ঢাকা: বাংলাদেশের টেক্সাটাইল শিল্পখাতে চীন সাড়ে ৩শ মিলিয়ন ডলার (২ হাজার ৭শ ৩০ কোটি টাকা প্রায়) বিনিয়োগ করতে চায় বলে জানিয়েছেন অর্থমন্ত্রী আবুল মাল আব্দুল মুহিত।
মঙ্গলবার (২৬ আগস্ট) বিকেলে অর্থমন্ত্রণালয়ের সম্মেলন কক্ষে ‘বাংলাদেশ-চায়না ফ্রেন্ডশিপ এক্সিবিশন সেন্টার’ শীর্ষক প্রকল্পের চুক্তি স্বাক্ষর শেষে সাংবাদিকদের একথা জানান তিনি।
মুহিত বলেন, টেক্সাটাইল শিল্প ছাড়াও রেলওয়ে, জুট, ব্রিজ প্রকল্পে বিনিয়োগ করতে আগ্রহ প্রকাশ করেছেন চীনের বাণিজ্য মন্ত্রী গাও হুচেং।
তিনি বলেন, চীন বাংলাদেশে একটি ইন্ডাস্ট্রিয়াল পার্ক করার প্রস্তাব দিয়েছে। সেখানে কাজের সযোগ পাবে দুই হাজার শ্রমিক। আমরা এখনো তাতে রাজি হইনি। বাংলাদেশে বিনিয়োগ করতে আগ্রহ প্রকাশ করেছে আরও অনেক কোম্পানি।
মন্ত্রী বলেন, চীনের সঙ্গে আমাদের সর্ম্পক ১৯৭৮ সাল থেকে। সেখানকার বিজনেস কমিউনিটি বাংলাদেশের বিভিন্ন মন্ত্রণালয় পরিদর্শন করে নানা ধরনের শিল্প কারখানা স্থাপনের প্রস্তাব দিয়েছে। বাংলাদেশ-চীন-ভারত-মায়ানমার আঞ্চলিক মহাসড়কের ১৭০ কিলোমিটারের মধ্যে ২৩ কিলোমিটার বাংলাদেশ নির্মাণ করবে। এটি আমাদের মন্ত্রিসভায় অনুমোদনও দেওয়া হয়েছে।
তিনি বলেন, চলতি বছরের ৬ জুন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার চীন সফর শেষে আমরা চীনকে যতগুলো প্রকল্প দিয়েছি সবগুলোই আলোচনার পর গ্রহণ করেছে তারা। চীনের সঙ্গে আমাদের তিনটি চুক্তি হয়েছে। তাতে আমাদের যে টাকা দেওয়ার কথা ছিলো দেয়নি। এছাড়াও তাদের দেওয়া টাকার সুদের হার নিয়ে আলোচনা করা হয়েছে। যাতে সুদ আমাদের সাধ্যের মধ্যে থাকে।
বাংলাদেশ চায়না ফ্রেন্ডশিপ এক্সিবিশন সেন্টার শীর্ষক প্রকল্পের চুক্তির আওতায় ৩৩ হাজার বর্গমিটার আয়তনের প্রকল্পটি বাস্তবায়নে ব্যয় হবে ৭৯৬ দশমিক ০১ কোটি টাকা। এরমধ্যে অনুদান হিসেব চীন দেবে ৬শ ৭৫ দশমিক ৭০ কোটি টাকা।
চুক্তির আওতায় চীন সরকার পূর্বাচল উপশহরে প্রকল্পের নকশা অনুযায়ী দেড় হাজার গাড়ি পার্কিংয়ের জন্য একটি দ্বিতল ভবন, ৮শটি প্রদর্শনী বুথ এবং পাবলিক ও কারিগরি সহায়তা দেবে।
এছাড়াও চীন সরকারের অনুদানের ৩৫ দশমিক ৪০ কোটি টাকায় স্বাস্থ্য ও পরিবার কল্যাণ মন্ত্রণালয়ের জন্য ‘এ ব্যাচ অব মেডিকেল ইকুইপমেন্ট অ্যান্ড অ্যাপ্লায়েন্স’ সংগ্রহ করা হবে। এই অর্থ থেকে এসব যন্ত্রপাতি স্থাপন ও কমিশনিংসহ বাংলাদেশি টেকনিশিয়ানদের প্রশিক্ষণের ব্যবস্থা করবে।
নিজ নিজ দেশের পক্ষে চুক্তিতে স্বাক্ষর করেন, অর্থমন্ত্রী আবুল মাল আব্দুল মুহিত ও চীনের বাণিজ্য মন্ত্রী গাও হুচেং।
এসময় অর্থমন্ত্রণালয়, অর্থনৈতিক সর্ম্পক বিভাগের কর্মকর্তা ও চীনের বাণিজ্য মন্ত্রণালয়ের কর্মকর্তা এবং ঢাকায় চীনা দূতাবাসের প্রতিনিধি উপস্থিত ছিলেন।
বাংলাদেশ সময়: ১৭০৫ ঘণ্টা, আগস্ট ২৫, ২০১৫/আপডেট: ১৮৩৬
এসই/এএ