ঢাকা, বৃহস্পতিবার, ১২ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ২৮ নভেম্বর ২০২৪, ২৬ জমাদিউল আউয়াল ১৪৪৬

অর্থনীতি-ব্যবসা

১৯৯৬ সালের শেয়ার কেলেঙ্কারি

প্রিমিয়াম সিকিউরিটিজের চূড়ান্ত শুনানি বুধবার

স্টাফ করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ২১১৫ ঘণ্টা, সেপ্টেম্বর ১, ২০১৫
প্রিমিয়াম সিকিউরিটিজের চূড়ান্ত শুনানি বুধবার

ঢাকা: বিশেষ ট্রাইব্যুনালে ১৯৯৬ সালের শেয়ার কেলেঙ্কারির মামলায় প্রিমিয়াম সিকিউরিটিজ লিমিটেডের চূড়ান্ত শুনানি হবে বুধবার (০২ সেপ্টেম্বর)।

শেয়ার প্রতারণার অভিযোগে এ মামলায় কোম্পানির পাশাপাশি আসামি করা হয়েছে চেয়ারম্যান এম এ রউফ চৌধুরী, ব্যবস্থাপনা পরিচালক মশিউর রহমান, পরিচালক সৈয়দ এইচ চৌধুরী ও অনু জাহাঙ্গীরকে।



আসামিদের বিরুদ্ধে অভিযোগ, তারা প্রিমিয়াম সিকিউরিটিজের নামে ১৯৯৬ সালের জুলাই থেকে ডিসেম্বর পর্যন্ত সময়ে প্রতারণার মাধ্যমে বিভিন্ন কোম্পানির শেয়ার লেনদেন করেছেন। যা সিকিউরিটিজ অ্যান্ড এক্সচেঞ্জ অধ্যাদেশ ১৯৬৯-এর ১৭ ধারার ই(২) বিধান লঙ্ঘন। সিকিউরিটিজ অ্যান্ড এক্সচেঞ্জ অধ্যাদেশের ২৪ ধারার অধীনে এটি শাস্তিযোগ্য অপরাধ।

অসামিদের অনিয়ম খতিয়ে দেখতে বাংলাদেশ সিকিউরিটিজ অ্যান্ড এক্সচেঞ্জ কমিশন (বিএসইসি) সিকিউরিটিজ অ্যান্ড এক্সচেঞ্জ অধ্যাদেশ ১৯৬৯-এর ২১ ধারার ক্ষমতা বলে তদন্ত কমিটি গঠন করে। তদন্ত শেষে কমিটি ১৯৯৭ সালের ২৭ মার্চ প্রতিবেদন দাখিল করেন।
 
ওই প্রতিবেদনের আলোকে প্রিমিয়াম সিকিউরিটিজ, এম এ রউফ চৌধুরী, মশিউর রহমান, সৈয়দ এইচ চৌধুরী ও অনু জাহাঙ্গীরের বিরুদ্ধে মামলা করে বিএসইসি। বিএসইসির পক্ষে মামলাটি করেন সাবেক নির্বাহী পরিচালক এমএ রশিদ খান।

এমএ রশিদ খানসহ এ মামলায় সাক্ষী হিসেবে আছেন বিএসইসির সাবেক চেয়ারম্যান মনির উদ্দিন আহমেদ, অধ্যাপক আমিরুল ইসলাম চৌধুরী, অধ্যাপক জহুরুল হক, ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জের (ডিএসই) সহকারী মহাব্যবস্থাপক মো. রুহুল খালেক ও সিনিয়র এক্সিকিউটিভ দেলোয়ার হোসেন।

মামলার অভিযোগে বলা হয়েছে, আসামিরা প্রতারণার মাধ্যমে ১৯৯৬ সালের জুলাই মাস থেকে ডিসেম্বর পর্যন্ত সময়ে বেক্সিমকো ফার্মার ১৩ লাখ ২৪ হাজার ৭শ ৯৫টি শেয়ার লেনদেন করে। তবে ডেলিভারি ভার্সেস পেমেন্ট দিয়েছে ৯ লাখ ৯৮ হাজার ৭শটি শেয়ারের। আর ১ লাখ ১ হাজার শেয়ার অনিষ্পত্তি অবস্থায় ছিলো। যার বাজার মূল্য ৮ কোটি টাকা।

এছাড়া প্রতারণার মাধ্যমে মিতা টেক্সটাইল ও প্রাইম টেক্সটাইলের শেয়ার লেনদেন করা হয় বলেও আসামিদের বিরুদ্ধে অভিযোগ আনা হয়েছে। এর মাধ্যমে আসামিরা সাধারণ বিনিয়োগকারীদের ক্ষতি, অপকার ও অন্বিষ্ট করেছেন বলে অভিযোগে বলা হয়।

পুঁজিবাজার সংক্রান্ত মামলা পরিচালনায় বিশেষ ট্রাইব্যুনালটি গঠন করা হয় গত জুন মাসে। বিশেষ ট্রাইব্যুনালের কার্যক্রম শুরুর পর ১৯৯৬ সালের আলোচিত শেয়ারবাজার কেলেঙ্কারির ঘটনায় করা মামলার একটি রায় হয়েছে। গত ৩১ আগস্ট রায়টি দেওয়া হয়।
 
রায়ে ওভার দ্য কাউন্টার (ওটিসি) মার্কেটে তালিকাভুক্ত বস্ত্র খাতের কোম্পানি চিক টেক্সটাইল লিমিটেডের ব্যবস্থাপনা পরিচালক ইঞ্জিনিয়ার মো. মাকসুদুর রসুল ও পরিচালক ইফতিখার মোহাম্মদকে ৪ বছর করে কারাদণ্ড দেওয়া হয়।
 
একই সঙ্গে তাদের প্রত্যেককে ৩০ লাখ টাকা করে জরিমানা, অনাদায়ে আরও ৬ মাসের কারাদণ্ড দেওয়া হয়। এর আগে ২৭ আগস্ট বিশেষ ট্রাইব্যুনালে মামলাটির চূড়ান্ত শুনানি হয়।
 
বাংলাদেশ সময়: ২১১৪ ঘণ্টা, সেপ্টেম্বর ০১, ২০১৫
এএসএস/এএ

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।