ঢাকা, বৃহস্পতিবার, ১২ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ২৮ নভেম্বর ২০২৪, ২৬ জমাদিউল আউয়াল ১৪৪৬

অর্থনীতি-ব্যবসা

বাংলানিউজকে সেলিম এইচ রহমান

‘হাতিল’কে গ্লোবাল ব্র্যান্ড হিসেবে দেখতে চাই

আবু খালিদ, সিনিয়র করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ১১৪০ ঘণ্টা, আগস্ট ২৫, ২০১৫
‘হাতিল’কে গ্লোবাল ব্র্যান্ড হিসেবে দেখতে চাই ছবি: বাংলানিউজেটোয়েন্টিফোর.কম

ঢাকা: দেড় যুগ পেরিয়ে গেছে হাতিলের। প্রযুক্তির ছোঁয়া, নিত্যনতুন নকশা, গুণগত মানসম্মত পণ্য সরবরাহে সফলতা পেয়েছে প্রতিষ্ঠানটি।

হাতিলের পণ্যের বিস্তৃতি দেশ ছাড়িয়ে এখন বিশ্ববাজারে।

হাতিল পণ্যের এই সফলতার গল্পটা কেমন, শুরুটা কেমনভাবে হয়েছিল, আর এই সফলতার নেপথ্যেই কী আছে, বাংলানিউজের সঙ্গে একান্ত সাক্ষাৎকারে এরকম নানা প্রশ্নের উত্তর দিয়েছেন হাতিলের কর্ণধার ও ব্যবস্থাপনা পরিচালক সেলিম এইচ রহমান। সাক্ষাৎকারটি নিয়েছেন বাংলানিউজের সিনিয়র করেসপন্ডেন্ট আবু খালিদ।

বাংলানিউজ: ভবিষ্যতে হাতিলকে কেমন দেখতে চান।

সেলিম এইচ রহমান: আমি চাই হাতিল বিশ্ববাজারে  গ্লোবাল ব্র্যান্ড হিসেবে প্রতিষ্ঠিত হোক। হাতিলকে আন্তর্জাতিক বাজারে ব্যাপকভাবে দেখতে চাই। অবশ্য এ লক্ষ্য নিয়ে কাজও চলছে।

বাংলানিউজ: দেশের বাইরে হাতিল ছড়িয়ে যাচ্ছে, এর শুরুটা কবে থেকে।

সেলিম এইচ রহমান: শুরুটা খুব বেশি দিনের নয়। বছরখানেক হলো মধ্যপ্রাচ্যের দেশে রপ্তানী করছি। একজন আমেরিকান বায়ার আছেন। আগে উনি চায়না থেকে নিতেন। এখন বাংলাদেশে আমাদের কাছ থেকে নিচ্ছেন।

এই মহুর্তে কয়েকজন বাঙ্গালি মিলে অস্ট্রেলিয়ায় একটা শো রুম করেছি। কানাডাতে একটা শো রুম আছে হাতিল নামে। উনারা পরিচালনা করছেন। আমরা দেশ থেকে পণ্য সরবরাহ করি। ওনারা হাতিল ব্র্যান্ড নামে বিক্রি করছেন।

আরও একটা শো রুম হওয়ার বিষয়ে দুইজন বাঙালির সঙ্গে কথা হচ্ছে।

বাংলানিউজ: গ্রাম পর্যায়েও হাতিলের পণ্যের চাহিদা আছে। কিন্তু অনেকেই দামটা হাতের নাগালে বাইরে বলে থাকেন।

সেলিম এইচ রহমান: আমি বলবো যে এই বেশিটা যৌক্তিক বেশি কিনা। এখন প্রশ্ন হলো একটা সিগমেন্টটা তো থাকবেই। ৪০০ থেকে ৫০০ টাকার প্লাস্টিকের চেয়ার পাবেন। কিন্তু আমি যতই চেষ্টা করি না কেন এই ম্যাটরিয়ালসে কিন্তু সেখানে পৌঁছা সম্ভব নয়।

তবে হঁ্যা আমাদের চেষ্টা আছে আমরা আরও কত ধাপ কমে যেতে পারি। ম্যাটরিয়ালসে পরিবর্তন আসবে। এখানে ম্যাটারিয়ালস, উপকরণের বিষয় আছে।   ইচ্ছে করলেই অনেক কিছু করা যায় না।

বাংলানিউজ: দরজা নিয়ে বাজারজাত করণ এবং পরে আসবাব শিল্পে চলে আসা নিয়ে কিছু বলুন।

সেলিম এইচ রহমান: আমরা প্রথম দুটি শো রুম নিয়ে বাজারজাতকরণের কাজ শুরু করি। শো রুম দুটি ছিল মধ্য বাড্ডা ও মিরপুরে। এই দুটি শোরুমের মাধ্যমে আমরা সলিড কাঠের দরজা, জানালা তৈরি করে বিক্রি শুরু করি। এরপর হাতিলের দরজার চাহিদা দিনদিন বাড়তে থাকে। গ্রাহকরা বলতে শুরু করলেন, আপনারা ভালো দরজা তৈরি করছেন, তাহলে আসবাব নয় কেন? গ্রাহকদের এই চাহিদা থেকেই আসলে আসবাব শিল্পে আসা।

বাংলানিউজ: আসবাব শিল্প সম্পর্কে কিছু বলবেন?

সেলিম এইচ রহমান: আসবাব এখন ফ্যাশনের জায়গায় চলে আসছে। সবসময় এর সঙ্গে নতুনত্ব যুক্ত হচ্ছে। উদাহরণ হিসেবে মনে করেন পানির মামের বোতল ইন্ড্রাস্ট্রিজ করলেন। পণ্য তৈরি হলো। পণ্য বাজারে চলছে। এর মধ্যে কিন্তু আর কোনো কিছুই নেই।

কিন্তু আসবাবের বিষয়টি একেবারেই ভিন্ন। এটা সবসময়ই চলমান ও পরিবর্তনশীল। এটার সামনে যারা থাকেন তারা যদি সবসময়ই এর পরিচর্যা না করেন, নতুন কিছু না ভাবেন তাহলে সামনের দিকে যাওয়ার সুযোগ কম থাকবে।

নতুন নতুন নকশাকে উন্নত প্রযুক্তির মাধ্যমে টেকনিক্যালকে উন্নত করে কীভাবে র ম্যাটেরিয়ালস কম ব্যবহার করে একটা ভালো জিনিস তৈরি করা যায় এবং সেটা যেন মানুষের ক্রয় ক্ষমতার মধ্যে থাকে। এই চেষ্টাটা আমরা প্রতিনিয়ত করছি।

বাংলানিউজ: আসবাব নিয়ে ক্রেতাদের দৃষ্টি ভঙ্গি কি পাল্টেছে

সেলিম এইচ রহমান: হ্য‍ঁা ক্রেতাদের আসবাব নিয়ে দৃষ্টি ভঙ্গির পরিবর্তন হয়েছে। এক সময়ে আসববাব ব্যবসায়ীদের সম্পর্কে ইতিবাচক ধারণা ছিল না। কিন্তু এখন পরিস্থিতি ভিন্ন।

বাংলাদেশ সময়: ১১৪৪ ঘণ্টা, আগস্ট ২৫, ২০১৫
একে/এনএস/

** প্রতিশ্রুতি রক্ষায় হাতিল’র এগিয়ে যাওয়া

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।