ঢাকা, বুধবার, ১১ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ২৭ নভেম্বর ২০২৪, ২৫ জমাদিউল আউয়াল ১৪৪৬

অর্থনীতি-ব্যবসা

নোমান গ্রুপের টাকা আত্মসাৎ

জিএমের বিরুদ্ধে স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ে অভিযোগ

স্পেশাল করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ১৭৫৮ ঘণ্টা, নভেম্বর ৮, ২০১৫
জিএমের বিরুদ্ধে স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ে অভিযোগ ছবি: প্রতীকী

ঢাকা: নোমান কম্পোজিট টেক্সটাইল লিমিটেডের পাঁচ কোটি টাকা আত্মসাতের ঘটনায়, ওই কোম্পানির জিএম মাসুম আজাদের বিরুদ্ধে স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ে অভিযোগ করা হয়েছে। মন্ত্রী বরাবর করা অভিযোগে, জিএমকে গ্রেফতারে দ্রুত ব্যবস্থা নিতে অনুরোধ জানানো হয়।

 

রোববার (০৮ নভেম্বর) কোম্পানির মহাব্যবস্থাপক নাসিম উদ্দিন সরকার স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ে এ অভিযোগ করেন। শ্রম মন্ত্রণালয়েও একই অভিযোগ করেন মহাব্যবস্থাপক।   

লিখিত আবেদনে বলা হয়, বিভিন্ন সময় নানা অজুহাত ও বেনামি প্রতিষ্ঠানের অনুকূলে ভুয়া কাগজপত্র তৈরি করে কোম্পানির প্রায় পাঁচ কোটি টাকা আত্মসাৎ করেছেন জিএম মো. মাসুম আজাদ।

কোম্পানির মহাব্যবস্থাপক নাসিম উদ্দিন সরকার বলেন, ইতোমধ্যে এ বিষয়ে ময়মনসিংহ ভালুকা থানায় ০৫ ও ০৬ নভেম্বর দু’টি মামলা করা হয়। মামলা নম্বর, ১০ ও ১১।

থানায় দায়ের করা মামলা ও স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের অভিযোগে বলা হয়, মো. মাসুম আজাদের বিরুদ্ধে কাপড় পাচারের অভিযোগ প্রমাণ হওয়ায়, তিনি বিভিন্ন সময় একাধিক চেকের মাধ্যমে কিছু টাকা পরিশোধও করেছেন। কিন্তু বর্তমানে জিএম পলাতক।

অভিযোগ মতে, পালানোর আগে কোম্পানির দেওয়া প্রাইভেট কার (সেলুন মডেল ২০১০, নম্বর- ঢাকা মেট্রো-গ- ২০-১০৭৭), কোম্পানির রেজিস্ট্রার ও মূল্যবান কিছু কাগজপত্র নিয়ে যান। পালিয়ে যাওয়ার পর কোম্পানির দেওয়া মোবাইল  ফোন বন্ধ রাখেন।

মামলার প্রেক্ষিতে মো. মাসুম আজাদের কিছু লোক (মো. হেলাল উদ্দিন ও মো. আবুজোবায়ের) বিভিন্ন ফোন নম্বর থেকে হুমকি দিয়ে যাচ্ছেন।

ফোন করে নোমান গ্রুপের মালিক  ও তার ছেলেমেয়ের নামে মিথ্যা মামলা দিয়ে হয়রানি করা ও বায়ারদের কাছে নোমান গ্রুপের নামে মিথ্যা অপপ্রচার চালানোর হুমকি দেওয়া হচ্ছে।

কোম্পানির মহাব্যবস্থাপক নাসিম উদ্দিন সরকার বলেন, প্রতারণা করে মাসুম আজাদ কোম্পানি থেকে পাঁচ কোটি টাকা হাতিয়ে নিয়েছেন। প্রতিষ্ঠানের সুনাম রক্ষার স্বার্থে ওই প্রতারককে দ্রুত গ্রেফতারের দাবিতে স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ে আবেদন জানিয়েছি।

বাংলাদেশ সময়: ১৭৫৯ ঘণ্টা, নভেম্বর ০৮, ২০১৫
এসএমএ/এসএস

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।