ঢাকা, শুক্রবার, ৭ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ২২ নভেম্বর ২০২৪, ২০ জমাদিউল আউয়াল ১৪৪৬

অর্থনীতি-ব্যবসা

ফলের চাহিদার মাত্র ৪০ শতাংশ মিলছে

সিনিয়র করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ১৯৫৭ ঘণ্টা, ডিসেম্বর ২৭, ২০১৫
ফলের চাহিদার মাত্র ৪০ শতাংশ মিলছে ছবি: বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম

ঢাকা: প্রতিদিন মাথাপিছু যেখানে ২৫০ গ্রাম ফল খাওয়া প্রয়োজন সেখানে আমরা খেতে পারছি প্রায় ১০০ গ্রাম, যা চাহিদার তুলনায় মাত্র ৪০ শতাংশ।
 
রোববার (২৭ ডিসেম্বর) সন্ধ্যায় রাজধানীর খামারবাড়ি আকামু গিয়াস উদ্দীন মিলকী মিলনায়তনে ‘বছরব্যাপী ফল উৎপাদনের মাধ্যমে পুষ্টি উন্নয়ন প্রকল্প অবহিতকরণ’ কর্মশালায় স্বাগত বক্তব্যে প্রকল্প পরিচালক মেহেদী মাসুদ এ তথ্য তুলে ধরেন।


 
কর্মশালায় প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন কৃষিমন্ত্রী মতিয়া চৌধুরী।
 
পাওয়ার পয়েন্টে মেহেদী মাসুদ জানান, বর্তমানে ফলের চাহিদা প্রায় দেড় কোটি টন। ২০১৪-১৫ অর্থবছরে দেশে ফলের উৎপাদন হয়েছে প্রায় এক কোটি টন। এতে দেখা যাচ্ছে বড় একটা অংশ ঘাটতি থাকছে। তবে এ প্রকল্পের মাধ্যমে ফলের উৎপাদন ২০ ভাগ বাড়ানোর লক্ষ্য রয়েছে। এতে ফলের উৎপাদন বছরে বাড়বে ২৫ থেকে ৩০ লাখ টন।
 
বাংলাদেশের ফলের সার্বিক পরিস্থিতি তুলে ধরে তিনি বলেন, বাংলাদেশ আম এবং পেয়ারা উত্পাদনে বর্তমানে উল্লেখযোগ্য স্থানে রয়েছে। আর মোট ফল উৎপাদনে বাংলাদেশ ২৮তম স্থানে। (বিবিএস)

প্রকল্প সম্পর্কে জানানো হয়, কৃষি সম্প্রসারণ অধিদফতরের ৬০টি হর্টিকালচার সেন্টারের আওতাধীন ৪৫টি জেলার ৩৬২টি উপজেলা প্রকল্পের আওতাভুক্ত। প্রকল্প মেয়াদে মোট দুই লাখ ২৬ হাজার ৮৬০ জন উপকারভোগীকে প্রশিক্ষণ দেওয়া হবে। প্রকল্পের মেয়াদে মোট এক লাখ চার হাজার ৭০০টি বিভিন্ন ধরনের প্রদর্শনী বাস্তবায়ন হবে।
                                                        
প্রকল্পের উদ্দেশ্য সম্পর্কে তিনি জানান, পাহাড়ি ও উপকূলীয় অঞ্চলের অব্যবহৃত জমিকে উদ্যান ফসলের আওতায় এনে ফলের উৎপাদন ২০ থেকে ২৫ ভাগ বৃদ্ধি, দেশীয় এবং রপ্তানিযোগ্য ফলের ক্লাস্টার বা ক্লাবভিত্তিক বাগান তৈরি, কৃষক, নার্সারিম্যান, মৌচাষি, ফল উৎপাদক, বাজারজাতকারী এবং সম্প্রসারণ কর্মকর্তাদের প্রশিক্ষণের মাধ্যমে প্রযুক্তিগত দক্ষতা বৃদ্ধি, মানসম্মত ফল উৎপাদন ও ফলের সংগ্রহোত্তর ব্যবস্থাপনা, প্রক্রিয়াকরণ, সংরক্ষণ ইত্যাদি বিষয়ে দক্ষ করে তোলা, বিদ্যমান হর্টিকালচার সেন্টার উন্নয়ন ও নয়টি নতুন সেন্টার স্থাপন, দেশি ও বিদেশি সম্ভাবনাময় ফলের সম্প্রসারণসহ বিভিন্ন কার্যক্রম সম্পাদন হবে।
 
প্রকল্প ব্যয় ধরা হয়েছে ১৯৫ কোটি ৬২ হাজার টাকা। ২০১৫ জুলাই থেকে ২০২০ সালের জুন মাসে এ প্রকল্পের কার্যক্রম সম্পাদন হবে। শুরুতে তিনি বাংলাদেশের ফল উৎপাদনের বর্তমান পরিস্থিতি তুলে ধরেন।

এতে বলা হয়, ২০০০ সাল থেকে ২০১০ সাল পর্যন্ত ফলের মোট উৎপাদন বৃদ্ধি এবং হেক্টরপ্রতি উৎপাদনের হিসাবে বাংলাদেশের অবস্থান প্রথম ছিল।
 
কর্মশালার বিশেষ অতিথি ছিলেন কৃষি মন্ত্রণালয়ের সচিব শ্যামল কান্তি, অতিরিক্ত সচিব (সম্প্রসারণ) মোশাররফ হোসেন। সভাপতিত্ব করেন কৃষি অধিদফতরের মহাপরিচালক মো. হামিদুর রহমান।

বাংলাদেশ সময়: ১৯৫৮ ঘণ্টা, ডিসেম্বর ২৭, ২০১৫
একে/জেডএস

** বিদেশিদের কপি নয়, নিজেদের জার্মপ্লাজম উন্নত করতে হবে

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।