খুলনা: খুলনার আটরা শিল্পাঞ্চলের রাষ্ট্রায়ত্ত আলীম জুট মিলের শ্রমিকরা লাঠি মিছিল কর্মসূচি পালন করেছেন।
মিলটিকে ব্যক্তিমালিকানায় স্থানান্তর প্রক্রিয়া বন্ধ, পাট ক্রয় করে মিলের উৎপাদন চালু, বকেয়া মজুরি বেতন প্রদান সহ বেশ কয়েকটি দাবিতে তারা এ লাঠি মিছিল করেন।
সোমবার (২৮ ডিসেম্বর) দুপুরে পূর্ব ঘোষিত কর্মসূচির অংশ হিসাবে খুলনা-যশোর মহাসড়কে এ কর্মসূচি পালন করেন শ্রমিকরা।
লাঠি মিছিল শেষে মিল গেট এক সংক্ষিপ্ত সমাবেশে সভাপতিত্ব করেন কমিটির আহ্বায়ক ও সিবিএ সাধারণ সম্পাদক মো. আব্দুর রশিদ।
বক্তৃতা করেন আলীম জুট মিলস সিবিএ সভাপতি আব্দুস সালাম জমাদ্দার, সাবেক সিবিএ সভাপতি মো. সাইফুল ইসলাম লিঠু, শ্রমিক নেতা আব্দুল হামিদ সরদার, আমিনুল ইসলাম, মো. আব্বাস বিশ্বাস, মো. আকবার আলী, হাফেজ আব্দুস সালাম, মো. মজিবর রহমান, মো. রফিকুল ইসলাম, মো.ইকবাল হোসেন, শেখ জাকারিয়া, মো. আনোয়ার হোসেন, মো. আবেদ আলী, রেদোয়ান হোসেন বাহার, মো. বাবুল রেজা প্রমুখ।
সমাবেশে শ্রমিক নেতারা বলেন, দীর্ঘ আট মাস মিলটি বন্ধ থাকায় মিলের প্রায় ২ হাজার স্থায়ী ও অস্থায়ী শ্রমিক-কর্মচারী পরিবার আজ অত্যন্ত মানবেতর
জীবন যাপন করছে। দীর্ঘ নিপীড়নে শ্রমিকদের পিঠ দেয়ালে ঠেকে গেছে। তাই রুটি রুজির জন্য আগামী দিনের আন্দোলনের রূপরেখা দেওয়া হবে।
নেতারা অবিলম্বে মিলটির সকল জটিলতা কাটিয়ে মিলের পূর্বের অবস্থায় ফিরিয়ে আনতে সকলের সহযোগিতা কামনা করেন।
সমাবেশ থেকে ২৯ ডিসেম্বর (মঙ্গলবার ) কফিন মিছিলের ঘোষণা দেয়া হয়।
উল্লেখ্য,১৯৬৮ সালের ১ জুলাই খুলনার আটরা শিল্প এলাকায় মেসার্স আলীম জুট মিলস্ লিমিটেড শিল্প প্রতিষ্ঠানটি ব্যক্তিমালিকানায় প্রতিষ্ঠিত হয় ।
পরবর্তীতে ১৯৭২ সালে তৎকালীন রাষ্ট্রপতির আদেশ বলে (পি ও ২৭) মিলটি রাষ্ট্রায়ত্ত করা হয় এবং বিজেএমসি’র নিয়ন্ত্রাণাধীন মিল হিসেবে এখনও পর্যন্ত পরিচালিত হয়ে আসছে।
১৯৮২ সালে তৎকালীন সরকার একটি প্রজ্ঞাপনের মাধ্যমে ঘোষণা করে ৩০টি জুট মিল বাংলাদেশি মালিক, যাদের শেয়ার ৫১ শতাংশ রয়েছে তাদের কাছে হস্তান্তর করা হবে। সেই ঘোষণা অনুযায়ী ২৯টি মিল হস্তান্তর করা হয়। কিন্তু মেসার্স আলীম গং ৪১ দশমিক ৬০ শতাংশের বেশি শেয়ার দেখাতে পারেনি বিধায় মিলটি গ্রহণ করতে ব্যর্থ হয়। সেই থেকে আজ পর্যন্ত মিলটি বিজেএমসির নিয়ন্ত্রণে পরিচালিত হচ্ছে।
বাংলাদেশ সময়: ১৪২৮ ঘণ্টা, ডিসেম্বর ২৮, ২০১৫
এমআরএম/আরআই