ঢাকা, বুধবার, ১২ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ২৭ নভেম্বর ২০২৪, ২৫ জমাদিউল আউয়াল ১৪৪৬

অর্থনীতি-ব্যবসা

‘যুক্তরাষ্ট্রের নীতি দেশের অর্থনীতিতে প্রভাব ফেলবে না’

স্পেশাল করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ১৫৪১ ঘণ্টা, অক্টোবর ১৮, ২০১৫
‘যুক্তরাষ্ট্রের নীতি দেশের অর্থনীতিতে প্রভাব ফেলবে না’ অর্থমন্ত্রী আবুল মাল আবদুল মুহিত / ফাইল ফটো

ঢাকা: মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের নীতি বাংলাদেশের অর্থনীতিতে কোনো প্রভাব ফেলবে না বলে মন্তব্য করেছেন অর্থমন্ত্রী আবুল মাল আবদুল মুহিত।
 
রোববার (১৮ অক্টোবর) সচিবালয়ে সাংবাদিকদের এক প্রশ্নের জবাবে তিনি এ মন্তব্য করেন।


 
অর্থমন্ত্রী বলেন, যুক্তরাষ্ট্র যে সব নীতি গ্রহণ করেছে, তা কোনো সময়েই এ দেশের অর্থনীতির জন্য স্বস্তিদায়ক ছিলো না। গত সাত বছরে তারা (যুক্তরাষ্ট্র) যে নীতি গ্রহণ করেছে তাও আমাদের জন্য সুখকর ছিলো না। কিন্তু এ সব নীতি আমাদের অর্থনীতিতে কোনো প্রভাব ফেলতে পারবে না।
 
এর আগে ওয়ার্ল্ড ব্যাংক এবং আন্তর্জাতিক মূদ্রা তহবিল (আইএমএফ) প্রতিনিধিদলের সঙ্গে বৈঠক করে অর্থমন্ত্রী।
 
বিদেশি হত্যাকাণ্ড এবং মার্কিন যুক্তরাষ্টের এলার্ট জারিতে দেশের অর্থনীতির উপর প্রভাব প্রসঙ্গে অর্থমন্ত্রী বলেন, দুই বিদেশি হত্যার ঘটনা নাথিং। আমেরিকায় এর চেয়ে অনেক বেশি খুন হয়। এটা নিয়ে হইচই করার কিছু দেখিনা।
 
সাংবাদিকদের উদ্দেশ্যে প্রশ্ন ছুড়ে অর্থমন্ত্রী বলেন, বিদেশে বাঙালি মারা যায় না? বাংলাদেশে আইন-শৃঙ্খলা পরিস্থিতি সুন্দর উল্লেখ করেন অর্থমন্ত্রী।
 
খালেদা দেশে ফিরছেন না:
বিএনপি চেয়ারপারসন খালেদা জিয়া আর ফিরবে না এমন কথা বলেছেন কিনা জানতে চাইলে অর্থমন্ত্রী বলেন, দেশে ফিরবেন না আমি বলিনি। পত্রিকায় দেখেছি তিনি বাড়িভাড়া করছেন।
 
খালেদা জিয়ার বিদেশে যাওয়া এবং দেশের বর্তমান পরিস্থিতির প্রতি ইঙ্গিত করে অর্থমন্ত্রী বলেন, তার (খালেদা জিয়া) কুটকৌশল ব্যর্থ হয়েছে। তার কুট কৌশল জনগণ বিসর্জন দিয়েছে।
 
বিশ্ববিদ্যালয় শিক্ষকদের সম্পর্কে আবুল মাল মুহিত বলেন, শিক্ষকরা একটা বিশেষ অবস্থানে পৌঁছেছেন এটা দুঃখজনক। এটা নিয়ে কিছু বলতে চাই না। বিষয়টা নিয়ে শিক্ষমন্ত্রী তাদের (শিক্ষকদের) সঙ্গে বসেছেন। ’
 
ঐবঠকের বিষয়ে অর্থমন্ত্রী বলেন, ওয়ার্ল্ড ব্যাংকের কাছে ৫০০ মিলিয়ন ডলার চাওয়া হয়েছিল। এটা চলমান প্রক্রিয়া। তারা ২৫০ ডলার দিতে রাজি হয়েছে জানান অর্থমন্ত্রী।
 
বাংলাদেশ সময়: ১৫৪২ ঘণ্টা, অক্টোবর ১৮, ২০১৫/আপডেট ২০৪৭ ঘণ্টা
এসএমএ/ এসকেএস/বিএস

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।