ঢাকা, মঙ্গলবার, ১১ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ২৬ নভেম্বর ২০২৪, ২৪ জমাদিউল আউয়াল ১৪৪৬

অর্থনীতি-ব্যবসা

আন্তর্জাতিক বাণিজ্যমেলা

বাঘের পিঠে চড়বে শিশু

হাসিবুর রহমান, স্টাফ করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ১৮৩৪ ঘণ্টা, জানুয়ারি ৭, ২০১৬
বাঘের পিঠে চড়বে শিশু ছবি : রাজিব/বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম

বাণিজ্যমেলা থেকে: সুন্দরবনের রয়েল বেঙ্গল টাইগার দেখলে প্রাণ যাদের ওষ্ঠাগত হয়, তাদের জন্য সাহসের বাণী শোনাচ্ছে ছোট্ট শিশু তৌফিক আহমেদ। শুধু তৌফিকই নয় তার বোন সামিরা ও সাবা তার চেয়ে কোনো অংশে কম নয়।

তারাও সুন্দরবনে নেমে বাঘের পিঠে চড়ার জন্য বায়না ধরে বসে আছে।

রাজধানীর শেরেবাংলা নগরে চলমান মাসব্যাপী ঢাকা আন্তর্জাতিক বাণিজ্যমেলায় বরাবরের মতো এবারো আয়োজন করা হয়েছে ‘সুন্দরবন ইকোপার্ক’। বৃহস্পতিবার (০৭ জানুয়ারি) বিকালে মেলা প্রাঙ্গনে প্রবেশ করে দেখা যায়, সুন্দরবনের সঙ্গে মিল রেখে তৈরি করা ইকোপার্ক দর্শনার্থীদের ভিড় উপচে পড়ছে।

তৌফিক, সাবা, সামিরা নামে তিন শিশু তাদের পরিবারের সদস্যদের সঙ্গে মিরপুর থেকে এসেছে বাণিজ্যমেলায়। ইকোপার্কটির সীমানা প্রাচীরের ওপর বসে আছে তিনজনই এবং মায়ের কাছে বায়না ধরেছে বাঘের পিঠে চড়বে। তবে কর্তৃপক্ষের অনুমতি না থাকায় পার্কে প্রবেশ করতে পারছে না কেউই।

আগ্রহ নিয়ে মিনি সুন্দরবনে স্থাপিত রয়েল বেঙ্গল টাইগার, হরিণ, কুমির, বানর, অজগরসহ বিভিন্ন প্রাণীর মূর্তিগুলো দেখছে এবং বিভিন্ন প্রশ্ন করছে শিশুরা। বিভিন্ন প্রাণীর মূর্তি ছাড়াও এখানে রয়েছে জীবন্ত রাজহাঁস, খরগোশ, কচ্ছপ। এছাড়া গোলপাতা এবং সুন্দরী গাছের শাঁসমূল বসানো হয়েছে। তৈরি করা হয়েছে কৃত্রিম নদী।

বাণিজ্যমেলার মিনি এই ইকোপার্কের সামনে দাঁড়িয়ে ছিলো প্লে-ইনফিল্ড স্কুলের নার্সারির শিক্ষার্থী তৌফিক আহমেদও।

ছোট্ট শিশু তৌফিক জানায়, সে এখানে বাঘ, রাজহাঁস, বানর পাইথন (অজগর) দেখেছে এবং বাঘের পিঠে চড়তে চায়। কিন্তু তাকে যেতে দেওয়া হচ্ছে না।

এ শিশুদের মায়েরা বলেন, ‘বাচ্চাদেরতো সুন্দরবনে নিয়ে যাওয়া সম্ভব নয়। এজন্য মিনি এই ইকোপার্কে দেখাতে নিয়ে আসলাম। ওরা জানতে পারবে, আমাদের সুন্দরবনে কোন কোন ধরনের জীবজন্তু ও গাছপালা রয়েছে’।

সুন্দরবন ইকোপার্কের ব্যবস্থাপক বাবলু আহমেদ বাংলানিউজকে বলেন, প্রতি বছরই এ ইকোপার্কটি স্থাপন করা হয়। এখানে সুন্দরবনের বিভিন্ন প্রাণীর রেপ্লিকার পাশাপাশি জীবন্ত কিছু প্রাণীও রাখা হয়েছে। মেলায় আসা দর্শনার্থীদের সঙ্গে যেসব শিশুরা আসছে, তাদের জন্য এটি যথেষ্ট শিক্ষামূলক বলেও উল্লেখ করেন তিনি।

বাংলাদেশ সময়: ১৮৩২ ঘণ্টা, জানুয়ারি ০৭, ২০১৬
এইচআর/এএসআর

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।