ঢাকা, বৃহস্পতিবার, ১২ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ২৮ নভেম্বর ২০২৪, ২৬ জমাদিউল আউয়াল ১৪৪৬

অর্থনীতি-ব্যবসা

পাথর পরিবহনে রেলের আয়ের লক্ষ্যমাত্রা আড়াই হাজার কোটি

সুকুমার সরকার, সিনিয়র স্পেশাল করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ১৯৫৩ ঘণ্টা, আগস্ট ২০, ২০১৫
পাথর পরিবহনে রেলের আয়ের লক্ষ্যমাত্রা আড়াই হাজার কোটি

ঢাকা: ভারত থেকে পদ্মাসেতুর কাজে ব্যবহৃত পাথর পরিবহন করে আড়াই হাজার কোটি টাকা আয়ের লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারণ করেছে বাংলাদেশ রেলওয়ে কর্তৃপক্ষ।

নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক বাংলাদেশ রেলওয়ের একজন শীর্ষ কর্মকর্তা বাংলানিউজকে একথা জানান।



তিনি বাংলানিউজকে বলেন, পদ্মাসেতুর জন্য ভারত থেকে পাঁচ কোটি মেট্রিকটন পাথর আমদানি করা হচ্ছে। বাংলাদেশ সরকারের তরফে সংশ্লিষ্ট পরিদর্শকের মাধ্যমে ইতোমধ্যে পাথর বাছাই করে তা রেলে করে আনাও শুরু হয়েছে।

বিহারের সাহেবগঞ্জ ও ঝাড়খণ্ডের পাকুর এলাকা থেকে আনা হচ্ছে এ পাথর। পাথর আমদানির জন্য দরপত্র আহ্বান করে সর্বনিম্ন কয়েকটি পার্টিকে কার্যাদেশ দেওয়া হয়েছে। তারাই ভারতীয় কর্তৃপক্ষের সহায়তায় রেলে করে বাংলাদেশ-ভারত সীমান্তে পাথর পরিবহন করে আনছেন।

বিহার ও ঝাড়খণ্ড থেকে রেলে করে পাথর আনা হচ্ছে পশ্চিমবঙ্গের মালদহ জেলার সিংগাবাদ রেলস্টেশনে। সিংগাবাদের এপারেই বাংলাদেশের চাঁপাইনবাবগঞ্জ জেলার রহনপুর রেলস্টেশন।

বাংলাদেশ রেল কর্ত‍ৃপক্ষ রহনপুর রেলস্টেশন থেকে পর্যাযক্রমে এ পাথর পরিবহন করে নিয়ে আসছেন পদ্মাসেতুর কাছাকাছি রেল স্টেশনগুলোতে।

বিপুল পরিমাণ এ পাথর রাখার জন্য স্থান হিসেবে বাছাই করা হয়েছে ফরিদপুর, সাতোর, মধুখালী, কাশিয়ানী, ভাটিয়াপাড়া, ঘাসিয়াবাদ রেলস্টেশনকে। এরপর ট্রাকে করে সেই পাথর আনা হচ্ছে পদ্মাসেতুর কাওড়াকান্দি ও জাজিরা এলাকায়।

সূত্র আরও জানায়, এরপর নৌযানে করে মাওয়ায়ও নেওয়া হচ্ছে পাথর। পদ্মাসেতুর উভয় পাড় এলাকায় নদীশাসন, পাইলিং, লিংক রোডসহ ঢাকা থেকে মাওয়া এবং পদ্মাসেতুর অপর প্রান্ত জাজিরা হয়ে ভাঙ্গা পর্যন্ত সড়কের কাজেও ব্যবহৃত হচ্ছে এ পাথর।

বাংলাদেশ সময়: ১৯৫৫ ঘণ্টা, আগস্ট ২০, ২০১৫
এসএস/এএ

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।