ঢাকা, বৃহস্পতিবার, ১৩ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ২৮ নভেম্বর ২০২৪, ২৬ জমাদিউল আউয়াল ১৪৪৬

অর্থনীতি-ব্যবসা

জাতীয় পরিচয়পত্র যাচাইয়ে ব্যাংক জালিয়াতি কমবে

সিনিয়র করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ২০১৭ ঘণ্টা, আগস্ট ১৯, ২০১৫
জাতীয় পরিচয়পত্র যাচাইয়ে ব্যাংক জালিয়াতি কমবে ছবি: বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম

ঢাকা: নির্বাচন কমিশনের (ইসি) জাতীয় পরিচয়পত্র (এনআইডি) তথ্য ভাণ্ডার থেকে পরিচয় যাচাইয়ে ব্যাংকখাতে জালিয়াতি কমবে বলে মনে করেন বাংলাদেশ ব্যাংকের গভর্নর ড. আতিউর রহমান।
 
বুধবার (১৯ আগস্ট) সন্ধ্যায় রাজধানীর একটি হোটেলে আয়োজিত এক সমঝোতা চুক্তি সই অনুষ্ঠানে তিনি এ মন্তব্য করেন।



বেসরকারি তফসিলি ব্যাংক ডাচ-বাংলা ব্যাংক লিমিটেড ও ব্র্যাক ব্যাংক লিমিটেডের সঙ্গে নাগরিকদের এনআইডি-এর তথ্য শেয়ার সংক্রান্ত একটি চুক্তি সই করে ইসি।

অনুষ্ঠানের প্রধান অতিথি ড. আতিউর রহমান বলেন, এ চুক্তির পর থেকে গ্রাহকদের তথ্য যাচাইয়ের জন্য নির্বাচন কমিশনের দেওয়া এনআইডির তথ্য শেয়ার করতে হবে ব্যাংক দু’টোকে।   এর মাধ্যমে  ব্যাংক খাতে এনআইডি তথ্য শেয়ারে যাত্রা শুরু হলো।
‘আশাকরি, বেসরকারি ব্যাংকগুলোর পাশাপাশি সরকারি ব্যাংকগুলোও দ্রুত এ সেবার আওতায় আসবে। এতে সঠিক গ্রাহকের নিশ্চয়তার পাশাপাশি লেনদেনেও স্বচ্ছতা আসবে। ’

তিনি বলেন, তথ্য শেয়ারের ফলে জালিয়াতি ব্যাপক হারে কমে যাবে। এছাড়া লেনদেনের গুণগত মান বাড়বে। কেননা, ব্যাংকে অ্যাকাউন্ট খুলতে গেলে নাগরিকের পরিচয়পত্রের নিশ্চয়তার দরকার হয়।

‘এ ক্ষেত্রে ইসির তথ্য ভাণ্ডার থেকে নাগরিকের পরিচয় নিশ্চিত হওয়া যাবে,’ যোগ করেন বাংলাদেশ ব্যাংক গভর্নর।
 
ড. আতিউর রহমান বলেন, বর্তমানে সেবার ৮০শতাংশ বেসরকারি খাত থেকে আসে। তাই সব সেক্টরকেই ইসির তথ্যভাণ্ডার ব্যবহার করা উচিত। এতে সামাজিক নিরাপত্তার পাশাপাশি সুশাসন নিশ্চিত হবে এবং সামগ্রিক উন্নয়ন হবে।
 
দেশে ২কোটি ৮০লাখ মানুষ মোবাইল ব্যাংকিংয়ের সঙ্গে জড়িত জানিয়ে তিনি বলেন, মোবাইল কোম্পানিগুলোকেও এর আওতায় আনা উচিত। এতে একজনের একাধিক সিম ব্যবহারের প্রবণতা কমবে। ফলে মোবাইল ব্যাংকিং এ নিরাপত্তা নিশ্চিত করা যাবে।
 
গ্রামের দারিদ্র্য জনগোষ্ঠী, পোশাককর্মী ও সুবিধা বঞ্চিতদের অগ্রাধিকার ভিত্তিতে জাতীয় পরিচয়পত্র দিতে ইসির প্রতি আহ্বান জানান ড. আতিউর রহমান।
 
অনুষ্ঠানে সভাপতিত্ব করেন ইসি সচিব সিরাজুল ইসলাম। তিনি বলেন, ভবিষতে যারা ভোটার নন, তারাও এনআইডি পাবেন। এক্ষেত্রে শিক্ষা প্রতিষ্ঠান ও স্বাস্থ্যখাতে ব্যাপক উন্নতি হবে। জাতীয় পরিচয়পত্রের বহুমুখী ব্যবহারে সুশাসনও নিশ্চিত করা যাবে।
 
আলোচনা সভায় মূল প্রবন্ধ উপস্থাপন করেন ইসির এনআইডি শাখার মহাপরিচালক বিগ্রেডিয়ার জেনারেল সুলতানুজ্জামান মো. সালেহ।

তিনি বলেন, পৃথিবীর যে কোনো দেশের স্মার্টকার্ডের চেয়ে আমাদের স্মার্টকার্ড উন্নত হবে। এর মেমোরি এতো বেশি যে, কেউ ইচ্ছা করলে আলাদা অ্যাপলিকেশন ইনস্টল করে তা রান করাতে পারবে।

এ সময় অন্যদের মধ্যে বিশ্বব্যাংকের কান্ট্রি ডিরেক্টর জোহানেস জাট, ব্র্যাক ব্যাংক লিমিটেডের উপ-ব্যবস্থাপনা পরিচালক মামদুদুর রশিদ, ডাচ-বাংলা ব্যাংক ‍লিমিটেডের ব্যবস্থাপনা পরিচালক কেএস তাভেজ প্রমুখ উপস্থিত ছিলেন।
 
আলোচনা শেষে এই দুই ব্যাংকের সঙ্গে নির্বাচন কমিশনের চুক্তি সই হয়।
 
বাংলাদেশ সময়: ২০১৭ ঘণ্টা, আগস্ট ১৯, ২০১৫
ইইউডি/এমএ

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।