ঢাকা, বৃহস্পতিবার, ১২ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ২৮ নভেম্বর ২০২৪, ২৬ জমাদিউল আউয়াল ১৪৪৬

অর্থনীতি-ব্যবসা

রূপালী ব্যাংক এমডির বিরুদ্ধে ষড়যন্ত্র, মুক্তিযোদ্ধারা ক্ষুব্ধ

স্টাফ করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ১০১১ ঘণ্টা, আগস্ট ৩১, ২০১৫
রূপালী ব্যাংক এমডির বিরুদ্ধে ষড়যন্ত্র, মুক্তিযোদ্ধারা ক্ষুব্ধ

ঢাকা: রূপালী ব্যাংকের এমডি এম ফরিদ উদ্দিনের মুক্তিযোদ্ধা সনদ যাচাইয়ের (তদন্ত) চিঠি দেওয়ায় ক্ষোভ প্রকাশ করেছে পিরোজপুরের ভান্ডারিয়া উপজেলার মুক্তিযোদ্ধা সংসদ।
 
সম্প্রতি মুক্তিযুদ্ধ বিষয়ক মন্ত্রণালয় থেকে এম ফরিদ উদ্দিনের মুক্তিযোদ্ধা পরিচয় নিয়ে প্রশ্ন তুলে এ চিঠি দেওয়া হয়।



এর প্রতিক্রিয়ায় ভান্ডারিয়া উপজেলার মুক্তিযুদ্ধকালীন কমান্ডার আব্দুল আজিজ শিকদার বলেন, এম ফরিদ উদ্দিন শুধু মুক্তিযোদ্ধাই নন, যুদ্ধকালীন একজন সক্রিয় সংগঠকও। তিনি ১৯৭১ সালে গৌরিপুর ইউনিয়ন ছাত্রলীগ নেতা ছিলেন। তার নেতৃত্বেই ওই ইউনিয়নের অর্ধশত তরুণ যুদ্ধে অংশ নেন। তিনি যে প্রকৃত মুক্তিযোদ্ধা তাতে কোনো সন্দেহ নেই।
 
এই মুক্তিযোদ্ধা কমান্ডারের অভিযোগ, মুক্তিযুদ্ধ বিষয়ক মন্ত্রণালয় কোন একটি মহলের প্ররোচণায় তার চরিত্র হননে নেমেছে।
 
পিরোজপুরের কাঠালিয়া ও ভান্ডারিয়া উপজেলার মুক্তিযুদ্ধের অন্যতম সংগঠক ও উপজেলা আওয়ামী লীগ সভাপতি খান এনায়েত করিম বলেন, রূপালী ব্যাংকের এমডি ফরিদ উদ্দিন আমার সহযোদ্ধা। আমরা একসঙ্গে যুদ্ধ করেছি। তিনি মুক্তিযোদ্ধা না হলে কারা মুক্তিযোদ্ধা?

ভান্ডারিয়ার মুক্তিযোদ্ধা বাচ্চু হাওলাদার বলেন, ফরিদ মুক্তিযুদ্ধে ৯ নম্বর সেক্টর এর অধীনে সুন্দরবন সাব-সেক্টরে আমাদের সঙ্গে যুদ্ধ করেছেন। তার মুক্তিযোদ্ধা পরিচয় নিয়ে প্রশ্ন তোলায় আমরা হতবাক।
 
৯ নম্বর সেক্টরের সুন্দরবন সাব-সেক্টর কমান্ডার আহত যোদ্ধা তৈয়বুর রহমান বলেন, ফরিদ আমার সঙ্গে মুক্তিযুদ্ধ করেছে। ভারত থেকে প্রকাশিত লালবার্তায় তার নাম রয়েছে। হঠাৎ করে মুক্তিযুদ্ধ বিষয়ক মন্ত্রণালয় তার বিষয়ে তদন্ত করার চিঠি দিলো কেন বুঝলাম না।
 
ভান্ডারিয়া উপজেলার অন্যতম মুক্তিযোদ্ধা সংগঠক নিজামুল হক নান্না বিএসসি বলেন, এম ফরিদ উদ্দিন আমাদের সঙ্গে পিরোজপুরের পাড়ের হাটে হানাদার বাহিনীর সঙ্গে সম্মুখ যুদ্ধ করে আহতও হয়েছিলেন, আর সেই ব্যক্তির পরিচয় নিয়ে সন্দেহ?
 
অনুসন্ধানে জানা গেছে, এম ফরিদ উদ্দিনের নাম মুক্তিবার্তায় লিপিবদ্ধ রয়েছে। যার নম্বর ০৬০৫০৫০৪৫৩। যার ভিত্তিতে তার সনদপত্র প্রত্যয়ন করা হয়। তার নামে বাংলাদেশ মুক্তিযোদ্ধা সংসদ, কেন্দ্রীয় কমান্ড কাউন্সিলের দেওয়া প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা স্বাক্ষরিত সনদ রয়েছে। সনদ নম্বর ২৭২২৩। যেটি ২০০০ সালের ২১ আগস্ট দেওয়া হয়। তার নামে গেজেটও রয়েছে যার নম্বর-২৪৫১। পাশাপাশি তার রয়েছে সাময়িক সনদ। যার নম্বর ৯৯৭৩৭। যেটি দেওয়া হয় ২০০৬ সালের ২২ জুন। লাল বার্তায়ও রয়েছে ফরিদ উদ্দিনের নাম।
 
বাংলাদেশ সময়: ২০০৯ ঘণ্টা, আগস্ট: ৩১, ২০১৫
এসই/জেডএম

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।