ঢাকা: চলতি বছরের হজ কার্যক্রমের আওতায় বিমান বাংলাদেশ এয়ারলাইন্স মোট ৫১ হাজার হজযাত্রী বহন করবে। বিমান বাংলাদেশ বিশেষ ব্যবস্থায় নির্ধারিত সময়ে ঢাকা-জেদ্দা-ঢাকা রুটে পরিবহন করবে।
১৩ আগস্ট বৃহস্পতিবার প্রধানমন্ত্রী আশকোনা হজক্যাম্পে হজ কার্যক্রম ২০১৫ উদ্বোধন করেছেন।
কোনোরকম ভোগান্তি ছাড়াই হজ্জযাত্রীদের পৌঁছে দিতে এরইমধ্যে সকল ধরনের প্রস্তুতি শেষ করেছে সরকারি এ বিমান পরিবহন সংস্থা।
এবার বাংলাদেশ থেকে এক লাখ ১ হাজার ৭৫৮ জন হজ পালন করতে সৌদি আরব যাবেন। চাঁদ দেখা সাপেক্ষে আগামী ২২ সেপ্টেম্বর হজ হওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে।
সরকারি ব্যবস্থাপনায় হজযাত্রীদের ফ্লাইট শিডিউল এরইমধ্যে ঘোষণা করেছে ধর্ম মন্ত্রণালয়। চলতি বছরের প্রথম হজ ফ্লাইটটি (বিজি-১০১১) আগামী ১৬ আগস্ট শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দর থেকে সৌদি আরবের উদ্দেশে ঢাকা ছাড়বে। ওইদিন সকাল ৮টা ৩৫ মিনিটে ৪১৯ জন হজযাত্রী নিয়ে ঢাকা ত্যাগ করবে বিমানটি।
আগামী ১৭ সেপ্টেম্বর সকাল সোয়া ১০টায় ২০ জন ভিআইপি হজযাত্রী নিয়ে সর্বশেষ ফ্লাইটটি (বিজি-৫০৯১) সৌদি আরব যাবে।
সরকারি ব্যবস্থাপনায় যাত্রীদের নিয়ে ২৮ সেপ্টেম্বর সৌদি আরব থেকে বাংলাদেশের উদ্দেশ্যে ফিরতি হজ ফ্লাইটটি ছেড়ে আসবে। শেষ ফ্লাইটটি যাত্রী নিয়ে ৭ অক্টোবর ঢাকায় আসবে।
এ বছরের হজযাত্রীরা প্রত্যেকে সর্বোচ্চ নগদ এক হাজার ডলার বা সমতুল্য অন্য বৈদেশিক মুদ্রা বহন করতে পারবেন। সম্প্রতি কেন্দ্রীয় ব্যাংক এ বিষয়ে একটি প্রজ্ঞাপন জারি করেছে।
এতে বলা হয়েছে, বিমানের কনফার্ম রিটার্ন টিকিট ও আন্তর্জাতিক পাসপোর্ট এন্ডোর্সমেন্টপূর্বক হজযাত্রীদের এ মুদ্রা ইস্যু করতে পারবে মানিচেঞ্জার প্রতিষ্ঠানগুলো। তবে টিকিটে উল্লিখিত যাত্রার তারিখের ২ সপ্তাহ পূর্বে কোনো বৈদেশিক মুদ্রা ইস্যু করা যাবে না।
এদিকে এই বিশাল কর্মকাণ্ড নির্বিঘ্ন করতে ১৫ আগস্ট থেকে ২৪ অক্টোবর পর্যন্ত বিমান কয়েকটি রুটে বিশেষ করে দাম্মাম, আবুধাবি, কুয়েত ও দুবাই-এর ফ্লাইট সূচিতে কিছুটা পরিবর্তন এনেছে বিমান।
এসব রুটের যাত্রীদের পরিবর্তিত সময়সূচি সংশ্লিষ্ট ট্রাভেল এজেন্ট/বিমান অফিসগুলোতে যোগাযোগ করার জন্যও অনুরোধ করেছে সংস্থাটি।
বাংলাদেশ সময়: ১২০৮ ঘণ্টা, আগস্ট ১৩, ২০১৫
এনএস