ঢাকা, শনিবার, ১৪ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ৩০ নভেম্বর ২০২৪, ২৮ জমাদিউল আউয়াল ১৪৪৬

অর্থনীতি-ব্যবসা

দক্ষিণ এশিয়ার অর্থনৈতিক উন্নয়নের জোন হবে দক্ষিণাঞ্চল

ডিস্ট্রিক্ট করেসপন্ডেট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ১৯১৫ ঘণ্টা, জানুয়ারি ২৮, ২০১৬
দক্ষিণ এশিয়ার অর্থনৈতিক উন্নয়নের জোন হবে দক্ষিণাঞ্চল ছবি : বাংলানিউজটোয়েটিফোর.কম

গোপালগঞ্জ: সব ষড়যন্ত্র মোকাবেলা করে সবাইকে ঐক্যবদ্ধ থাকার আহ্বান জানিয়ে শিল্পমন্ত্রী আমীর হোসেন আমু বলেছেন, যখন পদ্মা সেতু, মংলা বন্দরের উন্নয়ন ও পায়রা বন্দর স্থাপনের কাজ শেষ হবে, তখন দক্ষিণাঞ্চল হবে দক্ষিণ এশিয়ার অর্থনৈতিক উন্নয়নের জোন।

তিনি বলেন, প্রধানমন্ত্রী বিদেশি বিনিয়োগকারীদের জন্য পৃথক অর্থনৈতিক জোন করছেন।

তাই ২০২১ নয় ২০১৮ সালের মধ্যে বাংলাদেশ মধ্যম আয়ের দেশে পরিণত হবে।

বৃহস্পতিবার (২৮ জানুয়ারি) বিকেলে শেখ ফজলুল হক মনি স্মৃতি মিলনায়নে তিন দিনব্যাপী শেখ ফজলুল হক মনি সাংস্কৃতিক  উৎসবে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন।

শিল্পমন্ত্রী বলেন, বঙ্গবন্ধু আমাদের দেশ দিয়ে গিয়েছিলেন। তিনি যে দেশ দিয়ে গেলেন, সে দেশের দলিল ছিলো না। তাই আমাদের দেশের কোনো সীমা রেখা ছিলো না। আমাদের কোনো মিউটেশনও ছিলো না, রেজিস্ট্রিও ছিলো না। ৪০ বছর পর ২০০৯ সালে শেখ হাসিনা ক্ষমতায় আসার পর ভারত ও মায়ানমারের বিরুদ্ধে আন্তর্জাতিক আদালতে মামলা করে সমুদ্র জয় করার মধ্য দিয়ে প্রথমে সমুদ্র সীমানা নির্ধারণ করেন।

আর মুজিব-ইন্দিরা চুক্তির মাধ্যমে আমাদের স্থল সীমানা নির্ধারণ করা হয়েছে। আজকে আমরা বলতে পারি আমাদের দেশের সীমানা কি? আমাদের দেশের মানচিত্র কি? বঙ্গবন্ধু দেশ দিলেন আর পরিপূর্ণতা পেলাম তার কন্যা শেখ হাসিনা।

মন্ত্রী আরো বলেন, আজকে আমাদের শিশুরা ভারতের বা প্রাচ্যের বিভিন্ন অনুষ্ঠানমালা দেখে প্রভাবান্বিত হয়। এদের দেশীয় সংস্কৃতি, কৃষ্টি ও কালচারে গড়ে তুলতে হবে। তাই দেশব্যাপী এধরনের উৎসব করার জন্য তিনি শিল্পকলা একাডেমিকে এগিয়ে আসার আহ্বান জানান।

আমু আরো বলেন, অন্যরা ক্ষমতায় আসেন ভোগের জন্য, আর শেখ হাসিনা ক্ষমতায় আসেন ত্যাগের জন্য। কারণ শেখ হাসিনা ক্ষমতায় এলে ৭ মার্চের ভাষণ তার কানে ভেসে আসে। তাই দিন-রাত ঘুম হারাম করে তিনি বাংলার দুঃখী মানুষের মুখে হাসি ফোঁটানোর জন্য কাজ করেন।

বাংলাদেশ শিল্পকলা একাডেমির আয়োজনে ও জেলা শিল্পকলা একাডেমির ব্যবস্থাপনায় এ সাংস্কৃতিক উৎসবের আয়োজন করা হয়। অনুষ্ঠানে সভাপতিত্ব করেন গোপালগঞ্জের ভারপ্রাপ্ত জেলা প্রশাসক এএনএম মাঈনুল ইসলাম।
 
পরে মন্ত্রী গোপালগঞ্জ জেলার গুণী শিল্পীদের হাতে গোপালগঞ্জ জেলা শিল্পকলা একডেমি সম্মাননা পদক-২০১৬ তুলে দেন।

সম্মাননা প্রাপ্তরা হলেন-সঙ্গীত শিল্পী বিপুল কুমার দাস, যাত্রা শিল্পী সুকলাল ভক্ত, নাট্যকার সনোজ কুন্ডু, বাদ্য যন্ত্রী অ্যাডভোকেট তপন কুমার সরকার ও আবৃত্তিকারক মোস্তাফিজুর রহমান সেলিম।

বাংলাদেশ সময়: ১৯১৫ ঘণ্টা, জানুয়ারি ২৮, ২০১৬
এসএইচ

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।