ঢাকা, শনিবার, ১৪ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ৩০ নভেম্বর ২০২৪, ২৮ জমাদিউল আউয়াল ১৪৪৬

অর্থনীতি-ব্যবসা

সোনালী ব্যাংকে পদোন্নতিতে অনিয়ম

শাহেদ ইরশাদ, স্টাফ করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ১০০৬ ঘণ্টা, ডিসেম্বর ৩, ২০১৫
সোনালী ব্যাংকে পদোন্নতিতে অনিয়ম

ঢাকা: হলমার্ক কেলেঙ্কারি ও গ্রাহক হয়রানির শীর্ষে থাকার পর এবার কর্মকর্তাদের পদোন্নতি দিতেও অনিয়মের আশ্রয় নিয়েছে রাষ্ট্রায়ত্ত সোনালী ব্যাংক লিমিটেড। অভিযোগ উঠেছে আর্থিক সুবিধা নিয়ে জ্যেষ্ঠতা লঙ্ঘন করে পদোন্নতি দেওয়ার।


 
সূত্র জানায়, গত নভেম্বর মাসের প্রথম সপ্তাহে ৪০ জন সহকারী মহাব্যবস্থাপককে (এজিএম) উপ-মহাব্যবস্থাপক (ডিজিএম) পদে পদোন্নতি দেওয়া হয়েছে। ২০০৯ সালের ৩১ ডিসেম্বর সহকারী মহাব্যবস্থাপকদের মধ্য থেকে পদোন্নতির দেওয়ার জন্য ১৫০ জনের একটি তালিকা করেছিল সোনালী ব্যাংক।
 
প্রচলিত ধারায় সিনিয়র কোনো কর্মকর্তা পদোন্নতি পাওয়ার যোগ্য হলে তাকে দেওয়ার পরই জুনিয়রদের পদোন্নতি দেওয়া হয়। কিন্তু ২০০৯ সালের কোনো এজিএমকে পদোন্নতি না দিয়ে ২০১১ সালের এজিএমদের পদোন্নতি দিয়েছে সোনালী ব্যাংক।
 
পদোন্নতি দেওয়ার জন্য করা ১৫০ জনের তালিকায় এক নম্বরে নাম ছিল মো. বদরুজ্জামানের। পদোন্নতিপ্রাপ্ত ৪০ জনের তালিকায় তার নাম নেই। একইভাবে অনেক জ্যেষ্ঠ কর্মকর্তার পরিবর্তে পদোন্নতি পেয়েছেন জুনিয়র কর্মকর্তারা।
 
অভিযোগ উঠেছে, আর্থিক সুবিধা নিয়ে জ্যেষ্ঠতা লঙ্ঘন করায় পদোন্নতি পেয়েছেন বিএনপি-জামায়াতপন্থি কর্মকর্তারা। আর বাদ পড়েছেন বিএনপি জামায়াত-জোট সরকারের আমলেও পদোন্নতি বঞ্চিত স্বাধীনতার স্বপক্ষের কর্মকর্তারা।
 
বঙ্গবন্ধু পরিষদ সোনালী ব্যাংক কমিটির এক জ্যেষ্ঠ নেতা অভিযোগ করেন, বিএনপি নেতৃত্বাধীন চারদলীয় জোট সরকারের আমলে আমরা বঞ্চিত ছিলাম মুক্তিযদ্ধের পক্ষের হওয়ার কারণে। আর এবার বঞ্চিত হয়েছি টাকা দিতে না পেরে। জ্যেষ্ঠতা ও যোগ্যতা না মেনেই পদোন্নতি দেওয়া হয়েছে অনেককে।  
 
সংশ্লিষ্ট সূত্র জানায়, জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয় সম্পর্কিত সংসদীয় স্থায়ী কমিটির সুপারিশ ছিল মুক্তিযুদ্ধবিরোধীদের পদোন্নতি দিতে সতর্ক থাকার জন্য। কিন্তু বেশ কয়েকজন বিএনপি-জামায়াতপন্থি কর্মকর্তা পদোন্নতি পেয়েছেন। বাদ পড়েছেন আগে বিভিন্নভাবে বঞ্চিতরা।
 
সোনালী ব্যাংকের ব্যবস্থাপনা পরিচালক (এমডি) প্রদীপ কুমার দত্ত বাংলানিউজকে বলেন, বাছাই কমিটির সিদ্ধান্ত অনুযায়ী পদোন্নতি দেওয়া হয়। মৌখিক পরীক্ষা নেওয়ার সময় বাংলাদেশ ব্যাংক ও অর্থ মন্ত্রণালয়ের প্রতিনিধি উপস্থিত থাকেন। সুতরাং ব্যাংকের কারও পছন্দে পদোন্নতি দেওয়া হয়নি। এজন্য কোনো আর্থিক সুবিধাও নেওয়া হয়নি।
 
২০১০ সালের জুন থেকে ২০১২ সালের মার্চ পর্যন্ত সময়ে সোনালী ব্যাংকের একাধিক ব্যাংক শাখা থেকে প্রায় চার হাজার কোটি টাকা ঋণ নিয়ে আত্মসাৎ করেছে হর্লমাক। আর এ কাজে সহায়তা করেছেন ব্যাংকটির উর্ধ্বতন কর্মকর্তারা। ২০১৪-১৫ অর্থবছরে গ্রাহক হয়রানিরও শীর্ষে ছিল এই সোনালী ব্যাংক। ব্যাংকটির বিরুদ্ধে গ্রাহকদের অভিযোগ ছিল আড়াই শতাধিক।
 
বাংলাদেশ সময়: ১০০৫ ঘণ্টা, ডিসেম্বর ০৩, ২০১৫
এসই/এএসআর

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।