ঢাকা, শুক্রবার, ৭ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ২২ নভেম্বর ২০২৪, ২০ জমাদিউল আউয়াল ১৪৪৬

অর্থনীতি-ব্যবসা

বাণিজ্য মেলার প্রস্তুতি চলছে

সিনিয়র করেপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ১৮১৪ ঘণ্টা, ডিসেম্বর ২৬, ২০১৫
বাণিজ্য মেলার প্রস্তুতি চলছে ছবি: শাকিল / বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম

ঢাকা: আর মাত্র পাঁচদিন; এরপরই শুরু হচ্ছে ২১তম ঢাকা আন্তর্জাতিক বাণিজ্য মেলা। দেশের পাশাপাশি যুক্তরাষ্ট্র, যুক্তরাজ্য, অস্ট্রেলিয়া, জামার্নিসহ প্রায় ১৪টি দেশের নামিদামি প্রতিষ্ঠান এ মেলায় অংশ নেবে।



এরইমধ্যে বিভিন্ন প্রতিষ্ঠানের স্টল তৈরির কাজ শেষ হয়েছে। কোনো কোনো প্রতিষ্ঠানের প্যাভিলিয়ন তৈরিতে ব্যস্ত সময় পার করছেন সংশ্লিষ্টরা।

শনিবার (২৬ ডিসেম্বর) সকালে বাণিজ্য মেলা মাঠে গিয়ে এমনটাই দেখা গেল।

সরেজমিনে দেখা যায়, মেলা মাঠের বিভিন্ন প্রান্তে নানা আকারের স্টল তৈরিতে ব্যস্ত সময় পার করছেন কর্মীরা। এরই মধ্যে নানা প্রতিষ্ঠানের স্টল তৈরি করা হয়েছে।

প্রস্তুত হয়েছে টিকিট কাউন্টার। এখন চলছে প্যাভিলিয়ন তৈরিসহ শেষ মুহূর্তের প্রস্তুতির কাজ।

৩০ ডিসেম্বর রাতের মধ্যে সব ধরনের কাজ শেষ করা হবে বলে জানিয়েছে মেলা মাঠের রাস্তা, বিদ্যুৎসহ সার্বিক কাজে নিয়োজিত প্রতিষ্ঠান গণপূর্ত অধিদফতর।

অধিদফতরের নির্বাহী প্রকৌশলী সৈয়দ জিয়াউল আহসান বাংলানিউজকে বলেন, ‘আমাদের ৮০শতাংশ কাজ শেষ হয়ে গেছে, এখন চলছে শেষ মুহূর্তের কাজ। আশা করছি ৩০ ডিসেম্বর রাতের মধ্যে শতভাগ কাজ শেষ করে সকালের বুঝিয়ে দিতে পারবো। ’

গণপূর্ত অধিদফতরের কনস্ট্রাকশন কাজের জন্য ৫০টি প্রতিষ্ঠান কাজ করছে বলেও জানান তিনি।

মেলার আয়োজক কমিটি সূত্র জানায়, ১ জানুয়ারি, শুক্রবার বিকেলে বঙ্গবন্ধু আন্তর্জাতিক সম্মেলন কেন্দ্রে এবারের বাণিজ্য মেলার উদ্বোধন করবেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। এবারের প্রায় পাঁচ শতাধিক স্টল থাকছে মেলায়।

সূত্র জানায়, মেলায় গণপূর্ত অধিদফতরের কনস্ট্রাকশন কাজে ২০কোটি টাকা ব্যয় হচ্ছে। এক মাস ধরে ২ হাজারের বেশি শ্রমিক কাজ মেলা প্রস্তুতির কাজ করছেন।

প্রতিবারের মতো এবারও মেলার নিরাপত্তার জন্য বিজিবির ওয়াচ টাওয়ার, মেটাল আর্চওয়ে, মেটাল ডিটেক্টর ও আন্ডার ভেহিকল মিরর থাকবে।
ক্লোজ সার্কিট (সিসি) ক্যামেরায় পুরো মেলা এলাকা তদারকি করা হবে। আইন-শৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর পাশাপাশি বেসরকারি নিরাপত্তা প্রতিষ্ঠানের কর্মীরাও দায়িত্বে নিয়োজিত থাকবে।
 
প্রতিদিন সকাল ১০টা থেকে রাত ১০টা পর্যন্ত মেলা সবার জন্য উন্মুক্ত থাকবে।

কর্মকর্তারা জানান, মেলায় আগত দর্শনার্থীদের জন্য তিনটি গেট থাকছে। একটি গেট দিয়ে ভিআইপিরা আসা-যাওয়া করবেন; আর বাকিগুলো সাধারণ দর্শনার্থীদের জন্য খোলা থাকবে।

প্রতিদিন গড়ে মেলায় ৮০ হাজার ক্রেতা-দর্শনার্থীর আগমন ঘটবে বলে আশা প্রকাশ করছেন আয়োজকেরা।

বাংলাদেশ সময়: ১৭৫৭ ঘণ্টা, ডিসেম্বর ২৬, ২০১৫
এসএম/এমএ

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।