ঢাকা, বুধবার, ১১ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ২৭ নভেম্বর ২০২৪, ২৫ জমাদিউল আউয়াল ১৪৪৬

অর্থনীতি-ব্যবসা

জাতীয় পরিচয়পত্র সংশোধন

ট্রাস্ট ও ডাচ-বাংলা ব্যাংকে ‘অতিরিক্ত’ টাকা আদায়ের অভিযোগ

সিনিয়র করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ০৮১৪ ঘণ্টা, নভেম্বর ৩, ২০১৫
ট্রাস্ট ও ডাচ-বাংলা ব্যাংকে ‘অতিরিক্ত’ টাকা আদায়ের অভিযোগ

ঢাকা: জাতীয় পরিচয়পত্র (এনআইডি) সংশোধনের ক্ষেত্রে ট্রাস্ট ব্যাংক ও ডাচ-বাংলা ব্যাংকের বিরুদ্ধে অতিরিক্ত সার্ভিস চার্জ আদায়ের অভিযোগ উঠেছে।

তবে ট্রাস্ট ব্যাংক কর্তৃপক্ষ জানিয়েছে, তারা এ প্রক্রিয়া এখনও শুরুই করেনি।

সম্প্রতি বিভিন্ন সেবাগ্রহীতার কাছ থেকে এ ধরনের অভিযোগ পায় নির্বাচন কমিশন (ইসি)। এর পরিপ্রেক্ষিতে ভুক্তভোগী নাগরিকদের সংশ্লিষ্ট থানা বা উপজেলা নির্বাচন কর্মকর্তার কাছে অভিযোগ দায়েরের জন্য বিজ্ঞপ্তি জারি করেছে সংস্থাটি।

ইসির এনআইডি শাখার পরিচালক (অপারেন্স) সৈয়দ মোহাম্মদ মুসা স্বাক্ষরিত ওই বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়েছে, সম্প্রতি ইসির সঙ্গে স্বাক্ষরিত চুক্তি অনুযায়ী ট্রাস্ট ব্যাংক লিমিটেড ও ডাচ-বাংলা ব্যাংক লিমিটেডের সব শাখায় এবং তাদের অনুমোদিত এজেন্টের মাধ্যমে অনলাইন ব্যাংকিং বা মোবাইল ব্যাংকিং সেবার মাধ্যমে কার্ড নবায়ন, হারানো বা নষ্ট হওয়ার কারণে নতুন এনআইডি দেওয়া বা এনআইডির তথ্য উপাত্ত সংশোধন সংক্রান্ত সব ধরনের ফি জমা নেওয়া শুরু হয়েছে।

এখানে উল্লেখ্য যে, নির্ধারিত হারে এনআইডি ফি সংগ্রহের জন্য ইসির চুক্তি অনুযায়ী ট্রাস্ট ব্যাংক লিমিটেড ও ডাচ-বাংলা ব্যাংক লিমিটেড প্রতিবার ফি জমার জন্য ভ্যাটসহ ৬ (ছয়) টাকা সার্ভিস চার্জ আদায় করবে। কিন্তু ইতোমধ্যে অভিযোগ পাওয়া যাচ্ছে যে, ব্যাংক দু’টির কোনো কোনো শাখায় এবং কোনো কোনো এজেন্ট ফি জমার জন্য ৬ (ছয়) টাকার অতিরিক্ত সার্ভিস চার্জ আদায় করছে।

এই অবস্থায় বিজ্ঞপ্তিতে, ওই দু’টি ব্যাংক বা তার শাখা বা এজেন্ট, অতিরিক্ত কোনো চার্জ আদায় করলে সংশ্লিষ্ট থানা বা উপজেলা নির্বাচন কর্মকর্তার কাছে অভিযোগ দায়েরের জন্য অনুরোধ করা হয়েছে।

তবে এ অভিযোগ নাকচ করে দিয়ে ট্রাস্ট ব্যাংকের সিনিয়র এক্সিকিউটিভ ভাইস প্রেসিডেন্ট এস এম আকরাম সাঈদ বলেন, ট্রাস্ট ব্যাংক এখনো এ বিষয়ে কালেকশনই শুরু করেনি। তাই অতিরিক্ত অর্থ আদায়ের অভিযোগের কোনো ভিত্তি নেই।

আগামী সপ্তাহ থেকে ট্রাস্ট ব্যাংক এর এ বিষয়ক কালেকশন শুরু হতে পারে জানিয়ে তিনি আরো বলেন, কালেকশন শুরু হলে আমাদের ব্যাংকের কারো পক্ষেই অতিরিক্ত অর্থ আদায় সম্ভব হবে না।

তিনি বলেন, এ বিষয়ক প্রজ্ঞাপনে নির্বাচন কমিশন হয়তো অন্য কিছু বুঝাতে চেয়েছে।

এই ব্যাংক দু’টি ছাড়াও সোনালী ব্যাংকের যে কোনো শাখা থেকে ফি জমা দেওয়ার ব্যবস্থা রয়েছে।

বাংলাদেশ সময়: ০৮০৪ ঘণ্টা, নভেম্বর ০৩, ২০১৫
ইইউডি/আইএ

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।