদ করিম।
শনিবার (৮ আগস্ট) বাংলাদেশ গার্মেন্টস ম্যানুফ্যাচারার্স অ্যান্ড এক্সপোটার্স অ্যাসোসিয়েশন (বিজিএমইএ) সম্মেলন কক্ষে এক মতবিনিময় সভায় তিনি একথা জানান।
ড. সাজ্জাদ করিম ইন্টারন্যাশনাল ট্রেড মনিটরিং গ্রুপ অন সাউথ এশিয়া কমিটির সদস্য।
বিজিএমইএ’র পোশাকের দাম বাড়ানোর দাবি প্রসঙ্গে ড. সাজ্জাদ করিম বলেন, ইইউ ক্রেতারা বাংলাদেশি পোশাক বিষয়ে খুবই সচেতন। তারা দেখে পোশাক তৈরিতে মানদণ্ড (শ্রমিকের সঠিক পারিশ্রমিক, সুযোগ-সুবিধা, নৈতিকতা রক্ষা ও সঠিক মানের তৈরি পোশাক) রক্ষা করা হয়েছে কিনা।
এ মানদণ্ড নিশ্চিত করলেই ইইউ’র বাজারে বাংলাদেশের রপ্তানি করা তৈরি পোশাকের দাম বাড়ানোর ক্ষেত্রে কোনো বাধা থাকবে না।
সাজ্জাদ বলেন, ইইউ বাংলাদেশের সঙ্গে সবক্ষেত্রে শক্তিশালী ও বন্ধুত্বপূর্ণ সম্পর্ক বজায় রাখতে চায়। বাংলাদেশ একটি পরিপক্ব অর্থনৈতিক সমৃদ্ধশালী দেশে পরিণত হচ্ছে। মধ্যম আয়ের দেশে পরিণত হতে বেশি সময় লাগবে না।
বাংলাদেশে নিযুক্ত ইইউ রাষ্ট্রদূত পিয়েরে মায়াদুন বলেন, ইইউ’র বাজারে যে ক’টি দেশকে কোটামুক্ত সুবিধা দেওয়া হয়েছে তার মধ্যে বাংলাদেশ অন্যতম। বাংলাদেশ তার দক্ষতা আর নৈপূণ্য দিয়ে ভালোভাবে তা কাজে লাগিয়েছে।
বাংলাদেশে শ্রমিকদের দক্ষতা উন্নয়নে ইইউ একটি প্রকল্প গ্রহণ করেছে বলেও জানান তিনি।
বিজিএমইএ সভাপতি আতিকুল ইসলাম বলেন, রানাপ্লাজা দুর্ঘটনার পর যেকোনো কারখানার নিরাপত্তা ইস্যুতে বিজিএমইএ জিরো টলারেন্স দেখাচ্ছে। অ্যাকর্ড ও অ্যালায়েন্স ৩ হাজার ৬শ ৬৯টি কারখানা পরিদর্শন করেছে। এর মধ্যে ক্রুটিমুক্ত পেয়েছে ৩ হাজার ৮১টি কারখানা।
অ্যাকর্ড ও অ্যালায়েন্স এসব কারখানা সংস্কারে যে তহবিল গঠন করেছে তার অর্থ দ্রুত ছাড় দেওয়ার দাবি জানান তিনি।
পোশাকের দাম বাড়ানোর দাবি জানিয়ে তিনি বলেন, সরকারের চাহিদা অনুসারে শ্রমিকদের বেতন ও অন্য সুবিধা বাড়ানো হয়েছে। পোশাক শ্রমিকদের কল্যাণে শ্রমিক কল্যাণ তহবিল গঠন করা হয়েছে। সে তহবিলে প্রতি রপ্তানির ক্ষেত্রে ০.০৩ শতাংশ জমা হয়। বর্তমানে সে তহবিলে ৭০ কোটি টাকা জমা হয়েছে। ভবিষ্যতে আরও হবে। সব কিছুর পরও পোশাকের দাম বাড়ানো হয়নি।
সভায় বিজিএমইএ সভাপতি আতিকুল ইসলাম, সহ সভাপতি এস এম মান্নান কচি প্রমুখ উপস্থিত ছিলেন।
বাংলাদেশ সময়: ১৯০৭ ঘণ্টা, আগস্ট ৮, ২০১৫
আরইউ/এএ