পার্বতীপুর (দিনাজপুর): টানা ৪৬ দিন বন্ধ থাকার পর দিনাজপুরের পার্বতীপুরের বড়পুকুরিয়া কয়লা খনিতে পরীক্ষমূলকভাবে কয়লা উত্তোলন শুরু হয়েছে।
বৃহস্পতিবার (৭ জানুয়ারি) সকাল থেকে খনির ১২০৫ নম্বর কোল ফেইস থেকে কয়লা উত্তোলন করা হয়।
বড়পুকুরিয়া কয়লা খনির মহাব্যবস্থাপক (মাইনিং) প্রকৌশলী হাবিব উদ্দিন আহমেদ দুপুরে বাংলানিউজকে জানান, খনি ভূ-গর্ভে উৎপাদনশীল ১২০৮ নম্বর কোল ফেইসে মজুদ শেষ হয়ে যাওয়ায় গত বছরের ২২ নভেম্বর থেকে কয়লা উত্তোলন বন্ধ রাখা হয়েছিল। এরপর ১২০৮ নম্বর ফেইসে ব্যবহৃত উৎপাদন যন্ত্রপাতি সরিয়ে ১২০৫ নম্বর ফেইসে স্থাপন করে পরীক্ষমূলকভাবে উৎপাদন শুরু করা হয়েছে।
সংশ্লিষ্ট সূত্রে জানা গেছে, ১২০৫ নম্বর ফেইসটিতে উত্তোলনযোগ্য কয়লার পরিমাণ ৪ লাখ থেকে ৫ লাখ মেট্রিক টন। তবে এ ফেইসটি ঝুঁকিপূর্ণ।
এর আগে ২০১৪ সালের এপ্রিল মাসের শেষে ১২০৫ নম্বর ফেইস থেকে পরীক্ষমূলক কয়লা উত্তোলন শুরু করা হয়। উৎপাদন শুরুর ১০-১১ দিনের মাথায় ১০ মে ওই ফেইসে পানির প্রবাহ অস্বাভাবিক বেড়ে গিয়ে জলাধারের সৃষ্টি হয় এবং কয়লা উত্তোলন বন্ধ হয়ে যায়।
খনির ভূ-গর্ভে কয়লা স্তরের উপরের অংশে কিছু কিছু জায়গায় বড় বড় পানির পকেট রয়েছে। কয়লা কাটতে গিয়ে পানির পকেট ভেঙে যাওয়ায় এ অবস্থার সৃষ্টি হয়। সে সময় খনি ভূ-গর্ভে স্থাপিত উচ্চ ক্ষমতাসম্পন্ন ১৩টি পাম্প ২৪ ঘণ্টা চালু রেখে প্রতি ঘণ্টায় প্রায় দুই হাজার ঘন মিটার পানি সারফেজে সরিয়ে ফেলেও পানি প্রবাহ নিয়ন্ত্রণে আনা যায়নি। পরবর্তীতে ১২০৫ নম্বর কোল ফেইসটি সাময়িকভাবে পরিত্যক্ত ঘোষণা করা হয়।
বড়পুকুরিয়া কোল মাইনিং কোম্পানি লিমিটেডের (বিসিএমসিএল) ব্যবস্থাপনা পরিচালক (এমডি) আমিনুজ্জামান বাংলানিউজকে জানান, ১২০৫ নম্বর ফেইসে পানির প্রবাহ অস্বাভাবিক বেড়ে যাওয়ার পর সে সময় খনির উৎপাদন ও রক্ষণাবেক্ষণ ঠিকাদার সিএমসি-এক্সএমসি কনসোর্টিয়ামের এক্সপার্টরা চীন থেকে এসে ফেইসটি পরিদর্শন ও পরীক্ষা নিরিক্ষা করে যাবতীয় তথ্য উপাত্ত নিয়ে যায়। ঠিকাদারী প্রতিষ্ঠান ভিন্ন প্রক্রিয়ায় পানি প্রবাহ নিয়ন্ত্রণে রেখে ওই ফেইস থেকে কয়লা উত্তোলন শুরু করেছে।
বাংলাদেশ সময়: ১৫০৭ ঘণ্টা, জানুয়ারি ০৭, ২০১৬
আরএ