বঙ্গবন্ধু আন্তর্জাতিক সম্মেলন কেন্দ্র থেকে: ‘আমাদের চারটা ব্লক অনুমোদন হয়ে গেছে আরও তিনটি অনুমোদনের অপেক্ষায়। প্রজেক্ট দেখতে চাইলে গাড়ি দিয়ে সেখানে নেয়া হবে।
বঙ্গবন্ধু আন্তর্জাতিক সম্মেলন কেন্দ্রে রিহ্যাব আবাসন মেলায় ক্রেতা কাড়তে নানা অফার আর ছাড়ের ছড়াছড়ি শতাধিক আবাসন প্রতিষ্ঠানের। আর ক্রেতারাও এক সঙ্গে সব আবাসন প্রতিষ্ঠানকে যাচাই বাছাই করে পছন্দের ডিজাইন আর দরদাম দেখে নিতে পারছেন সহজেই।
আমিন মোহাম্মদ ল্যান্ডস ডেভেলপমেন্ট লিমিটেড-এর ‘গ্রিন মডেল টাউন’ প্রজেক্টের অবস্থান ঢাকা-সিলেট সড়কের ডেমরায় সুলতানা কামাল ব্রীজের ঠিক আগেই।
মেলা উপলক্ষে ছাড় দিয়ে সর্বনিম্ন ১৯ লাখ টাকা কাঠাপ্রতি দাম ধরে আগ্রহী একজন ক্রেতার সঙ্গে চলছে বিক্রয় প্রতিনিধির আলাপ। প্রকল্পের যে স্থানে এই দাম ধরা হয়েছে সেখানে এখন বালু ভরাট চলছে-এটাও জানান বিক্রয় প্রতিনিধি।
আড়াই কাঠা, তিন কাঠা, দশ কাঠার প্লট আছে সেখানে।
এমন সময় ক্রেতা বললেন, ‘ঠিক এর পাশে কোনাপাড়া আর কাজলার মাঝামাঝিতে আমার শ্বশুর বাড়ি। ওখানে তো ১৫ লাখ টাকায় প্লট পাওয়া যায়। ’
জবাবে বিক্রয় প্রতিনিধি জানান, ‘হ্যাঁ, ঠিকই আছে পাওয়া যায়। কিন্ত রাস্তা ছোট, এম্বুলেন্স পর্যন্ত ঢুকবে না। ’
প্রজেক্টের এলাকার পরিবেশ আর ওই এলাকার পরিবেশের মধ্যে আকাশ আর পাতাল ব্যবধান। আমাদের প্রজেক্টে আবাসিক সব সুবিধা রাখা হয়েছে। প্রকল্পের রাস্তা বড়, রয়েছে পার্ক, খেলার মাঠ, স্কুল কলেজ।
সবকিছুর জন্য জায়গা রাখা হচ্ছে। এখানে যদি ৫০০ একর জায়গা থাকে তাহলে ৪৮ ভাগ ফাঁকা রাখা হয়েছে রাজউক নীতিমালা মেনে। পরে অবশ্য সন্তুষ্ট হন ক্রেতা। সরেজমিন প্রজেক্ট দেখার আগ্রহ ব্যক্ত করেন-এই পর্যন্ত।
আরেকজন ফজলুর রহমান। অবসরপ্রাপ্ত সরকারি কর্মকর্তা। ঢাকায় একটি ফ্ল্যাট কেনার আগ্রহ নিয়ে মেলায় তার আগমন। তিনি ঘুরে ঘুরে দেখছেন ডিজাইন আর ফ্ল্যাটের রকমফের। কোথায় কোন দরদাম তাও জেনে নিচ্ছেন।
আরেকজন নিপা আক্তার। শাহবাগে আজিজ মার্কেটে একটি দোকান আছে তার। তিনি মেলায় স্টল ঘুরে দেখছেন খুঁজছেন পছন্দের ফ্ল্যাট। তবে তার মেলায় আসার কারণ ভিন্ন বলে জানালেন তিনি।
তিনি মনে করেছিলেন, এখানে রাজউকের একটি স্টল থাকবে। ৩০ বছর আগে বিমানবন্দরের পাশে খিলক্ষেত এলাকায় তার মা একখণ্ড জমি কিনেছিলেন কিন্তু রাজউকের প্লান পাস না হওয়ায় তারা এখন এটি বিক্রিও করতে পারছেন না, ঘরও তুলতে পারছেন না, আবার ভালো বাসায় থাকতেও পারছেন না।
আবাসনের এত বড় আয়োজনে রাজউক না থাকায় তিনি কর্তৃপক্ষের কাছে ক্ষোভ জানান।
তার মতে, এখানে রাজউকের একটি স্টল দরকার ছিলো। রাজউক প্লান পাস করে, তাহলে মেলায় রাজউকের স্টল কেন থাকবে না।
তারপরও ঘুরে ঘুরে দেখছেন ফ্ল্যাটের দরদাম আর নানা রকম ডিজাইন। তিনি মনে করেন, ব্যাংক যদি দীর্ঘমেয়াদী ঋণ সুবিধা দিতো তাহলে মধ্যবিত্তদের অনেকেই সহজে ফ্ল্যাট কিনতে পারতেন।
তার মতে, ফ্ল্যাট কিনতে কিন্তু এখন ধনীরা আসে না, আসছে মধ্যবিত্তরা। তারা ছোট ছোট ফ্ল্যাট খোঁজেন।
নাটকের পরিচিত মুখ দীপা খন্দকারও তেমনি ফ্ল্যাট কিনতে এসে জানালেন, এখানে অনেক বৈচিত্র্য।
অনেক প্রতিষ্ঠান একসঙ্গে থাকায় আমাদের মতো ক্রেতাদের সুবিধা।
একটু যাচাই বাছাই করে দেখে একটি ফ্ল্যাট পছন্দ করতে চাই-জানান তিনিও।
স্টল ঘুরে এসে তিনি জানান, দেখে মনে হচ্ছে মানুষের সাধ্যের মধ্যেই এখানে ফ্ল্যাট বা বাড়ি কেনার সুযোগ আছে।
এবারের আবাসন মেলায় প্রায় শতাধিক স্টল নিয়ে বিভিন্ন হাউজিং কোম্পানি ছেড়েছে বিশেষ অফার। পাশাপাশি রয়েছে আবাসন শিল্পের প্রয়োজনীয় সরঞ্জামাদির স্টল।
মেলা চলবে আগামী ২৭ ডিসেম্বর রাত পর্যন্ত। প্রতিদিন সকাল ১০টা থেকে রাত ৯টা পর্যন্ত দর্শনার্থীদের প্রবেশের সুযোগ রয়েছে।
মেলায় প্রবেশের জন্য দুই ধরনের টিকিট রয়েছে। সিঙ্গেল টিকিট এবং মাল্টিপল টিকিট। সিঙ্গেল টিকিটের মূল্য ৫০ টাকা, মাল্টিপল টিকিটের মূল্য ১০০ টাকা। মাল্টিপল টিকিটে পাঁচ বার মেলায় প্রবেশের সুযোগ রয়েছে।
বাংলাদেশ সময়: ২০৩০ ঘণ্টা, ডিসেম্বর ২৪, ২০১৫
এসএ/আরআই
** এনা প্রপার্টিজের ফ্ল্যাটে ৫% ছাড়
** মোহাম্মদী ডেভলপার্সের ফ্ল্যাটে বিশেষ ছাড়
** দর্শণার্থীদের পদচারণায় জমে উঠেছে রিহ্যাব মেলা