ঢাকা, শুক্রবার, ৭ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ২২ নভেম্বর ২০২৪, ২০ জমাদিউল আউয়াল ১৪৪৬

অর্থনীতি-ব্যবসা

রিপোর্ট কার্ডে প্রমাণ ‘দক্ষ’

রহমত উল্যাহ, স্টাফ করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ১৯৩৭ ঘণ্টা, ডিসেম্বর ১৯, ২০১৫
রিপোর্ট কার্ডে প্রমাণ ‘দক্ষ’

ঢাকা: রাজস্ব প্রশাসনে গতিশীলতা, স্বচ্ছতা, জবাবদিহিতা আনতে এবং কর্মকর্তাদের কর্মদক্ষতা বাড়াতে ‘রিপোর্ট কার্ড’ চালু করেছে জাতীয় রাজস্ব বোর্ড (এনবিআর)।
 
কার্ডের কর্মপরিধিতে মূল্যায়ন হবে কর্মকর্তার ‘দক্ষতা’।

এর মাধ্যমে পদোন্নতি, ভালো জায়গায় পদায়নসহ পাবেন সৎ কর্মকর্তার স্বীকৃতি।
 
নতুন আঙ্গিকে এনবিআর গঠন ও সৎ কর্মকর্তা চিহ্নিত করতে এ কার্ড চালু করা হয়েছে। প্রতি মাসে কর্মকর্তাদের এ কার্ড জমা দিতে হবে।

এনবিআর সূত্র এ তথ্য জানিয়েছে।
 
কার্ডের দক্ষতা মূল্যায়নে সম্প্রতি পদোন্নতি পাওয়া একজন যুগ্ম কমিশনার বাংলানিউজকে বলেন, এ কার্ড চালুর পর কর্মকর্তাদের মধ্যে কর্মস্পৃহা বেড়ে গেছে।
 
তিনি বলেন, প্রত্যেক কর্মকর্তাকে প্রতি মাসে এ কার্ড জমা দিতে হচ্ছে। কোনো কর্মকর্তা কার্ডে মনগড়া কোনো তথ্য দিলেন কি-না তা যাচাইয়ে হচ্ছে তদারকি।
 
এনবিআর সূত্র জানায়, অন্য সরকারি অফিসের মতো এনবিআরেও কর্মকর্তাদের কাজের মূল্যায়নে এসিআর (বার্ষিক গোপনীয় প্রতিবেদন) চালু রয়েছে। কিন্তু কর্মকর্তাদের বিরুদ্ধে অভিযোগের অন্ত নেই। কর্মকর্তাদের জবাবদিহিতা নিশ্চিত ও এনবিআরে সুশাসনে আনায়নে বর্তমান চেয়ারম্যান এ রির্পোট কার্ড চালু করেছেন।
 
সূত্র জানায়, কার্ডে লক্ষ্যমাত্রা অনুযায়ী রাজস্ব আদায়, করদাতাদের সঙ্গে আচরণ, কর্মকর্তার আর্থিক স্বচ্ছতা, করদাতা সেবাসহ বিভিন্ন বিষয় উল্লেখ থাকবে।
 
কার্ডে উল্লেখিত বিষয়গুলো বিবেচনা ও মূল্যায়ন করে কর্মকর্তাদের পদায়ন করা হবে। পাশাপাশি থাকবে সৎ কর্মকর্তাদের জন্য প্রণোদনা।
 
সূত্র আরো জানায়, কার্ডে উল্লেখিত বিষয় পরীক্ষার মতো মূল্যায়ন করা হবে। কার্ড মূল্যায়নে একশ’ নম্বরের মধ্যে যেকোনো কর্মকর্তাকে ন্যূনতম ৬০ নম্বর পেতে হবে। অন্তত ১২টি ভাগে একশ’ নম্বরকে ভাগ করা হয়েছে। সেক্ষেত্রে প্রত্যেক কর্মকর্তাকে আলাদা আলাদা নম্বর পেতে হবে।
 
সূত্র জানায়, চলতি অর্থবছরের জুলাই মাস থেকে এ কার্ড জমা ও মূল্যায়ন শুরু হয়েছে। এনবিআরের মাঠ দফতর থেকে শুরু করে এনবিআরের সদস্যদের দফতরের সব কর্মকর্তাকে এ কার্ড জমা দিতে হচ্ছে।
 
সূত্র আরো জানায়, জুলাই থেকে নভেম্বর পর্যন্ত পদোন্নতি ও পদায়ন এ কার্ড মূল্যায়নের মাধ্যমে হয়েছে। এর ফলে কর্মকর্তাদের মধ্যে কর্মচাঞ্চল্যের সৃষ্টি হয়েছে।
 
জাতীয় রাজস্ব বোর্ডের সদস্য (কর প্রশাসন ও মানবসম্পদ ব্যবস্থাপনা) মো. আবদুর রাজ্জাক বলেন, লক্ষ্যমাত্রা বাড়ছে, কর্মকর্তাদের দক্ষতাও বাড়াতে হবে। এ ধারণা থেকে এ কার্ড চালু করেছে এনবিআর। এর মাধ্যমে সৎ, দক্ষ আর যোগ্য কর্মকর্তাদের সহজে চিহ্নিত করা সহজ হচ্ছে। কর্মদক্ষতা প্রমাণে এ কার্ড বিশ্বের বিভিন্ন দেশে থাকলেও বাংলাদেশে সরকারি দফতরে প্রথমবারের মতো চালু করা হয়েছে।
 
জাতীয় রাজস্ব বোর্ডের চেয়ারম্যান মো. নজিবুর রহমান বলেন, নতুন এনবিআর গঠন, কর্মকর্তাদের দক্ষতা ও জবাবদিহিতা নিশ্চিতে এ কার্ড বড় ভূমিকা রাখছে।
 
** কর সার্কেল জটিলতায় হয়রানি

বাংলাদেশ সময়: ১৯৩৮ ঘণ্টা, ডিসেম্বর ১৯, ২০১৫
আরইউ/এএসআর

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।