ঢাকা, বুধবার, ১২ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ২৭ নভেম্বর ২০২৪, ২৫ জমাদিউল আউয়াল ১৪৪৬

অর্থনীতি-ব্যবসা

ধাতব মুদ্রা নিচ্ছে না ব্যাংক, ব্যবসায়ীরা চরম বিপাকে

রহিম রেজা, ডিস্ট্রিক্ট করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ০৭২০ ঘণ্টা, অক্টোবর ৯, ২০১৫
ধাতব মুদ্রা নিচ্ছে না ব্যাংক, ব্যবসায়ীরা চরম বিপাকে ছবি: বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম

ঝালকাঠি: ঝালকাঠিতে ব্যাংকগুলোতে ধাতবমুদ্রা গ্রহণ করছে না বলে অভিযোগ পাওয়া গেছে। এতে উপজেলার ব্যবসায়ী ও গ্রাহকরা বিভিন্ন মানের ধাতব মুদ্রা নিয়ে চরম বিপাকে পড়েছেন।

ব্যাংক কর্মকর্তারা খামখেয়ালি করে ব্যবসায়ী ও গ্রাহকদের কাছ থেকে এসব মুদ্রা গ্রহণ করছে না বলে অভিযোগ করছেন তারা।

জানা গেছে, রাজাপুর উপজেলা সদরে সোনালী ব্যাংক, পূবালী ব্যাংক, কৃষি ব্যাংক ও অগ্রণী ব্যাংকের শাখা রয়েছে। এ সব ব্যাংকের গ্রাহকরা এক টাকা, দুই টাকা ও পাঁচ টাকার ধাতব মুদ্রা নিয়ে গেলে ব্যাংক কর্তৃপক্ষ বিভিন্ন অজুহাতে এসব কয়েন নিতে অপারগতা প্রকাশ করছেন।

ব্যাংক কর্তৃপক্ষের এমন ভূমিকায় খুচরা ও পাইকারি ব্যবসায়ীরাসহ গ্রাহকরা এ ধাতব মুদ্রা নিয়ে বিপাকে পড়েছেন।

এমতাবস্থায় ব্যবসায়ীদের কাছে সাধারণ মানুষ কোনো দ্রব্য ক্রয়-বিক্রয় করতে গেলে ব্যবসায়ীরাও ব্যাংক কর্তৃপক্ষের দোহাই দিয়ে মুদ্রা ফিরিয়ে দিচ্ছেন বলে অভিযোগ রয়েছে।

এ ব্যাপারে রাজাপুরের ব্যবসায়ী বাদশা খান বাংলানিউজকে জানান, তার কাছে ২০ হাজার টাকার কয়েন (ধাতব মুদ্রা) অলস পরে আছে ব্যাংক নিচ্ছে না। তাই বর্তমানে মুদ্রা নেওয়া বন্ধ করে দিয়েছেন তিনি।

রাজাপুর সদর ডাকবাংলো মোড়ের খুচরা ব্যবসায়ী এস্কেন্দার আলী বাংলানিউজকে জানান, তার কাছে বিভিন্ন সময় জমানো ১০ হাজার টাকা মূল্যের কয়েন রয়েছে। তিনি এ কয়েন টাকা ব্যাংকে জমা দিতে গেলে ব্যাংক কর্তৃপক্ষ রাখেনি। পরে সেই ১০ হাজার টাকার কয়েন ১ হাজার টাকা লোকসান দিয়ে ৯ হাজার টাকায় বিক্রি করে দেন তিনি।

এভাবে একাধিক ব্যবসায়ী বাংলানিউজকে জানান, বাংলাদেশ ব্যাংকের নিয়মানুযায়ী প্রচলিত মুদ্রা বাংলাদেশের যে কোনো আর্থিক প্রতিষ্ঠান নিতে বাধ্য কিন্তু এ ধাতব মুদ্রার বিষয়ে সরকার বা কেন্দ্রীয় ব্যাংকের কোনো প্রকার নির্দেশনা ছাড়াই স্থানীয় ব্যাংকগুলোর এমন আচরণ দুঃখজনক।

এ বিষয়ে সোনালী ব্যাংকের উপজেলা কর্মকর্তা মো. আলতাব হোসেন বাংলানিউজকে জানান, ব্যাংকে জায়গা নেই তাই ধাতব মুদ্রা নিতে পারছি না।

তবে পূবালী ব্যাংকের ব্যবস্থাপক আমিনুল হক হাওলাদার বাংলানিউজকে জানান, ধাতব মুদ্রা গ্রহণ করি নাই শাখায় এমন কোনো ঘটনা এখন পর্যন্ত ঘটেনি। সব ধরনের টাকাই জমা নিচ্ছি ও নেব।

উপজলো কৃষি ব্যাংক কর্মকর্তা নূপুর কৃষ্ণ মণ্ডল বাংলানিউজকে জানান, এ শাখায় তিনি এ ধরনের সমস্যার সম্মুখীন হননি।

বাংলাদেশ সময়: ০৭১২ ঘণ্টা, অক্টোবর ০৯, ২০১৫
এএটি/আরআই

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।