ঢাকা: বিদেশি বিভিন্ন জাতের ফলের চাষ ও তাদের কপি না বাড়িয়ে নিজেদের জার্মপ্লাজম উন্নত করার আহ্বান জানিয়েছেন কৃষিমন্ত্রী মতিয়া চৌধুরী।
রোববার (২৭ ডিসেম্বর) রাজধানীর খামারবাড়ি আকামু গিয়াস উদ্দীন মিলকী মিলনায়তনে ‘বছরব্যাপী ফল উৎপাদনের মাধ্যমে পুষ্টি উন্নয়ন প্রকল্প’ অবহিতকরণ কর্মশালায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এ মন্তব্য করেন।
কৃষিমন্ত্রী বলেন, আমাদের কৃষকের চাহিদা অনুযায়ী যেন বছরব্যাপী ফল চাষ করা যায়, সেদিকে নজর দিতে হবে। বিদেশি জাতের ফলের চাষ কপি না করে নিজেদের জার্মপ্লাজম বাড়াতে হবে। তবে বিদেশি জাত বিশ্লেষণ ও গবেষণা করে নিজেদের উদ্ভাবনী শক্তিকে কাজে লাগাতে হবে।
কৃষি সংশ্লিষ্ট বেসরকারি প্রতিষ্ঠানগুলোকে সততার সঙ্গে ব্যবসা পরিচালনার আহ্বান জানিয়ে মন্ত্রী বলেন, কৃষিপণ্য দিয়ে সরকার কখনো ব্যবসা করেনি, করবেও না। কিন্তু প্রায়ই প্রাইভেট সেক্টরে বড় ধরনের অনিয়ম দেখা যায়।
তিনি ক্ষোভ প্রকাশ করে বলেন, প্রাইভেট সেক্টরের লোভ অনেক বেশি। কাগজে যখন দেখি, ফরমালিনে দুই টন আম ডুবিয়ে রাখা হয়েছে, তখন খুব খারাপ লাগে।
‘প্রাইভেট সেক্টর’ নিজেদের অতো সাধু মনে করবেন না। কে কী করেন তা আমরা জানি। অ্যাগ্রো প্রসেসিংয়ে সততা রাখতে হবে। সোনার ডিমটা মেরে ফেলবেন না।
বিভিন্ন গবেষণাধর্মী কার্যক্রম বাড়ানোর পাশাপাশি দেশ ফলের উৎপাদনে এগিয়ে যাচ্ছে বলে উল্লেখ করেন তিনি।
হর্টিকালচারবিদদের উদ্দেশ্যে মন্ত্রী বলেন, আপনারা কোনো গ্রাম বা ইউনিয়নে যখন কাজ করবেন, তখন যেন ওইসব ইউনিয়ন বা গ্রামের প্রতিটি বাড়িতে এক থেকে তিনটি ফলের গাছ লাগানো হয়। সব সময় ক্ষুদ্র কৃষকের কথা চিন্তা করতে হবে।
কৃষি সম্প্রসারণ অধিদফতরের মহাপরিচালক মো. হামিদুর রহমানের সভাপতিত্বে কর্মশালায় বিশেষ অতিথি ছিলেন কৃষি মন্ত্রণালয়ের সচিব শ্যামল কান্তি ঘোষ, অতিরিক্ত সচিব (সম্প্রসারণ) মোশাররফ হোসেন।
এতে স্বাগত বক্তব্যে প্রকল্পের বিস্তারিত তথ্য তুলে ধরেন প্রকল্প পরিচালক মেহেদী মাসুদ।
বাংলাদেশ সময়: ১৯০৪ ঘণ্টা, ডিসেম্বর ২৭, ২০১৫
একে/এএসআর