ঢাকা, বৃহস্পতিবার, ১৩ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ২৮ নভেম্বর ২০২৪, ২৬ জমাদিউল আউয়াল ১৪৪৬

অর্থনীতি-ব্যবসা

কালুখালী থেকে টুঙ্গিপাড়া পর্যন্ত নতুন রেলপথ

সিনিয়র করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ১৯৫৪ ঘণ্টা, আগস্ট ১৮, ২০১৫
কালুখালী থেকে টুঙ্গিপাড়া পর্যন্ত নতুন রেলপথ ছবি: বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম (ফাইল ফটো)

ঢাকা: রাজবাড়ীর কালুখালী থেকে গোপালগঞ্জের টুঙ্গিপাড়া পর্যন্ত নতুন রেলপথ নির্মাণসহ ৩ হাজার ৯৬১ কোটি ৯৪ লাখ টাকার ছয়টি প্রকল্পের চূড়ান্ত অনুমোদন দিয়েছে জাতীয় অর্থনৈতিক পরিষদের নির্বাহী কমিটি (একনেক)।

মঙ্গলবার (১৮ আগস্ট) রাজধানী শেরেবাংলা নগরে অর্থ মন্ত্রণালয়ের এনইসি সম্মেলন কক্ষে একনেক সভায় এ অনুমোদন দেওয়া হয়।



সভায় সভাপতিত্বে করেন একনেক চেয়ারপারসন ও প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।

ছয়টি প্রকল্পের মধ্যে অন্যতম হলো-কালুখালী, কাশিয়ানী, গোপালগঞ্জের টুঙ্গিপাড়ার নতুন রেলপথ নির্মাণ ও ভাতাপাড়ায় পুনর্বাসন। এসব প্রকল্পের মূল ব্যয় ধরা হয়েছে ২ হাজার ২৩ কোটি ৭২ লাখ টাকা।

প্রকল্পটির আওতায় রাজবাড়ী জেলার কালুখালী, বালিয়াকান্দি, ফরিদপুর জেলার মধুখালী, বোয়ালমারী, আলফাডাঙ্গা, গোপালগঞ্জ জেলার কাশিয়ানী, গোপালগঞ্জ সদর ও টুঙ্গিপাড়ায় নতুন রেলপথ নির্মাণ করা হবে।

প্রকল্প প্রসঙ্গে পরিকল্পনামন্ত্রী আ হ ম মুস্তফা কামাল বলেন, ঐতিহাসিক ও অর্থনৈতিক বিষয় বিবেচনা করে টুঙ্গিপাড়া পর্যন্ত রেলপথ নির্মাণ করা হবে। পদ্মাসেতুর ওপর দিয়ে রেলপথ হলে ঢাকা থেকে যশোর হয়ে খুলনা পর্যন্ত সরাসরি রেলপথ হবে। তখন রেলপথ হবে ঢাকা- মাওয়া-জাজিরা-ভাঙ্গা (রেল জংশন)-যশোর-খুলনা। এখন ভাঙ্গা থেকে কাশিয়ানা-গোপালগঞ্জ-টুঙ্গিপাড়া নতুন রেলপথ হচ্ছে। এখানে রেলপথ নির্মিত হলে খুব সহজেই জাতির পিতার সমাধিতে পৌঁছাতে পারবো। এটি একটি তীর্থস্থানে রুপ নেবে।

ঢাকা দক্ষিণ সিটি কর্পোরেশনের আওতাধীন ৫টি অঞ্চলের প্রধানত ক্ষতিগ্রস্ত সিসি সড়ক, নর্দমা ও ফুটপাত উন্নয়ন প্রকল্পেরও চূড়ান্ত অনুমোদন দেওয়া হয়। এর মোট ব্যয় ২৫০ কোটি টাকা। ২০১৫ সালের জুলাই থেকে ২০১৭ সালের জুন মেয়াদে ঢাকা দক্ষিণ সিটি কর্পোরেশন প্রকল্পটি বাস্তবায়ন করবে।

বাংলাদেশ বিজ্ঞান ও শিল্প গবেষণা পরিষদের (বিসিএসআইআর) প্রযুক্তি হস্তান্তর ও উদ্ভাবন সংক্রান্ত ভৌত সুবিধাদি সৃষ্টির লক্ষ্যে একটি প্রকল্পেরও চূড়ান্ত অনুমোদন দেওয়া হয়েছে। এর মোট ব্যয় ধরা হয়েছে ৩৬ কোটি ৬৩ লাখ  টাকা।

বাংলাদেশ নদী ড্রেজিংয়ের জন্য ড্রেজার ও আনুষঙ্গিক যন্ত্রপাতি ক্রয় সংক্রান্ত একটি প্রকল্পের অনুমোদন দিয়েছে একনেক সভা। এর মোট ব্যয় ১ হাজার কোটি ২৫৩ লাখ ৫৪ হাজার টাকা।

প্রকল্পটি নিয়ে সংবাদ সম্মেলনে পরিকল্পনামন্ত্রী আহম মুস্তফা কামাল বলেন, বর্তমান সরকারের অন্যতম প্রতিপাদ্য বিষয় হলো নদী ড্রেজিং। ড্রেজিং ছোট ছোট নদী থেকে বড় বড় নদী পর্যন্ত হবে। দেশে মোট ২ হাজার  কিলোমিটার ড্রেজিং প্রয়োজন। এর জন্য মোট খরচ হবে ১০ লাখ কোটি টাকা। এর ফলে যে জমি উদ্ধার হবে তার আর্থিক মূল্য ২০ লাখ কোটি টাকা। খননের জন্য মোট ২১৬টি ছোট-বড় ড্রেজার দরকার। এ ড্রেজার ক্রয়ে মোট ৩১ হাজার কোটি টাকা দরকার হবে। এ প্রকল্পের আওতায় ২১টি ছোট ড্রেজার কেনা হবে।

ধান, গম ও ভুট্টার উন্নততর বীজ উৎপাদন এবং উন্নয়নের লক্ষ্যেও একটি প্রকল্প অনুমোদন দেওয়া হয়েছে।   এ প্রকল্পের ব্যয় ধরা হয়েছে ৩৫৩ কোটি ৪৫ লাখ টাকা। বছরে ৩ লাখ ৭০ হাজার মেট্রিক টন বীজ দরকার। বিএডিসি উৎপাদন করে ১ লাখ ৯ হাজার মেট্রিক টন। এ প্রকল্প বাস্তবায়িত হলে বিএডিসির উৎপাদন ১ লাখ ৫০ হাজার মেট্রিক টনে দাঁড়াবে।

ছয়টি প্রকল্পের মোট ব্যয় ৩ হাজার ৮১৫ কোটি টাকা।

বাংলাদেশ সময়: ১৯৫৪ ঘণ্টা, আগস্ট ১৮, ২০১৫
এমআইএস/এএসআর

** ১৭ হাজার কোটি টাকা ব্যয়ে রেল যাচ্ছে কক্সবাজারে

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।