ঢাকা, বৃহস্পতিবার, ১৩ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ২৮ নভেম্বর ২০২৪, ২৬ জমাদিউল আউয়াল ১৪৪৬

অর্থনীতি-ব্যবসা

অর্থনৈতিক সমৃদ্ধির আমদানি নীতি প্রণয়ন

শাহেদ ইরশাদ, স্টাফ করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ১০১০ ঘণ্টা, আগস্ট ১৯, ২০১৫
অর্থনৈতিক সমৃদ্ধির আমদানি নীতি প্রণয়ন

ঢাকা: মুক্তবাজার অর্থনীতির সঙ্গে সঙ্গতি রেখে পণ্য ও সেবার ক্ষেত্রে বিদ্যমান প্রতিবন্ধকতা দূর করে ভোক্তার কাছে মানসম্মত পণ্য ন্যায্যমূল্যে সরবরাহ করতে প্রণয়ন করা হয়েছে আমদানি নীতি আদেশ ২০১৫-১৮। সম্প্রতি বাণিজ্য মন্ত্রণালয় সূত্রে এ তথ্য জানা যায়।



২০১২ সালে প্রণীত তিন বছর মেয়াদি আমদানি নীতি আদেশের মেয়াদ শেষ হয়েছে চলতি বছরের ৩০ জুন। অধিকতর উদার ও সময়োপযোগী করার লক্ষ্যে নতুন এই আমদানি নীতি প্রণয়ন করেছে বাণিজ্য মন্ত্রণালয়।

এছাড়া, রফতানি শিল্পের প্রসার ও বিকাশে সরাসরি বৈদেশিক বিনিয়োগসহ সব বিনিয়োগের ক্ষেত্রে অনুকূল পরিবেশ সৃষ্টি, রফতানি করে দেশীয় শিল্পের প্রসার ও সংরক্ষণ, রফতানিমুখী শিল্পের কাঁচামাল ও অন্যান্য উপকরণ সহজলভ্য করা, ব্যবসাবান্ধব পরিবেশ সৃষ্টি, আঞ্চলিক, দ্বিপাক্ষিক, বহুপাক্ষিক চুক্তি ও প্রতিশ্রুতির বিষয়গুলো আমদানি নীতিতে অর্ন্তভুক্ত করা হয়েছে।

একই সঙ্গে জনস্বাস্থ্য, পরিবেশ, নিরাপত্তা, ধর্মীয়, সামাজিক ও সাংস্কৃতিক বিধি বিধানের দিকে লক্ষ্য রাখা হয়েছে। বিশ্ব বাণিজ্য সংস্থার (ডাব্লিউটিও) আওতায় বিশ্বায়ন ও মুক্তবাজার অর্থনীতির ক্রমবিকাশের ধারায় আমদানি নীতি আরও ব্যবসাবান্ধব, সামঞ্জস্যপূর্ণ ও সাহজ করা হয়েছে। আধুনিক প্রযুক্তি ব্যবহারের ক্ষেত্রে উন্নত মেশিনারিজ আমদানি নীতিও থাকছে সহজ শর্ত।

রফতানি সহায়ক শিল্প প্রতিষ্ঠানগুলোর জন্য আমদানি ব্যবস্থা সহজতর করার মাধ্যমে দেশীয় রফতানি প্রক্রিয়াকে মজবুত ভিত্তির ওপর দাঁড় করানোর লক্ষ্যে শিল্পনীতি, রফতানি নীতি ও অন্যান্য উন্নয়ন কর্মসূচির সঙ্গে সমন্বয় ও সামঞ্জস্যপূর্ণ করা হয়েছে।

পণ্য আমদানির ক্ষেত্রে নিয়ন্ত্রণ ব্যবস্থা অধিকতর শিথিল করাসহ শিল্পের কাঁচামাল সহজলভ্য করা, পণ্য সরবরাহ বৃদ্ধির ব্যবস্থা করা, গুণগতমান ঠিক রাখা, পরিবেশবান্ধব ও স্বাস্থ্যসম্মত পণ্য সরবরাহ নিশ্চিত করার বিষয়টিও আমদানি নীতিতে অর্ন্তভুক্ত রয়েছে।

আমদানি নীতি আদেশ প্রণয়নের জন্য প্রাথমিকভাবে বিভিন্ন মন্ত্রণালয়, দফতর, অধিদফতর সংস্থা, এফবিসিসিআইসহ বিভিন্ন চেম্বার ও ট্রেড অ্যাসোসিয়েশনের কাছ থেকে মতামত আহ্বান করে বাণিজ্য মন্ত্রণালয়।

এসব প্রতিষ্ঠানের কাছ থেকে পাওয়া ২৬১টি প্রস্তাব বাণিজ্য সহায়ক পরামর্শক কমিটির সভায় উপস্থাপন করা হয়েছে। পরে বিভিন্ন মন্ত্রণালয় ও বাণিজ্য সংগঠনগুলোর সঙ্গে মতবিনিময় করে আমদানি নীতি আদেশের খসড়া প্রস্তুত করা হয়।

বিভিন্ন মন্ত্রণালয়, দফতর, অধিদফতর সংস্থা, দ্য ফেডারেশন অব বাংলাদেশ চেম্বার অব কমার্স অ্যান্ড ইন্ড্রাস্ট্রিসহ (এফবিসিসিআই) বিভিন্ন চেম্বার ও ট্রেড অ্যাসোসিয়েশনের প্রতিনিধিদের উপস্থিতিতে চলতি বছরের ৩১ মে বাণিজ্যমন্ত্রীর সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত মতবিনিময় সভায় আমদানি নীতি ২০১৫-১৮’র খসড়া চ‍ূড়ান্ত করা হয়।

বাংলাদেশ সময়: ১০১০ ঘণ্টা, আগস্ট ১৯, ২০১৫
এসই/টিআই

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।