ঢাকা, বৃহস্পতিবার, ১৩ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ২৮ নভেম্বর ২০২৪, ২৬ জমাদিউল আউয়াল ১৪৪৬

অর্থনীতি-ব্যবসা

হাইটেক পার্কের দ্বিতীয় ডেভেলপার টেকনোসিটি

সিনিয়র করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ২০১৯ ঘণ্টা, আগস্ট ১১, ২০১৫
হাইটেক পার্কের দ্বিতীয় ডেভেলপার টেকনোসিটি ছবি: রাজিব / বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম

ঢাকা: কালিয়াকৈর হাইটেক পার্ক উন্নয়নে বাংলাদেশ হাইটেক পার্ক কর্তৃপক্ষের সঙ্গে চুক্তি করেছে বাংলাদেশ টেকনোসিটি লিমিটেড।

চুক্তির আওতায় টেকনোসিটি লিমিটেড হাইটেক পার্কের তিন নম্বর ব্লকের উন্নয়ন করবে।



মঙ্গলবার (১১ আগস্ট’২০১৫) সন্ধ্যায় রাজধানীর একটি হোটেলে হাইটেক পার্কের এমডি হোসনে আরা এবং টেকনোসিটি লিমিটেডের চেয়ারম্যান মইনুল হক নিজ নিজ পক্ষে সই করেন।

চুক্তি সই অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি ছিলেন আইনমন্ত্রী আনিসুল হক।

তিন নম্বর ব্লকটি উন্নয়নে টেকনোসিটি লিমিটেড ২৫ দশমিক ৮০ মিলিয়ন মার্কিন ডলার (২০০ কোটি টাকা) বিনিয়োগ করবে। ৪০ একর জায়গার উপর নির্মিত এই ব্লকটি হবে বাণিজ্যিক ব্লক। এই ব্লকের জন্য কনসেশন পিরিয়ড ৪০ বছর। চুক্তি অনুযায়ী সম্পাদিত কার্যের সক্ষমতার ভিত্তিতে তা আরো (১০+১০) ২০ বছর পর্যন্ত বর্ধিত করা হবে।

তিন নম্বর ব্লক থেকে সরকারের মুনাফা শেয়ার হবে বিল্ডিং স্পেস ভাড়া হতে ১২ শতাংশ, ভূমি লিজ বাবদ ২১ শতাংশ, ইউটিলিটি চার্জ হতে ৫ শতাংশ এবং অন্যান্য আয় হতে ৬ শতাংশ।

ফাইবার অ্যাট হোম লিমিটেড, টেকনোলজি পার্ক মালয়েশিয়া কো-অপারেশন এসডিএন বিএইচডি-আআরআইএস কো-অপারেশন বারাদ জয়েন্ট ভেঞ্চার, এমএসসি টেকনোলজি সেন্টার এসডিএন বিএইচডি এবং আলফা ইনফরমেশন্স লিমিটেড- মিলে বাংলাদেশ টেকনোসিটি লিমিটেড কনসোর্টিয়াম গঠন করা হয়েছে।

তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি বিভাগের প্রতিমন্ত্রী জুনাইদ আহমেদ পলকের সভাপতিত্বে বিশেষ অতিথি ছিলেন ডাক, টেলিযোগাযোগ ও তথ্যপ্রযুক্তি মন্ত্রণালয় সম্পর্কিত সংসদীয় স্থায়ী কমিটির সভাপতি ইমরান আহমেদ, প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়ের মূখ্য সচিব আবুল কালাম আজাদ।

তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি বিভাগের সচিব শ্যাম সুন্দর সিকদার, বাংলাদেশ হাই-টেক পার্ক কর্তৃপক্ষের এমডি বেগম হোসনে আরা, বাংলাদেশে নিযুক্ত মালেয়েশিয়ান হাইকমিশনার নরলিন ওথম্যান বক্তব্য রাখেন।

আইসিটি প্রতিমন্ত্রী বলেন, ডিজিটাল বাংলাদেশ পরিবর্তনের দর্শন। এখানে ৭০ হাজার লোকের কর্মসংস্থান হবে। কালিয়াকৈর হাই-টেক পার্কে আগামী তিন বছরের মধ্যে পুরোদমে চালু হবে এবং এই হাই-টেক পার্ক হবে বিশ্বখ্যাত সব আইটি কোম্পানি এবং পেশাজীবীর তীর্থ ক্ষেত্র। হাই-টেক পার্ক হবে ডিজিটাল বাংলাদেশের মূল চালিকা শক্তি।

হাইটেক পার্কের এমডি জানান, ২৩২ একর জমির এ পার্কটিকে ৫টি ব্লকে ভাগ করা হয়েছে।

গত ২৭ জুন বাংলাদেশ হাই-টেক পার্ক কর্তৃপক্ষের সাথে সামিট টেকনোপলিস ও ইনফিনিটি ইনফোসিসের চুক্তি হয়। চুক্তি অনুযায়ী তারা দুই এবং পাঁচ নম্বর ব্লকের জন্য যথাক্রমে ১১৪ দশমিক ৫৬ ও ৯৩ দশমিক ০৩ মিলিয়ন মার্কিন ডলার বিনিয়োগ করবে।

বাংলাদেশ সময়: ২০২০ ঘণ্টা, আগস্ট ১১, ২০১৫
এমআইএইচ/এনএস/

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।