ঢাকা: রাজনৈতিক ব্যক্তিদের হস্তক্ষেপ বন্ধ করা গেলেই ব্যাংকিংখাতের নৈতিকতা ফিরে আসবে। এক্ষেত্রে রাজনীতিকদেরই পদক্ষেপ নিতে হবে বলে মনে করেন ড. মহিউদ্দিন আলমগীর।
রোববার (২৭ ডিসেম্বর) সন্ধ্যায় রাজধানীর মিরপুরস্থ বাংলাদেশ ইনস্টিটিউট অব ব্যাংক ম্যানেজমেন্ট (বিআইবিএম) মিলনায়তনে ‘পঞ্চদশ নুরুল মতিন মেমোরিয়াল লেকচার অন ইথিকস ইন ব্যাংকিং-২০১৫’ শীর্ষক এক অনুষ্ঠানে এ কথা বলেন তিনি।
ড. মহিউদ্দিন আলমগীর জাতিসংঘের আর্ন্তজাতিক কৃষি উন্নয়ন তহবিলের সাবেক নীতি ও পরিকল্পনা পরিচালক এবং বাংলাদেশ ইকোনোমিক এসোসিয়েশনের সাবেক সভাপতি।
বিআইবিএম আয়োজিত এই অনুষ্ঠানে ‘ব্যাংকিংখাতের নৈতিকতা: মানব অজ্ঞতা ও পদ্ধতিগত ব্যর্থতা’ নিয়ে দেওয়া বক্তব্যে তিনি ব্যাংকিংখাতের নৈতিকতা রক্ষায় ছয়টি সুপারিশ করেন।
সুপারিশগুলো হলো- ব্যাংকিং কার্যক্রম পরিচালনায় রাজনৈতিক হস্তক্ষেপ বন্ধ করতে রাজনীতিকদের পদক্ষেপ গ্রহণ, যোগ্য কর্মকর্তাদের নিয়োগ, কর্মকর্তাদের বাংলাদেশ ইনস্টিটিউট অব ব্যাংক ম্যানেজমেন্টের মাধ্যমে পেশাগত প্রতিযোগীতা ও নৈতিকতার প্রশিক্ষণ, রাষ্ট্রায়ত্ত ব্যাংকের সংখ্যা কমিয়ে আনা এবং ব্যাংক ও আর্থিক ব্যবস্থাপনায় গুরুত্বপূর্ণ সংস্কার।
ড. মহিউদ্দিন আলমগীর বলেন, সুপারিশগুলো বাস্তবায়নে সাবেক গভর্নর ড. ফরাস উদ্দিন আহমেদের নেতৃত্বে ‘ব্যাংক ও আর্থিক সংস্কার কমিশন’ গঠন করতে পারে অর্থ মন্ত্রণালয় ও বাংলাদেশ ব্যাংক।
তিনি বলেন, সুপারিশগুলো বাস্তবায়ন ছাড়াও বাংলাদেশ ব্যাংক ও অর্থ মন্ত্রণালয়ের উদ্যোগে বাংলাদেশ ব্যাংকের পর্যবেক্ষণ কার্যক্রম উন্নীতকরণ ও নিয়মিত পর্যবেক্ষণের ব্যবস্থা করা যেতে পারে। সেই সঙ্গে সরকারি উদ্যোগে ব্যাংকিংখাতের দূর্নীতি রোধে বাংলাদেশ ব্যাংক, দূর্নতি দমন কমিশন ও কন্ট্রোলার অ্যান্ড অডিটর জেনারেল অফিসকে শক্তিশালী করা যেতে পারে।
বিআইবিএম’র মহাপরিচালক ড. তৌফিক আহমেদ চৌধুরীর সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি ছিলেন বাংলাদেশ ব্যাংকের গর্ভনর ড. আতিউর রহমান। এছাড়া উপস্থিত ছিলেন বাংলাদেশ ব্যাংকের সাবেক গর্ভনর ড. ফরাস উদ্দিন আহমেদসহ বিভিন্ন ব্যাংক কর্মকর্তারা।
বাংলাদেশ সময়: ০৩৩৫ ঘণ্টা, ডিসেম্বর ২৮, ২০১৫
এসই/আরএইচ